সারাদিন কোলাহলে মেতে উঠা আপনার ছোট্ট সোনামনি! ঘরের চারকোনায় তার মিষ্টি হাসির দুষ্টোমিতে ব্যস্ত সময়টা দিব্যি কাটছে! সকলের আদরের পাত্র হওয়ায় একটুতো আহ্লাদি হবেই বাচ্চারা! বেশ দুষ্টোমিতে মাতলেও, পড়াশোনার কথা উঠলেই বাচ্চাদের পালিয়ে যাওয়া! পড়তে বসলেও নানান রকম টাল বাহানা! বেত, স্কেল দিয়ে পিটুনির ভয় দেখানো আর কত? তবে, আজ থেকে শিশুদের পড়ানোর একটু ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা যাক। আদর করেই না হয় পড়তে আগ্রহী করার উপায় গুলি বেছে নিন! আপনার সোনামনিকে পড়তে আগ্রহী করার ৬টি কৌশল আপনার সামনে তুলে ধরেছি। তাহলে চলুন আজাইরা ইন্ট্রো গল্প বাদ দিয়ে শিশুদের পড়ানোর কৌশল আলোচনাতে ফিরে যায়….
০১. সময় নির্ধারণ করুন : Schedule time
দিনে বারবার পড়তে বসানোর চেষ্টা না করে বড়জোর ১ঘন্টা থেকে ১.৩০ঘন্টা সময় নিয়ে পড়তে বসান। একদমই সকালে অথবা সন্ধ্যায়, যেকোন এক সময়ে তাকে পড়তে বসার পরিকল্পনা করুন। কারন, ভোর কিংবা সন্ধ্যায় পড়ায় মনযোগী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
০২. ছন্দে- গল্পে পড়ান :
বাচ্চাদের জন্য একটু ভিন্নধর্মী পরিকল্পনাই বেশি কাজে দেয়। পাঠ্যবইয়ের পড়া মুখস্থ না করিয়ে গল্প বা ছন্দের সাহায্যে ফুটিয়ে তুলুন। এতে বাচ্চাদের পড়াতে আগ্রহ জন্মে এবং সহজেই মনে রাখার চেষ্টা সফল হয়। আপনার সোনামনিকে পড়ানোর পর ই তা নিজ থেকে গল্পরুপে বলতে বলুন।
০৩. অল্প লোভ দেখান :
পড়তে তো সহজেি চাইবেনা! আহ্লাদী বাচ্চাটিকে আধ একটু লোভ দেখানোর কৌশল খুব একটা মন্দ না। পরালেখা শেষে তার পছন্দের খাবার, অথবা কার্টুন দেখানোর লোভটি দারুন কাজে দিবে। এতে, সে পড়ালেখায় অল্প কিছুটা হলেও মনযোগী হবে। সাথে তার দৈনন্দিন রুটিন টাও বেশ সহজে মানিয়ে নেয়া যাবে।
০৪. প্রশংসা করুন এবং উৎসাহ দিন :
প্রশংসা পেতে কে না ভালবাসে? প্রশংসা উৎসাহ ই একইকাজ পরবর্তীতে করার অনুপ্রেরণা জন্মায়। একটি কবিতা আবৃত্তি বা ছোট্ট অংক কষা, যাই হোক না কেন! ছোট ছোট সকল বুলিতেই প্রশংসা করুন। উৎসাহ দিন সবসময়। এতে পড়ালেখায় মনযোগ অনেকখানি বেড়ে যাবে।
০৫. উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করুন :
পড়ালেখায় মনোযোগ ধরে রাখতে আশেপাশের নিরিবিলি পরিবেশ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। আশেপাশে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আনাগোনা, কথা বলার শবৃদ, টিভির ভলিউম এসব পরিহার করা উচিত। শিশুর পড়ালেখায় মনোযোগে ব্যঘাত ঘটায় এমনসব কার্যকলাপ এর ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন
০৬. শিক্ষামুলক পোস্টার, চিত্রাঙ্কন সংগ্রহ করুন :
স্টাডি রুমটাতে বাড়তি পরিকল্পনা নিশ্চিত করুন। শুধুমাত্র পাঠ্যবইয়ের পড়ার গন্ডিতে সীমাবদ্ধ না রেখে, শিক্ষামুলক কিছু বাক্য বা চিত্রাবলীর ঘটনা দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখুন৷ এতে বাচ্চাটির এই সম্পর্কে কৌতুহল জন্মে এবং বাড়তি জ্ঞানলাভেরও সুযোগ থাকে।
আপনার পরিবারের ছোট্ট সদস্যটির পরিচর্যায় কত না দুশ্চিতা! সবকিছুরই সহজ সমাধান পরিলক্ষিত। একটু সময় বের করে অন্য পদ্ধতি ভাবুন। নিশ্চয়ই ব্যতিক্রমী পরিকল্পনা শতভাগ নিশ্চয়তা পায়।
ছোট্ট সোনামনির শারীরিক ও মানসিক বিকাশ হোক সুন্দরতম উপায়ে। সুস্থ্য ও সুন্দর থাকুক আপনার পরিবারের আদুরে বাচ্চাটি। এ প্রত্যাশায় আজকের লেখাটির ইতি টানলাম।
নিত্য নতুন ট্রিকস ও টিপস পেতে অবশ্যই আমার বাংলা পোস্ট.কমের সাথে থাকুন। আসসালামু আলাইকুম। আল্লাহ্ হাফেজ।
আমার অন্য লেখাগুলি পড়ুন…
- বেকিং সোডা : বেকিং সোডার গুণাগুণ
- বাংলাদেশের জনপ্রিয় ৫টি পর্যটন স্থান
- প্রাকৃতিক উপায়ে মেহেদি কোন বানানোর নিয়ম
- বাদাম : বাদামের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
- চট্রগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মজাদার মেজবানি মাংসের রেসিপি
প্রিয় পাঠক পাঠিকা, শিশুদের পড়ানোর কৌশল লেখাটি পড়ে আপনার ভালো লাগলে এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.
ভাল লেগেছে আপনার বিষয়টি পড়ে