নবীজির ছেলেদের নাম ও মেয়েদের নাম গুলি হতে পারে আপনার শিশু সন্তানের জন্য সেরা নামগুলির একটি।
যখন একটি শিশু ছেলে বা মেয়ে জন্মগ্রহণ করে তখন শিশু ছেলে মেয়েদের পরিচয় প্রকাশের জন্য একটি ভালো ও সুন্দর নামের প্রয়োজন হয়। আর রাসূল (সাঃ)-মের ছেলে-মেয়েদের নাম ও নামের অর্থগুলি নিশ্চয়ই অনেক ভালো এবং সুন্দর যা আপনার শিশু ছেলে মেয়ের জন্য হতে পারে সেরা পছন্দ।
মুহাম্মদ (সাঃ) ছেলেদের ও মেয়েদের নাম!
০১. কাসিম ( Qasim) অর্থ = বণ্টনকারী।
পূর্ণ নাম : কাসিম ইবনে মুহাম্মদ ( Qasim ibn muhammad)। তিনি ছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও মা খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) এর প্রথম সন্তান। কাসিম ইবনে মুহাম্মদ দুই বছর পুর্ণ হওয়ার পূর্বেই তিনি মারা যান এবং তাকে সৌদি আরবের মক্কায় জান্নাতুল মওলা কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
০২. তাহির (Tahir) অর্থ = পবিত্র-বিশুদ্ধ ।
পূর্ণ নাম : আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ (Abdullah ibn muhammad) । তিনি মুহাম্মদ (সাঃ) ও উম্মুল মুমিনিন খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) এর ছেলে সন্তান। তিনি শৈশবেই মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তাহির ইবনে মুহাম্মদ ও তায়্যিব ইবনে মুহাম্মদ নামেও পরিচিত ছিলেন। তায়্যিব এর অর্থ হচ্ছে=মিষ্টি!
০৩. ইবরাহীম (Ibrahim) অর্থ = পিতাদের পিতা।
পূর্ণ নাম : ইব্রাহিম ইবনে মুহাম্মদ (Ibrahom ibn muhammad)। তিনি ছিলেন রাসূল (সাঃ) ও উম্মুল মুমিনিন মারিয়া আল কিবতিয়া (রাঃ) এর পুত্র সন্তান। তিনি হিজরি ৮ম বছরের শেষ দিকে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাবুক যুদ্ধের পর ষোল বা আঠারো মাস বয়সে মারা যান। তাকে মদিনায় জান্নাতুল বাকিতে সমাহিত করা হয়।
০৪. জয়নাব (Zainab) অর্থ= একটি সুগন্ধি ফুল।
পূর্ণ নাম : জয়নব বিনতে মুহাম্মদ (Zainab bint Muhammad) । তিনি রাসূল (সাঃ) ও খাদিজা কোবরা (রাঃ) এর জ্যেষ্ঠ কন্যা সন্তান। তিনি মা খাদিজা (রাঃ) বিবাহের ৫ম বছরের মধ্যে জন্ম গ্রহণ করেন এবং ৩০ বছর বয়সে ৮ম হিজরিতে মৃত্যুবরণ করেন। মক্কা হতে মদিনায় হিজরতের সময় হাব্বার ইবনে আল আসওয়াদ দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হন, এতে তাঁর গর্ভপাত ঘটে রক্ত ঝরে। দীর্ঘদিন পর্যন্ত রোগে ভোগতে থাকার পর অবশেষে ৮ম হিজরির প্রথম দিকে ইন্তেকাল করেন। উম্মে আয়মান (রাঃ), উম্মু আতিয়া (রাঃ) উম্মুল মুমিনিন সাওদা (রাঃ), সালামাহ (রাঃ) জয়নবের গোসলের কাজে অংশ গ্রহণ করেন এবং স্বয়ং রাসূল (সাঃ) জয়নবের জানাযার নামাজ পড়ান। এ সময় মুহাম্মদ (সাঃ) নিজ হাতে নিজের মেয়েকে কবরের মাটিয়ে শায়িত করেন এবং নিজের ব্যবহৃত একটি লুঙ্গি প্রতীক হিসাবে জয়নবের কাফনের কাপড়ের মধ্যে গুজে দেন। রাসূল (সাঃ) এসমস্ত ঘটনাকে স্মৃতিচারণ করে প্রায়ই সময় বলতেন..
আমার সবচেয়ে ভালো মেয়েটি আমার জন্য কষ্ট ভোগ করেছে।
০৫. রুকাইয়াহ ( Ruqayyah) অর্থ= উন্নতশীলা।
পূর্ণ নাম : রুকাইয়া বিনতে মুহাম্মদ ( ruqayyah bint muhammad । তিনি ছিলেন মুহাম্মদ (সাঃ) ও উম্মুল মুমিনিন খাদিজাতুল কোবরা (রাঃ) এর মেয়ে। তিনি রাসূল (সাঃ) এর নবুয়ত লাভের ৭ বছর আগে মক্কাতে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে উতবাহ ইবনে আবু লাহাবকে বিয়ে করেন কিন্তু তিনি ইসলামে গ্রহণের পরে তালাকপ্রাপ্ত হন, এরপর তিনি উসমান ইবনে আফফানের এর সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
রুকাইয়া খুবই রূপ-লাবণ্যের অধিকারিণী ছিলেন। রুকাইয়া ছিলেন স্বামীর প্রতি যত্নবান একজন মহিলা ও নিজের স্বামীর সংসারে সে ছিলো আন্তরিক।
০৬. উম্মে কুলসুম (Umme kulsum) অর্থ= স্বাস্থ্যবানের মা।
পূর্ণ নাম : উম্মে কুলসুম বিনতে মুহাম্মদ ( Umme kulsum bint muhammad) । উম্মে কুলসুম ছিলেন মুহাম্মদ (সাঃ) ও স্ত্রী খাদিজা কোবরা (রাঃ) এর তৃতীয় কন্যা। রাসূল (সাঃ) নবুয়ত লাভের ছয় বছর পূর্বে উম্মে কুলসুমের মক্কাতে জন্ম হয় এবং তাঁর বোন রুকাইয়া বিনতে মুহাম্মদ হিজরির ২য় সনে মারা যাওয়ার পর রাসূল (সাঃ) পুনরায় ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান (রাঃ) সাথে উম্মে কুলসুমকে বিয়ে দেন।
০৭. ফাতিমাহ ( Fatimah) অর্থ= দুধ ছাড়ানো শিশুর মা ।
পূর্ণ নাম : সৈয়দা ফাতিমাহ বিনতে মুহাম্মদ ( Fatimah bint muhammad) । তিনি ছিলেন মুহাম্মদ (সাঃ) ও রাসূলের প্রথম স্ত্রী মা খাদিজার কন্যা। ইসলামে ফাতিমা (রাঃ) এর মান ও মর্যাদা অনেক। মক্কার কোরাইশরা যখন রাসূল (সাঃ) কে নির্যাতন করতো, কষ্ট দিতো, সে দুর্দশার সময় ফাতিমা সব সময় রাসূলের পাশে ছিলেন। মদিনায় হিজরতের পর রাসূল (সাঃ) ফাতিমা (রাঃ) কে তাঁর চাচাতো ভাই আলী ইবনে আবি তালিব (রাঃ) সাথে বিবাহ দেন। তিনি ইমাম হাসান ও ইমাম হুসেনের মা। ইমাম হাসান (রাঃ) ও ইমাম হুসেন (রাঃ) তারা দুই ভাই জান্নাতে যুবকদের নেতা হবেন। ফাতিমা (রাঃ) চারটি কুনিয়াত নাম আছে। যথাঃ
- উম্মে আবিহা
- উম্মে আল-হাসানাহ
- উম্মে আল-হাসান
- উম্মে আল-হুসেন
ফাতিমা (রাঃ) এর ৯ টি উপাধি নাম আছে। যথাঃ
- আল-সিদ্দিকাহ
- আল-মুবারাকাহ
- আল-তাহিরাহ
- আল-জাকিয়াহ
- আল-রাদিয়াহ
- আল-মুহাদ্দাথাহ
- আল-বাতুল
- আল-জহরা
- সৈয়দাতুন নিসা আল-আলামিন
হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর আহলে বায়াতদের উপর আপনার করুণ ও অফুরন্ত রহমত বর্ষণ করুন। নিশ্চুয়ই আপনি সর্বোচ্চ প্রশংসিত ও সম্মানের অধিকারী।
প্রিয় পাঠক পাঠিকা, আমি আশা করি নবীজির ছেলেদের নাম ও মেয়েদের নাম ও তাদের নামের অর্থগুলি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে এবং খুশি হয়েছেন। এটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.
রাসূল (সাঃ) এর জীবনের ইতিহাস নিজে জানি আর অন্যকেও জানতে সহযোগিতা করি। মহান আল্লাহ পাক সবাইকে কবুল করুক, আমিন।।।
ALLAH is almighty.
যদি রিপ্লাই দেন উপকৃত হবো এবং আপনার নিকট কৃতজ্ঞ থাকবো। নবীজির এগারোজন স্ত্রীর মধ্যে শুধুমাত্র মা খাদিজার সন্তানদের নাম পরিচয় দিলেন আপনি। বাকি স্ত্রীর সন্তানসন্ততির সম্বন্ধে জানতে ইচ্ছুক আমি। যদি আর কোনো সন্তান নেই তাহলে কি ওই দশজন স্ত্রীর সন্তান হয়নি? দশজন কি বন্ধ্যা ছিলেন? এগারোজন স্ত্রীর মধ্যে প্রথমজনের ৭ জন সন্তান আর বাকিদের একটিও নেই – এই বিষয়টি হজম হচ্ছে না।
আপনি ভাল করে দেখুন ৭ জন ২ স্ত্রীর সন্তান।
আলহামদুলিল্লাহ্ অনেক সুন্দর