মানুষের সামনে কথা বলার কৌশল

নিজেকে স্মার্ট ও মানুষের আকর্ষণ তৈরি করতে মানুষের সামনে কথা বলার কৌশল, কিভাবে কথা বলবেন, কথা বলা সময় কি করবেন ও কি করবেন না  তা জানতে ও বুঝতে এবং শিখতে স্মার্টনেসের ৪র্থ ধাপ টি পড়ুন অনুশীলন করুন। 

কথা বলার কৌশল ও ক্ষমতা অর্জন করুন!

কথা বলার কৌশলনিজের স্মার্টনেস ফুটিয়ে তুলতে মানুষের সামনে কথা বলার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। সে মানুষটি হোক ছেলে, হোক মেয়ে। সে কথা হতে হবে গোছালো রস মিলানো প্রশংসা মূলক। কারণ একমাত্র কথা দিয়েই মানুষের মন জয় করা সহজ। প্রথম প্রথম কথা বলতে গেলে ঠেকে যাবে জড়তা আসবে। ভূল হবে, এটা স্বাভাবিক। চর্চা করুণ সব ঠিক হয়ে যাবে।

বলার সুযোগ আসা মাত্রই উঠে দাড়াবেন কারণ পৃথবীর অর্ধেক মানুষ তো দাড়াতেই সাহস পায়না। ধীরস্থিরভাবে আপনার কথা ব্যক্ত করুণ। বড় বড় নকল কথা না বলে সাধারণ কথা বলুন এবং সংক্ষিপ্ত ভাবে বলুন। মানুষের সামনে কথা বলতে সাহসী হন কথা বলার কৌশল রপ্ত করুণ, কথা বলার সঙ্গে অঙ্গ ভঙ্গিও সুন্দর করে প্রকাশ করার চেষ্টা করুণ। উত্তেজনা পরিহার করুণ। সব সময় নরমাল ভাবে কথা বলুন।

মনকে বড় করুণ:- অনেকে আছে তারা কোন অনুষ্ঠানে গেলে বা বেড়াতে গেলে অন্যের সঙ্গে নিজের পোশাক পরিচ্ছদ মিলাতে শুরু করে। যখন দেখে তার পোশাক অনেক কমদামী গহনা জুতা সবার তুলনায় নিম্নমানের। সে নিজে নিজে মন থেকে নিজেকে ছোট করে ফেলে আসলে এসব কিছুই না। এজন্য মনকে বড় করতে হবে। আপনার কমদামী পোশাকটি মানান সই কিনা, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কিনা, গহনার বেলায় সৃজনশীল কিনা, পায়ের জুতা মানিয়েছে কিনা। এই  হচ্ছে আসল কথা। যদি তাই হয় তবে ভাবনা নেই দেখতে আর দশ জনের চেয়ে আপনাকেও কম সুন্দর মনে হবে না।

গোমরা করে বসে না থেকে নিজের যোগ্যতা প্রকাশ করুণ। দেখবেন সবাই আপনার দিকে তাকিয়ে রয়েছে সব কিছু সচেতনতার সহিত নির্বাচন করুণ। দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে অনুষ্ঠানের ধরণ ঋতু বুঝে পোশাক আনুসঙ্গীক নির্বাচন করুণ। যেন আপনার ফিগারের সঙ্গে মানায় সেদিকে লক্ষ করুণ।

সেকরিফাইজ মন, কারো উপকারের মানসিকতা ভিতর থেকে তৈরি করুণ এজন্য নিজের মনকে বড় করতে হবে হীন প্রবণতা পরিহার করতে হবে। লজ্জা ভয় ত্যাগ করে সাহসি হয়ে উঠতে হবে।

হাস্য রস চর্চা করুণ:- নিজের সকল ভয়, ভীতি, সংকীর্ণ, মন থেকে চির তরে পরিহার করতে হাস্যরস চর্চা করতে হবে। এজন্য অনুশীলন করতে হবে। জোকস বই পড়তে হবে। কমিডিয়ান নাটক সিনেমা দেখতে হবে।

বন্ধুরা মিলে একটি টিম তৈরি করে এই হাস্যরসের অনুশীলন করতে পারেন। ভাষা শুদ্ধ করতে মুখের কিছু ব্যায়াম আছে তা চর্চা করতে হবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে টেপ রেকর্ডারে রেকর্ড করে পরবর্তীতে তা শুনে অবাঞ্চিত ভুল গুলো আঞ্চলিকতার টান গুলো ধরতে পারবেন। এবং শব্দ ঠিকমতো উচ্চারণ করতে বারবার অনুশীলন করে তা ঠিক মত শিখে নিন।

সাহসিকতা:- নিজেকে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে হলে আগে মনের সকল সংকীর্ণতা পরিহার করে, ভয়, লজ্জা দূরে ঠেলে মন থেকে সাহসি হয়ে উঠুন।

আমি পারবনা, আমার দ্বারা সম্ভব না, আমার দ্বারা হবে না, এমনহীন মনোবৃত্তি পরিহার করে মনের মধ্যে একটি কথাই জাগরিত করুন যে, আমি পারবো আমার দ্বারাও সব সম্ভব।

আমি বলছি না সামান্য করণেই মেরে দুচার জনের মাথা ফাটিয়ে দিতে হবে। সাহসিকতা দেখাতে উপর থেকে লাফ দিতে হবে। জোড়ে গাড়ি চালাতে হবে, আসলে এমন কিছু নয়। আসল কথা হচ্ছে নিজেকে যুগোপযোগী ভাবে তৈরি করে উপস্থাপন করা। বিপদগ্রস্থ মানুষের উদ্ধার করার জন্য, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, লোকের সামনে ও মঞ্চের মাইকে কথা বলার সাহসিকতা অর্জন করতে হবে। অনেকে আছে মেয়েদের সামনে অথবা পুলিশের সামনে কথা বলতে হাত পা কাপা কাপি শুরু করে দেয়। এসব ক্ষেত্রে সাহসি হতে হবে। মনের অস্থিরতা উদ্বিগ্নতা চাঞ্চলতা পরিহার করে ধীরস্থির ভাবে কথাগুলো বলে যান যেখানে গেলে আনিজিফিল হয় বার বার সেখানেই যান। চর্চা করুণ দেখবেন সাহসি হয়ে উঠেছেন।

আগে শুনুন : কোনো আলোচনায় যোগ দিতে চাইলে অথবা কারোর সঙ্গে কথা বলার সময় আগে শুনুন, আলোচনার মূল বিষয় নিয়ে চিন্তা করুন তারপর বুঝে কথা বলুন। আপনাদের মধ্যে যদি কেউ সুন্দর করে তার মতামত উপস্থাপন করে তাহলে তাকে অনুসরণ করতে পারেন কিংবা সহমত জানাতে পারেন। 

গ্যাপ দিয়ে কথা বলুন : লোকেদের সামনে কথা বলার সময় সামান্য গ্যাপ দিয়ে কথা বলুন তাতে শ্রোতারা সহজেই বুঝতে পারে। দ্রুত কথা বলা একটি বাজে অভ্যাস, এই বাজে অভ্যাস পরিহার করুন। বেশি দ্রুত কথা বললে শ্রোতাদের বুঝতে কষ্ট হয়। লোকেদের সামনে কথা বলার সময় মূল বিষয়ের উপর গুরুত্বও রেখে গ্যাপ দিয়ে কথা বলুন। আবার বেশি ধীরগতিতে কথা বলা যাবে না এতে শ্রোতারা বিরক্তবোধ করে ও কথা শুনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে ।  তাই কথা বলার সময় একটি মধ্যবর্তী মাপ অনুসরণ কথা বললে শ্রোতাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়া যায়। 

কথা বলার সময় বডি ল্যাঙ্গুয়েজ

কারো সঙ্গে কথা বলার সময় নিজের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলায় সহায়ক বডি ল্যাঙ্গুয়্বজ বা শরীরের ভাষা। মুখের ভাষার সঙ্গে শরীরের ভাষা ইতিবাচক হলে অপরিচিত জায়গায়ও নিজেকে সহজে তুলে ধরা যায় অন্যের সামনে। সাধারণত যা বলতে চান, শরীরের ভাষাও তা—ই হওয়া উচিৎ। যদি এ দুটি বিষয় না মেলে তাহলে যার সঙ্গে কথা বলছেন তিনি বিরক্ত হতে পারেন।

ব্যবসায়িক কাজ বা মিটিং—যা ই হোক নাকেন, শরীরের ভাষা হবে ইতিবাচক। এর মাধ্যমে আপনার আত্মবিশ্বাস, ধৈর্য ও সতর্কতা প্রকাশ পাবে। তাই কথা বলার সময় কেমন হবে শরীরের ভাষা জেনে নিন।

কী করবেন

* চোখে চোখ রাখুন

* মাথা স্থির রাখুন

* চিবুক থাকবে উন্নত

* চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন, হেলান দিয়ে নয়।

* দাঁড়ালে সোজা হয়ে দাঁড়ান।

* নিজের আশপাশে অন্তত ১৮ ইঞ্চি জায়গা ফাঁকা রাখুন ।

* আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সহজভাবে হাটুন

*  মাঝে মধ্যে হাসুন।

কী করবেন না।

* চোখে চোখ না রাখা।

* হাতের আঙ্গুল ফোটানো বা আঙ্গুল দিয়ে শব্দ করা।

* হাই তোলা ।

* চেয়ারে হেলান দেওয়া

* অস্থিরতা প্রকাশ পায় এমন কাজ

* কেউ কথা বললে তার দিকে না তাকিয়ে অন্য দিকে তাকানো।

আমরা আশা করি, কথা বলার কৌশল ও কথা বলার সময় করণীয় কি তা স্মার্ট হওয়ার ৪র্থ ধাপটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। 

এরপর পড়ুন : সাজুগুজু

আপনি যদি আমার বাংলা পোস্ট.কম এ নতুন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে স্মার্টনেসের নিচের ধাপ গুলোও পড়ুন। 

ধাপ এক : স্মার্ট হওয়ার উপায়- স্মার্ট হবার A-Z গাইডলাইন

ধাপ দুই : আকর্ষণীয় হওয়ার উপায় ও কৌশল

ধাপ তিন : ফ্যাশন : ছেলেদের ও মেয়েদের ফ্যাশন আইডিয়া A-Z

For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.

Leave a Comment