নিজেকে অন্যদের সামনে কিভাবে সুন্দর ও আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরবেন বা উপস্থাপন করবেন তা জানতে, বুঝতে ও শিখতে স্মার্টনেসের ৫ম ধাপটি পড়ুন। ৫ম ধাপে সাজগোজ করার নিয়ম, মেকআপ করার পদ্ধতি, বাঁধা চুলের স্টাইল, চুল না বেঁধে স্টাইল সহ আরও খুঁটিনাটি তুলে ধরা হয়েছে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক…
তারুণ্যের নিজস্ব সৌন্দর্যে এ বয়সের মেয়েরা এমনিতেই সুন্দর হয়ে উঠে। পার্টিতে যেতে তাই সালোয়ার—কামিজের সঙ্গে দরকার শুধু ফ্যাশনেবল একটা হেয়ার স্টাইল, সঙ্গে হালকা মুখসাজ। ঘরেই করতে পারেন এমন কয়েক রকম চুলসজ্জা আর একদম মৌলিক একটা মেকআপের বিষয় রইল আপনাদের জন্য।
কী ভাবে সাজবেন-সাজগোজ করার নিয়ম
* মুখে বেশিক্ষণ মেকআপ ধরে রাখতে চাইলে একটা রাবারের গ্লাভসের মধ্যে বরফের টুকরা ভরে সেটা মুখের উপর বুলিয়ে নিন। ঠোঁট ও চোখের উপর একটু বেশিক্ষণ বরফের গ্লাভস ধরে রাখবেন। বরফ ছাড়াও যদি মেকআপ ধরে রাখতে চান তাহলে একটা স্পঞ্জ অ্যাসস্ট্রিনজেন্ট ভিজিয়ে সেটা খুব সাবধানে সারা মুখে বুলিয়ে নেবেন।
* প্রসাধনের পরে নরম ব্রাশ আলতো করে মুখে বুলিয়ে নিন। এতে মুখে লেগে থাকা অতিরিক্ত প্রসাধন মুছে প্রসাধনের সমতা আনবে।
* মুখে লোম থাকলে ম্যাটফিনিশ মেকআপ করবেন না। মুখে বেশি পাউডারও লাগাবেন না। এতে মুখের লোম আরও পরিস্কার ভাবে দেখা যাবে। মুখে লাগাবেন ময়েশ্চারাইজার যুক্ত ফাউন্ডেশন।
* মুখের কোন অংশ যদি বেশি উঁচু (যেমন—নাক, গালের হাড়, চিবুক) হয় এবং আপনি যদি সেই খুঁতে ঢাকতে চাআন তাহলে সে অংশে ফাউন্ডেশনের উপরে রঙহীন স্বচ্ছ পাউডার বা সাদা হাই—লাইটার লাগাতে পারেন।
* যাদের মুখ সরু ও লম্বাটে তারা যদি মুখে ভরাটভাবে আনতে চান তাহলে গালের হাড়ের উপর ব্লাশার লাগিয়ে তার উপরেল ব্রাশে সাদা হাই—লাইটার নিয়ে মুখে আলতো করে বুলিয়ে নেবেন। এরপরও যদি মুখে চকচকে ভাব আনতে চান তাহলে সাদা ক্রিম হাই—লাইটার ব্লাশারের লাগিয়ে নেবেন।
* গায়ের রঙ ও পোশাকের রঙের উপর ভিত্তি করে মুখের মেকআপ করবেন। ধরুন আপনি যদি ফর্সা হোন এবং আপনার গোলাপী ব্লাশার তো লাগাবেনই সঙ্গে ফাউন্ডেশনও লাগাবেন হালকা গোলাপী শ্যাডের।
* লিপস্টিকের রঙ যেমন পছন্দ করবেন পোশাক অনুযায়ী, তেমনই মুখেও সেই রঙের আভা রাখবেন। এর জন্য লিপস্টিকের একটা ভিন্ন ব্যবহার আছে। লিপস্টিকের সঙ্গে একটু বেবি অয়েল বা ক্রিম মিশিয়ে চিবুক টিপটিপ করে লাগিয়ে আঙ্গুলের ডগা দিয়ে মিশিয়ে দিন।
* যাদের কপাল ছোট তারা বড় দেখানোর জন্য হালকা রঙের ফাউন্ডেশন কপালের উপর চুলে রেখা বরাবর লাগান। ঠিক একইভাবে যাদের কপাল বড় তারা কপালে গাঢ় রঙের গাউন্ডেশন চুলের রেখা বরাবর লাগিয়ে নিন।
* মুখে মেকআপ করার পরও যদি দেখেন মুখে ক্লান্তিভাব থেকে গেছে তাহলে পাতলা কাপড়ে বা তুলায় বরফের টুকরা নিয়ে মুখের আলতো করে বুলিয়ে নিন।
* কেবল মুখ পরিস্কার করলেই হবে না, যা দিয়ে মুখ পরিস্কার করবেন সেই জিনিসগুলো পরিস্কার রাখতে হবে। যেমন—তোয়ালে, পাফ ইত্যাদি।
* প্রসাধন লাগার সময় নাক, থুতনি ছাড়িয়ে কানের দিকেও মেকআপ প্রয়োজন।
* মুখের বলিরেখা ঢাকতে এমন ফাউন্ডডেশন লাগান যার রঙ বলিরেখার রঙ ও ত্বকের মাঝামাঝি এতে বলিরেখা ঢাকা সম্ভব।
* তৈলাক্ত ত্বক মেকআপ করার আগে ভেজানো তুলো দিয়ে মুখ মুছে নেবেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ফ্রেশনার দিয়ে মুছে নেন।
* শুল্ক ত্বক মেকআপ করার আগে মুখে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিস্কার করে মেকআপ শুরু করবেন ময়েশ্চারাইজার যুক্ত ফাউন্ডেশন দিয়ে। খুব ভালো হয় যদি কেবল ময়েশ্চারাইজার মুখে লেপে দেন। এতে মুখের শুল্কভাব কেটে যাবে।
চুল না বেঁধেই স্টাইল
* এখন তরুণীদের খুব পছন্দ সোজা, ঝলমলে চুল। এজন্য চুলটাকে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে হালকা ব্লো ড্রাই করে নিন আগে। হেয়ার সেটিং লোশন স্প্রে করুন। পুরো চুলে স্প্রে ঠিকমতো মাখাতে চুল ভালোভাবে আঁচড়ে নিলেই পেয়ে যাবেন চিকমিকে সোজা চুল।
* ব্লা—ড্রাই করে শাইনিং সেরাম (নানা রকম পাবেন বাজারে) দিন চুলে। তারপর আয়রণ করে নিলে হয়ে গেল ঝকঝকে মসৃণ চুল।
* কারলিং আয়রণ থাকলে চুলে স্পাইরাল স্টাইল করতে পারেন। পার্টির এক দিন আগে শ্যাম্পু করতে হবে এজন্য। ভলিউমাইজার শ্যাম্পু, কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ব্লো—ড্রাই করলে চুলে বেশ ভরাটে ভাব আসবে।
বাঁধা চুলের স্টাইল
* একটু অদলবদলে সাধারণ পনিটেইলই হতে পারে ভীষণ নার্ট স্টাইল। চুলগুলো পেছনে টেনে ব্যান্ড দিয়ে বাঁধুন। বাঁধা চুলের একাংশ নিয়ে ব্যান্ডের উপর দিয়ে ঘুরিয়ে ব্যান্ডটাকে মুড়িয়ে নিন। মনে হবে চুল দিয়েই গোড়া কষে চুল বেঁধেছেন। পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে পড়ুন চিক রিবন, নানা রকম ক্লিপ। সামনে চুল ব্যান্ডস কাটা থাকলে সেটা কপালের উপর ছড়িয়ে দিন।
* কটা ক্লিপ কাঁটার ব্যবহারে করে ফেলতে পারেন ফ্রেঞ্চটুইস্ট। পেছনে টেনে চুল পুরোটা লম্বালম্বি পেঁচিয়ে ব্যবহারে করে ফেলতে পারেন ফ্রেঞ্চ টুইস্ট। পেছনে টেনে চুল পুরোটা লম্বালম্বি পেঁচিয়ে নিন। পেঁচানো চুলটাকে উপরে তুলে আবার কয়েক পেঁচে ঘুরিয়ে লম্বালম্বি রোলের মতো করুণ। ক্লীপ, কাঁটা দিয়ে আটকে নিন।
মেকআপ -মেকআপ করার পদ্ধতি
প্রথমে পুরো মুখ, তারপর চোখ ও শেষে সাজান ঠোঁট। ত্বকে দাগ না থাকলে মুখে কোনো ফাউন্ডেশন দেওয়ার দরকার নেই। সরাসরি ব্লাশ—অন হিসেবে জেল ব্লাশার দিয়ে নিন।
ত্বকের দাগ ঢাকতে ত্বকের ধরণ বুঝে ব্যবহার করতে পারেন স্টিক, ক্রিম-টু পাউডার বা ক্রিম-টু ময়েশ্চারাইজার ফাউইন্ডেশন। ক্রিম-টু পাউডার ফাউন্ডেশন ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে ত্বকে মেশাতে পারেন। মুখে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার দিয়ে পাঁচ মিনিট পর ফাউন্ডেশন লাগালে তা ভালো বসবে ত্বকে। এর পরও দরকার হলে লাগাতে পারেন কনসিলার।
এরপর লাগান ক্রিম ব্লাশ—অন। চাইলে শিলার দিতে পারেন ব্লাশ—অনের উপর শুধু গালের হাড়ে। এক পরত লুজ পাউডারের পোঁচে শেষ করুণ ত্বকসাজ।
এবার চোখের সাজে ভুরুর নিচে সোনালী, রুপালি বা অফ হোয়াইট আই শ্যাডো দিন হাইলাইটার হিসেবে। বেছে নিন চিকচিকে (শিমার) ধরণের আই শ্যাডো। দুই—তিন রঙ আই শ্যাডো মিলিয়ে দিতে পারেন। অথবা কম সময়ে মেকআপ করতে চাইলে শুধু বাদামী শ্যাডো দিয়ে মাশকারা, উপর পাতায় আইলাইনার, নিচে কাজল দিয়ে নিন।
ঠোঁট সাজাতে আগে লিপলাইন করুণ। তরুণীদের ভালো লাগবে ফ্রস্টেড লিপস্টিক বা লিপ গ্লসে। শুধু গ্লসে চটচটে ভাব হয় অনেকের। গ্লস দেওয়ার পর বরফ ঘষে নিলে তা কেটে যাবে ও দীর্ঘস্থায়ী হবে। লিপস্টিকের উপরও গ্লস দেওয়া যেতে পারে।
ব্লাশ—অন, শ্যাডো, লিপস্টিক, লিপ গ্লসের জন্য পিচ, গোলাপি, ব্রাউনের হালকা শেডগুলো সব রঙের পোশাকের সঙ্গে মানানসই। চোখের সাজকে ফুটিয়ে তুলতে পারেন নানা ধরণের মাশকরা যেমন—থিকেনিং,, ভলিউমাইজিং, কারলিং ও অন্য রং যেমন নীল মাশকারার ব্যবহারে। ব্যস, সালোয়ার—কামিজে পার্টি সাজে আপনি একদম তৈরি।
গরমের জন্য মেকাপ টিউটোরিয়াল : ভিডিও টি দেখে আরও কিছু শিখতে পারেন।
জমজমাট অনুষ্ঠানের সাঁজসজ্জা
উৎসব অনুষ্ঠানে ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে নিজেকে সাজাতে মাথায় গুরতে থাকে নানা আইডিয়া। সে ক্ষেত্রে অবশ্য প্রাধান্য বেশী থাকে পোশাকের। তবে তরুণীরা এসব সামাজিক অনুষ্ঠানে পোশাক নির্বাচনে পড়ে যায় বিপাকে। অনেকেই মনে করেন জমকালো উৎসবের পোশাক মানেই শাড়ী। কিন্তু শাড়ীর অনভ্যস্ততার কারণে তরুণীদের আড়ষ্টতায় ভোগতে হয়। আসলে তারুণ্যের উচ্ছ্বলতায় শাড়ীর ভারিক্কি অনেক ক্ষেত্রেই বেমানান। বিশেষ করে তরুণীরা, যারা পার্টি—পরিচ্ছদের দ্বন্ধে ভুগছেন; তাদের বিকল্প চয়েজ হতে পারে সালোয়ার—কামিজ। তবে তা হওয়া উচিৎ জঁমকালো, দৃষ্টিনন্দন ও শালীন।
যেমন হবে
আপনার কামিজটি অবশ্যই হওয়া চাই ছাঁট—কাটে অনন্য। এখনকার দনে চাপা মুহুরির সালোয়ার ছাড়া চুড়িদার, ধুতি, পেশওয়ারি ও ফ্লেয়ার স্টাইলের সালোয়ার পরতে পারেন। ধুপিয়ান, এন্ডি সুতির কাপড়ে চুড়িদার সালোয়ার বেশ ভালো হয়। ভাঁজগুলো খুব সুন্দরভাবে বোঝা যায়, এখনকার দিনে সেমিশর্ট কামিজটাই বেশি চলে। এর সাথে মানানসই থ্রি—কোয়ার্টার হাতা। তবে পাতলা নেট বা শিফনের চুড়িদার হাতা কামিজও ভালোলাগে চুড়িদার স্টাইলের সালোয়ারের সাথে।
হাইনেক, ভি-গলা, বোটনের প্রভৃতি গলা বেশ চলনসই । এ ছাড়া কামিজে ফ্রক স্টাইল ও ঘেরওয়ালা কামিজ বেশ জনপ্রিয়। একটু বড় গলা থাকে পিছনে; এবং ফিতা দিয়ে তার সাথে আকর্ষণীয় ডিজাইনের ছোট বল, ঝুলিয়ে দিতে পারেন। এটি কামিজে আনবে ভিন্নমাত্র। ওড়নাতেও থাকে নানা ডিজাইন। এমব্রয়ডারি, চুমকি, লেইস ও পাথরের হালকা কাজ থাকতে পারে।
রকমফের
গর্জিয়াস কামিজ বলতে জরি, চুমকির কাজকেই বোঝায় না। কামিজ নির্বাচনে প্রথমেই প্রাধান্য দিতে হবে কামিজটির কাপরকে। অনুষ্ঠানে পরার জন্য কামিজের উপযোগী কাপড় সিল্ক, জর্জেট, ধুপিয়ান, সিল্ক, শিফন, শিমার জর্জেট, মসলিন, কাতান, টিস্য নেট—যেগুলো বেশ আকর্ষণীয়। জমকালো কাপড়ে অল্প সুতা, জরির এমব্রয়ডারি, পাথর, চুমকি, লেইস প্রভৃতির কাজে আপনার পোশাকটি হয়ে উঠবে চকমপূর্ণ। রাতে দাওয়াতে ডার্ক কালার যেমন-কালো, মেরুন, সবুজ, কফি, নীল প্রভৃতি কাপড়ে পাথরের কাজের কামিজ; এবং দিনের দাওয়াতে হালকা রঙের যেমন-হালকা বিস্কিট, লেমন, সাদা, পেষ্ট, পিচ, গোলাপি প্রভৃতি কালারের কামিজ পরতে পারেন।
আরও খুঁটিনাটি (more details)
টুকিটাকি কিছু বিষয়ে কেনে-বুঝে নিন কেমন সালোয়ার-কামিজে হয়ে উঠতে পারেন পার্টির মধ্যমণি। সিল্ক, এডি সিল্কের কামিজের হাতায়, গলায়, দুই পাশে, বুকে কাতান পাড়ের সমন্বয় দারুণ জমকালো লাগে। এর সঙ্গে নিতে পারেন চারদিকে কাতান পাড় দেওয়া মসলিনের ওড়না। রঙ্গে তো বটেই, দিনের আর রাতের পার্টির পোশাকে তফাতটা হবে কাপড়েও। দিনের অনুষ্ঠানে পড়ুন ‘ম্যাট’ বা অনুজ্জ্বল কাপড় যেমন এন্ডি সিল্ক। তাতে ঝকমকে সোনালী নয়, ভালো লাগবে ম্যাট সোনালী, তামাটে, অ্যান্টিক রঙের কাজ। ধুপিয়ান, বলাকা, রাজশাহী সিল্কের মতো জ্বলজ্বলে সিল্কগুলো আলো ঝলমলে রাতের পার্টির জন্য যথার্থ।
বেঁছে নিন আপনারটি (Choose yours best)
লম্বা—রোগা মেয়েদের হাঁটুর ঠিক মাঝ অবধি লম্বা কামিজ, চুড়িদার সালোয়ার বেশ মানিয়ে যাবে। একটু মোটা গড়নের মেয়েদের কামিজের ঝুল হওয়া চাই হাঁতুয় ছাড়ানো। পোশাকে ষ্ট্রাইপ এড়িয়ে পড়ুন এক রঙ্গা কাপড়। খাটো, হালকা—পাতলা তরুণিদের হাঁটুর ওপর অবধি ঝুলের কামিজ ও তার সঙ্গে উঁচু হিল জুতায় বেশ লম্বা লাগবে। তারা বাদ দিন আড়াআড়ি (হরাইজন্টাল) ষ্ট্রাইপের কাপড়।
আরও যা যা লাগবে (Need the more)
চুড়িদারের সঙ্গে ফ্ল্যাট জুতা (flat shoes) বেশ মানানসই । বৈচিত্র্য আনতে পরতে পারেন। নাগরাও । অল্প হিল, কালো জুতা পরা যায় যেকোনো রঙের পোশাকের সঙ্গেই। হালকা রঙের পোশাকে মানাবে অনুজ্জ্বল সোনালি, খয়েরি জুতা। অভ্যস্ত হলে ক্লাচ ব্যাগ নিতেই পারেন। সদ্য তরুণীদের ব্যাগ ঝুলিয়ে চলার অভ্যাস থাকায় হাতলহীন ক্লাচ ব্যাগটিকে ভুলে ফেলে যেতে পারেন কোথাও। তাই তারা পোশাকের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে হাতে ঝোলান নকশাদার বাহারী ‘বটুয়া’ ব্যাগ।
হাতভরা চুড়ি নয়, কবজিতে পড়ুন বেস্টলেট (bracelet)। কানের দুলটা ভারি হলে কামিজের লম্বা ঝোলানো দুল। আর লম্বা মুখ, খাড়া নাকের অধিকারীরা পরুন ঝুমকা। রিং, বড় গোল দুল মানিয়ে যাবে চাপা গালের মেয়েদের। কামিজের গলাটা ছড়ানো হলে কানে—গলায় বেশ লাগবে পেনডেন্ট।
পার্টিতে সোনা, অক্সিডাইজড বাদ; পড়ুন রুপা, ইমিটেশন, পাথর বসানো মাল্টিকালার, অ্যান্টিক, কপার কালারের গয়না। রং মিলিয়ে হাতে, পায়ের আঙ্গুলে গলিয়ে নিন মানানসই আংটি। খেয়াল রাখুন পোশাক—জুতা, গয়নার নকশার রঙ্গে সোনালী—রুপালির গরমিল না হয়।
এরপর পড়ুন : কিভাবে রূপচর্চা করবেন-রূপচর্চা করার নিয়ম
ডিয়ার রিডারস, আপনি যদি আমার বাংলা পোস্ট.কম এ নতুন হয়ে থাকেন, তাহলে স্মার্টনেস বিষয়ের উপর আমাদের অন্য আর্টিকেল গুলো পড়ুন।
ধাপ এক: স্মার্ট হওয়ার উপায়- স্মার্ট হবার A-Z গাইডলাইন
ধাপ দুই: আকর্ষণীয় হওয়ার উপায় ও কৌশল
ধাপ তিন: ফ্যাশন : ছেলেদের ও মেয়েদের ফ্যাশন আইডিয়া A-Z
ধাপ চার:মানুষের সামনে কথা বলার কৌশল
লেখকঃ চৌধুরী দীন ইসলাম।
For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.