তিশার বাসর (বাসর রাতের ছোট গল্প)
কিছুক্ষণ আগে তাঁর বিয়ে হয়েছে। পাত্রপক্ষ সন্ধ্যাবেলা দেখতে আসল। কিছুক্ষণ কথাবার্তা হল। সে শুধু শুনেছে ছেলে নাকি সোনার টুকরা! ভাল চাকরি করে! ঘূষ না খেয়েই ভাল বেতন পায়। ছেলে তাকে পছন্দ করেছে। আর এতেই বাবা আনন্দে আত্মহারা। হঠাৎ বাবা এসে তাকে জিজ্ঞেস করলেন, মা আমরা চাই তোর এখানে বিয়ে হোক। তোর কি আপত্তি আছে?
তিশা কি বলবে প্রথমটায় বুঝতে পারছিল না। পরে ভাবল বিয়ে তো করতেই হবে। তাছাড়া পাত্রের চেহারা তাঁর অপছন্দ হয়নি। তাই সে হ্যাঁ-বোধক মাথা নাড়িয়ে দিল!
কিন্তু তখন তাঁর মনে তেমন কোন জটিল চিন্তা না আসলেও এখন চরম অস্বস্তিতে তাঁর মাথা ঘুরাচ্ছে! লাল একটা শাড়ি পরে সে বিছানায় চুপচাপ বসে আছে। একটু পরে তলাম (পাত্রের নাম) আসবে। বিষয়টা তিশা এখনো মেনে নিতে পারছে না। চেনে না-জানে না এমন একটা লোকের সাথে তাকে একই ছাদের নীচে থাকতে হবে! আচ্ছা তমাল এসে কি করবে! হালুম করে ঝাঁপিয়ে পড়বে নাতো! ইস এসব আমি কি ভাবছি!!
তিশার ভাবনা অদ্ভুত থেকে উদ্ভুতুড়ে পর্যায়ে যেতে থাকে!
সম্পূর্ণ অপরিচিত একজন মানুষের সাথে কিভাবে আমি থাকব? একই ছাদ….একই বিছানা…..এ মা কাঁথাও তো একটাই….।
একটু পর তমাল আসল। দরজা বন্ধ করার সাথে সাথে তিশার বুকটা কেঁপে উঠল। সে চোখ বন্ধ করে রইল। কিন্তু তাঁর কান সম্পূর্ণ সজাগ! সে স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছে তমাল হেঁটে হেঁটে খাটের কোণায় এসে পৌঁছেছে!
হঠাৎ তিশার মনে হল কেউ বোধ হয় তাঁর শাড়ির আঁচল ধরে টানছে। শিট! এসেই শুরু করল! এ তো দেখছি চরম অসভ্য লোকরে বাবা! পরক্ষণেই তিশা চোখ মেলে দেখল তাঁর শাড়ি ধরে কেউ টানেনি। আঁচলের এক অংশ খাটের মশারি স্ট্যান্ডের সাথে আটকে গিয়েছিল। আর তমাল তাঁর সামনে বসে আছে। সে তিশাকে অবাক করে দিয়ে বলল, তোমার চোখ দুটো তো অনেক সুন্দর!
লেখকঃ শাদাত শাহরিয়া। লেখক এই বাসর রাতের গল্পটি প্রথম প্রকাশ করেছেন সামহ্যোয়ারইন ব্লগে।
আরও পড়ুন : অপুর বাসর রাত (বাসর রাতের গল্প ১) , পাজী মেয়ে (রোমান্টিক গল্প)
Image by : Jump1987 from pixabay
প্রিয় পাঠক পাঠিকা, তিশার বাসর গল্পটি পড়ে ভালো লাগলে এটি আপনার বন্ধুদের পড়াতে শেয়ার করুন।
For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.