অবৈধ প্রেমের পরিণতি (প্রেমের গল্প)

অবৈধ প্রেমের পরিণতি (মাহমুদার প্রেমের গল্প)

ক্রি ক্রিংক্রিং….
-হ্যালো! কিরে কি ব্যপার, নাহিদ বলল।
-দোস্ত এক জায়গায় যাব! মাহমুদ বলল।
-কই যাবি?
– একটা মাল আছে বুঝলি। অনেক কষ্টে জালে আটকাইছি। আজকে যাইতে বলছে।
-কস কি হালা! কেমনে কি মামা।
-বেটা, রেডি হয়ে এদিকে আয়। বাইক রেডি।
-ওকে দোস্ত।
নাহিদ রেডি হয়ে মাহমুদের বাসার সামনে আসতেই দেখে মাহমুদ বেরিয়ে আসতেছে। বাইক টা বাড়ির উঠানেই ছিল।
দোস্ত খুইলা ক কাহিনি কি? নাহিদ জিজ্ঞাসু ভংগীতে বলল।
-মালটার নাম মাহমুদা, বুঝলি। দেখতে সেরাম। অনেক কষ্টে পটাইছি। তোরে না কইলাম কয়দিন আগে একটা মেয়ে পছন্দ হইছে গার্লস স্কুলের ক্লাস নাইন এ পড়ে।
-তুই পারিস ও বটে।
-গাড়িতে উঠ, বাসায় ওর মা বাবা নাই, এই সুযোগে দেখা করে আসি। ২ জনকে নিয়ে গাড়ি চলতে শুরু করল লক্ষ মাহমুদার বাড়ি।
দোস্ত গাড়িটা নিরাপদ জায়গায় রাখতে হবে।
-উকে, দোস্ত।
ক্রি ক্রিংক্রিং,
নাহিদ, কল দিছে সে। দাড়া কি কয় শুনি।
-হ্যালো!
-হ্যালো, মাহমুদ কই তুমি। বললাম না মা বাবা আজকে বাসায় নাই। পরে কিন্তু সুযোগ পাবেনা।
-পেয়ারি জান্টুস, আমি তোমাদের বাসার কাছেই। গেটের সামনে আসলে কল দেব।
– উম্মা, শুনো গেইট কিন্তু বন্ধ। দারোয়ান আছে কিন্তক। তুমি ওয়াল টপাকাইয়া আসতে হবে।
-এটা কোন ব্যাপার হলো। তোমার জন্য আমার জীবনটাই দিয়ে দেব।
– ওলে বাবুটা, আমি জানিত তুমি আমাকে কত্ত ভালোবাসো।
-ওকে, টাটা, উম্মা।
-ওকে, উম্মা।
দোস্ত দেখলিত ত কি অবস্থা। বাসার কাছে ত এসে গেছি। মাহমুদ বলল
– কল দে তাহলে।
-উকে
ক্রি ক্রিংক্রিং
-হ্যালো, কই তুমি এখনো কি রাস্তায়?
-নাহ, তোমাদের গেইট এর পাশে কিন্তু এত উঁচু ওয়াল।
-তোমাকে আমি দেখতে পাচ্ছি বাবু। পাশের এটা কে?
-এটা নাহিদ, আমার বন্ধু।
-আচ্ছা, তাড়াতাড়ি ওয়াল টপকাইয়া চলে আসো।
– ওকে,টাটা।
নাহিদ, এদিকে আয়। এই কাঠ টা ওয়ালে লাগিয়ে দে পার হয়ে যাওয়া যাবে সহজে।
২ বন্ধু ঢুকলো মাহমুদার বাসায়। পিছনের দরজা মাহমুদা খুলে দিয়েছিল। ২ জন গিয়ে বসল গেস্ট রুম এ। কেমন আছো কুশলাদি শেষ করে নাহিদ কে চা বিস্কিট এবং ফলমূল দিয়ে গেস্ট রুমেই বসতে দিল। মাহমুদ চলে গেল মাহমুদার রুমে। এদিকে নাহিদ বসে বসে চা বিস্কিট খাচ্ছে আর চিন্তা করতেছে, এমন সুন্দর মেয়ে পটালো কি করে। কিছুক্ষণ পর মাহমুদ বেরিয়ে নাহিদের কাছে আসলো সাথে মাহমুদা। মাহমুদ কোন মতেই আসতে চাচ্ছেনা। মাহমুদা বলল, আরো ত সময় আছে,সময় সুযোগ পেলেই তোমাকে আসতে বলব। নাহিদ ও বুঝালো। মাহমুদার কাছে বিদায় নিয়ে ২ জন ওয়াল পার হয়ে চলে আসল রাস্তায়। পথেই নাহিদ জিজ্ঞেস করল মাহমুদ কে।
– দোস্ত, তুই বলেছিলি মেয়েটা সুন্দর। কিন্তু এত সুন্দর হবে চিন্তা করিনি। কিভাবে পটালি। জিজ্ঞাসু এবং কিউরিয়াস মাইন্ড নিয়ে নাহিদ প্রশ্ন করল।
-সে অনেক কথা। টিক্স লাগে বুঝলি। এমনি এমনি ত মেয়েরা ধরা দেয়না। অহংকার ভাব নিয়ে মাহমুদের উত্তর।
-বেটা আমাকে রাইখা ত ভিতরে ঢুকে গেলি, কি করলি?
মাহমুদের মুখের রং একটু উবে গেল। আর বলিস না। এত কষ্ট করে দেখা করতে আসলাম, কিছুই করতে দিল না। অনেক কষ্টে একটা চুমো দিতে দিল শুধু।
– কাহিনি খুলে বল কিভাবে এই মেয়ে পটাইলি?
মাহমুদ শুরু করল শুরুর কাহিনি। তুই ত জানিস আমার ভাইয়া ছাত্রলীগ এর থানা সভাপতি। আমার ভাইয়ার সাথে ওর বাবার ব্যবসায়ীক সম্পর্ক আছে। একদিন টাকার জন্য এদের বাড়িতে যেতে হয়েছিল। ওই দিন প্রথম দেখলাম মাহমুদাকে। দেখেই পছন্দ হয়ে গিয়েছিলো। ওইদিন কথা বলতে পারিনি। পরে খোজ খবর নিয়ে জানলাম গার্সল এ পড়ে, ক্লাস নাইন এ। উঠতি বয়স, এই হচ্ছে সময়। এই বয়সের মেয়েরা একটু আবেগি বেশি। একদিন স্কুলের সামনে চলে গেলাম। যেহেতু একবার দেখেছি চিনতে কষ্ট হয়নি। ওইদিন কথা বলিনি, ওর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। যেন বুঝে। পর দিন আবার গেলাম, এ দিন ও শুধু তাকিয়ে ছিলাম। এর ২ দিন পর আবার গেলাম, এবার সুযোগ পেয়ে, কেমন আছেন, এই সেই জিজ্ঞেস করে কেটে পড়লাম। পরদিন আবার, এবার দেখি অনেক গুলো বান্ধবীর সাথে দাঁড়িয়ে আছে। গিয়ে অন্য মেয়েদের কে বললাম তোমরা একটু ওদিকে যাও, মাহমুদার সাথে একটু কথা আছে। ওর চেহারা লাল হয়ে উঠলো। বান্ধবিরা পাশে যেতেই বলে উঠলো, আপনার সমস্যা কি? আমার পিছু ঘুরঘুর করতেছেন কেন?
-কেন ঘুর ঘুর করতেছি তা জানিনা। তবে এটা জানি তোমাকে না দেখলে আমার ভালো লাগেনা। এটা বলেই হাটা দিলাম আমি। এটা কেন করলাম জানিস নাহিদ কে অহংকার ভাব নিয়ে মাহমুদ বলল। মেয়েরা খুবই কিউরিয়াস মাইন্ড এর। পর দিন দেখি মাত্র স্কুল ছুটি হয়েছে। গিয়ে পাশে দাড়াতেই ও বলল।
– গত কাল এভাবে চলে গেলেন কেন?
-তুমি কি ভাববে, তায় চলে গেলাম।
মাহমুদা চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিল। আমি আবার বললাম। তোমাকে আমি পছন্দ করি। তাও চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে। আমি আবার বললাম, বিশ্বাস হচ্ছেনা দাঁড়াও প্রমাণ দিচ্ছি। আমি পাশের দোকানে গিয়ে একটা ব্লেড কিনে তার সামনে গেলাম, হাতে ব্লেড দিয়ে হালকা টান দিতেই রক্ত ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে আসলো, হাত টা রক্তে ভরে গেল। মেয়ে মানুষ ত একটু রক্ত দেখেই ভটকে গেল। চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছিল ভয় জড়তা সব এসে ঘিরে ধরেছে তাকে। আমি আর অপেক্ষা করিনি সাথে সাথেই কেটে পড়লাম। আমার দরকার ছিল এ মুহুর্তটা। এরপর এই মেয়ে আর ঘুমাতে পারবে না আমি শিউর ছিলাম। ২ দিন আমি আর যাইনি স্কুলের ওদিকে। কারন, এর মধ্যে আমাকে দেখার আগ্রহ যেন তিব্র হয় তার জন্য সময় নিচ্ছিলাম। তৃতীয় দিন গেলাম স্কুলের কাছে। দেখে নিজেই আমার দিকে ছুটেছ আসলো। এসে বলল, আপনি কি মানুষ? এভাবে হাত কেটে পেললেন। চেহারা রাগান্বিত করে তাকিয়ে ছিল আমার দিকে। আর কিছু বলল না। চুপচাপ আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। আমি আমার নাম্বার টা তার হাতে দিয়ে বললাম। তোমাকে অনেক ভালোবাসি মাহমুদা। হাত কাটা কোন বিষয় ই না। এরপর ই চলে আসলাম। টানা কয়েকদিন কল আসলোনা। আমিও আর ওর স্কুলে যাইনাই। এ সপ্তাহ পর একটা আননোন নাম্বার থেকে কল আসলো।
-হ্যালো,
ওদিক থেকে চুপচাপ, কোন সাউন্ড নাই। আমি বুঝে ফেললাম মাহমুদা ই হবে। এবার সরাসরি বলে ফেললাম, কেমন আছো মাহমুদা।
উত্তর না দিয়ে মাহমুদা বলল,
– আপনার হাতের কি অবস্থা? ঘা কি শুকিয়েছে।
বুঝার বাকি রইলো না, হাত কাটার বিষয় টা তার খুব ভিতরে লেগেছে। আবেগি মন তো।
এরপর থেকে প্রতিদিন ই কথা হতো। আস্তে আস্তে ওকে লাইনে আনলাম। ওর মুখ থেকেও বের করলাম ভালোবাসে আমায়। একদিন বলে উঠলো আজকে যেভাবে হোক দেখা করবেন। আমি বললাম, আমি ত ঢাকাতে, কিভাবে? আবেগি মন ওর, বলল আপনি যদি আমাকে ভালোবাসেন তাহলে আসবেন দেখা করতে!
আমি এর অপেক্ষায় ই ছিলাম। আমি আসলে ঢাকা ছিলাম না। সকালে ভোরে ভোরে ওর স্কুলের সামনে গেলাম। স্কুলের পথেই দেখা ওর সাথে দেখা কোচিং এ যাচ্ছে। ও ধারুন অবাক হয়েছিল সেদিন। আমি ও তার মনের অবস্থা বুঝে বললাম, তোমার জন্য সব করতে পারি। রাতেই বাসে উঠলাম। সারারাত বাসে ছিলাম। সকালে এখন তোমার সামনে। ও ধারুন প্রভাবিত হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরল। রাস্তায় জড়িয়ে ধরলো, পাশে কেউ দেখছে কিনা তার সেই খেয়াল ছিল না। একটু পর ছেড়ে দিয়ে দৌড়ে চলে গেল বান্ধবিদের কাছে। আরো একদিন ও বলল, রাতে দেখতে যেতে হবে। ওদিন সত্যি আমি ঢাকায়। ওর জোরাজোরি তে গাড়িতে উঠে রাতেই ওর বাসার সামনে যাই। ওর মা -বাবা নাকি বাড়িতে তায় চলে আসতে হলো। মেজাজ খুব খ্রাপ হয়েছিল ওদিন। যদিও পরের দিন গুলোর কথা ভেবে তৃপ্তির ঢেকুর তুললাম। এরপর তোকে(নাহিদ) নিয়ে আজকে গেলাম।
– বাহ বাহ, তুই পারিস ই। আচ্ছা তুই না শুনলাম সায়মা কে ভালোবাসিস?
-দূর বেটা! বিয়ে করব মা বাবার পছন্দে। এখন সব খেয়ে ছেড়ে দাও টাইপ।
-এটা কিন্তু ঠিক না। তুমি অন্যের জীবন নষ্ট করবা। তোমার বউ কে নিয়েও অন্যে লুতুপুতু ক্রিকেট খেলবে।
– দূর, পরের টা পরে দেখা যাবে। দু জন যার যার বাসায় চলে গেল।

আরও পড়তে পারেন : সস্তা মেয়ে (প্রেমের গল্প) | Short love story

প্রায় ৭-৮ মাস পর নাহিদের সাথে আবার মাহমুদের দেখা। ভার্সিটির ক্লাসের চাপে ঢাকায় থাকতে হচ্ছে নাহিদের। যার জন্য দেখা নেই।
-যোগাযোগ ই রাখলিনা। ভুলে গেলি? মাহমুদ বলল
– ভার্সিটির ক্লাস পরিক্ষা এইসেই।
– আমি তো কিছুদিন একজায়গায় লুকিয়ে থাকতে হবে। তোর ঢাকার মেসে আমার জন্য রুম দেখিস।
– সমস্যা কি হইছে দোস্ত।
– তেমন কিছু না। ওই যে মাহমুদার সাথে তোকে নিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলাম। ও ত প্রেগন্যান্ট হয়ে গিয়েছিল। ওষুধ খাইয়ে ঠিক করে পেলেছি।
-মানে কি? ক হয়েছে খুলে বল তো!
– মেয়ে গুলা বোকারাম, যদি তুই বুঝাতে পারিস তুই ওকে ভালোবাসিস, তাহলে তার সব দিয়ে দিবে তোকে। আর আবেগি মেয়ে রা বোকা টাইপ হয় বেশি। কয়েকদিন পর পর দেখা করতে যেতাম মাহমুদার সাথে। আমিও আস্তে আস্তে তার কাছাকাছি যাচ্ছিলাম বেশি। মাঝেমাঝে রাগ দেখাতাম অনেক। কাজ হতো এতে। মাঝেমধ্যে বুঝাতাম তোমাকে এত্ত ভালোবাসি আর তুমি এই টুকু পারবেনা। একদিন তার মায়ের কাছে প্রায় ধরা খেয়ে গেছিলাম । একজায়গায় লুকিয়ে রাখলো আমায়। আর রিস্ক নি নাই পর দিন ই ওর লাজ লজ্জা সব ভেঙে দিলাম। কিন্তু সমস্যা হয়ে দাড়ালো। এর কয়েকদিন পর ও বলল যদি আমি প্রেগন্যান্ট হয়ে যাই। এ কথা শুনে হতবুদ্ধ হয়ে গেলাম আমার বন্ধুর কাছে গিয়ে কিছু ওষুধ নিয়ে ওকে দিয়ে দিলাম। এরপর ও প্রায় কয়েকদিন পর পর ই ওর কাছে যেতাম। ওর মা বাবা ব্যবসা পলিটিক্স নিয়ে ব্যস্ত। আর আমি এই সুযোগ এ সেরে নিতাম কাজ। কিন্তু সমস্যা বেধে গেছে ওর মা বুঝে পেলেছে। ওকে অন্য কোথাও বিয়ে দেয়ার জন্য নাকি চাপ দিচ্ছে। আর ও আমাকে বলতেছে ওকে নিয়ে পালিয়ে যেতে। আমার কি মাথা খারাপ ওকে নিয়ে পালাবো। বিয়ে হয়ে গেলেই আপদ বিদায়।
-কি কস তুই।
– যা বাসায় যা পরে কথা হবে।
.
এদিকে মাহমুদার ঘুম নেই, খাওয়া নেই। কাঁদতে কাঁদতে চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে। প্রতিদিন মাহমুদ কে কয়েকশবার কল দেয়, কিন্তু কল ধরেনা। কয়েকদিন পর আর কল ই ঢুকেনা। মাহমুদা এখন কাঁদতে ও ভুলে গেছে। সামনে SSC পরিক্ষা সেদিকের কোন চিন্তা মাথায় নেয়ার মত অবস্থা নেই। মাঝেমাঝে ইচ্ছে করে আত্মহত্যা করার জন্য। মাঝেমাঝে নিজের শরীরের প্রতি, নিজের সৌন্দর্যের প্রতি খুব রাগ হয়। মাঝেমাঝে বিড়বিড় করে বলে, মেয়ে হয়ে না জন্মালে ত এই পরিণতি হতোনা। মাঝেমাঝে আল্লাহর প্রতি রাগের সহিত বলে, কেন আমার সাথে এমন হলো। একদিন ছুড়ি দিয়ে হাত কেটে পেলল, বিষ খেয়ে পেলল, এ জীবন আর রাখবেনা। যখন জ্ঞান ফিরে আসলো, মাহমুদা তখন ঢাকা এপোলো হাসপাতালে। মা বাবা তাকে কিছুই জিজ্ঞেস করেনি। একমাত্র মেয়ে তাদের। শুধু বলল, মারে তুই এমন করলি কেন? আমি তোর মা আমাকে তো বলতে পারতি। মাহমুদা এখন বারান্দায় চুপচাপ বসে থাকে। মাঝে মাঝে কাঁদে, আর অতিত হাতড়িয়ে খুজে ফিরে মাহমুদ কে। মাঝেমাঝে ইচ্ছে জাগে মাহমুদ কে ফেলে খুন করে পেলবে। যে মাহমুদা ছিল ঘরের সৌন্দর্য, সে এখন বারান্দা আর তার রুমেই পড়ে থাকে….

মাহমুদ এখন ঢাকায়। নাহিদের মেসে উঠেছে। ঢাকায় এসে নতুন একজন পটিয়েছে। মাহমুদের ভাষায় এদের কে সে বলে মাল…….

লেখক : ভ্যাকটেস মাহমুদ।

পর্ব : শয়তানের ফাঁদ ২।

আরও পড়তে পারেন : সর্বনাশা প্রেম (প্রেমের গল্প-কাহিনী)

For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.

Leave a Comment