ধাপ ১ : অযু সম্পর্কে গোপনীয় মাসআলা!
মাসআলা—১ : যৌবনের উত্তেজনায় প্রথম যে পানি বের হয় উহাকে মযী বলে। আর যখন আনন্দ ও মধুরতায় মন ভরে উঠে তখন যে পানি বের হয় উহাকে মনী (বীর্য) বলে।
মাসআলা—২ : মযী ও মনী চেনার উপায় হলো, মনী বের হওয়ার পর মন ভরে যায় এবং উত্তেজনা স্তিমিত হয়ে আসে কিন্তু মযী বের হওয়ার পর উত্তেজনা কমেনা বরং আরও বেড়ে যায়। তাছাড়া মযী পাতলা হয় এবং মনী গাঢ়। মযী বের হওয়ার কারণে গোসল ফরয হয় না। আর মনী বের হলে গোসল ফরয হয়।
মাসআলা—৩ : পেশাবের পরে মাটি বর্ণের যে গাঢ় পানি বের হয় উহাকে অদী বলে। মযী ও অদী বের হলে অযূ ভেঙ্গে যায়।
মাসআলা—৪ : পুরুষের স্পর্শে কিংবা যৌন চিন্তার কারণে মহিলার সামনের রাস্তা দিয়ে পানি আসলে অযু ভেঙ্গে যাবে। উত্তেজনার সময় যে পানি বের হয় উহাকে মযী বলে।
মাসআলা—৫ : রোগের কারণে মহিলাদের সামনের রাস্তা দিয়ে শ্লেষ্মার মত লাচা জাতীয় যে পানি বের হয় উহা নাপাক। মযী বের হলে নির্ভরযোগ্য মতে অযু ভেঙ্গে যায়।
মাসআলা—৬ : পেশাব অথবা মযীর ফোটা পেশাবের স্থান থেকে বের হয়ে ছিদ্রের বাইরে চলে এসেছে কিন্তু এখনও পেশাব উপরের চামড়ার ভিতরেই রয়ে গেছে তাহলে অযু ভেঙ্গে যাবে। অযু ভাঙ্গার জন্যে পেশাব চামড়ার বাইরে আসা জরুরী নয়।
মাসআলা—৭ : অযু করার পর গুপ্তাঙ্গ খুলে গেলে কিংবা গুপ্তাঙ্গে দৃষ্টি পড়লে অযু নষ্ট হবে না।
মাসআলা—৮ : অযু করার পর পেশাবের জায়গা স্পর্শ করলে (মহিলা—পুরুষ কারো) অযু নষ্ট হবে না।
উৎস : নারীর শ্রেষ্ঠ উপহার বই থেকে সংগ্রহ।
এরপর পড়ুন : মেয়েদের গোসলের গোপনীয় মাসআলা
Photo by Ferdy Jayadi from Pexels
For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.
মাশাআল্লাহ, অনেক সুন্দর লেখনি । খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই লেখাটার জন্য স্পেশাল ধন্যবাদ