মেয়েদের গোসল সম্পর্কে গোপনীয় মাসআলা

মেয়েদের গোসলের মাসআলামেয়েদের গোসল সম্পর্কিত অতি গোপনীয় মাসআলাগুলি জানার ও শিখার প্রয়োজন যা নাবালিকা মেয়ে, নারী ও মহিলাদেরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র রাখতে সাহায্য করবে। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও এমন কিছু শরীরবৃত্তিও ঘটনা আছে যে ঘটনাগুলি ঘটার ফলে গোসল ফরয হয়ে যায় বা ফরয গোসল করা ওয়াজিব হয়ে যায়। আজ আমরা মেয়েদের গোপনীয় কথাগুলির ২য় ধাপে জানবো মেয়েদের গোসল সম্পর্কিত গোপনীয় মাসআলাগুলি যা শরীরবৃত্তিও ঘটনার পর পালন করতে হবে। তাহলে চলুন শুরু করি…

ধাপ ২ : মেয়েদের গোসল সম্পর্কিত গোপনীয় মাসআলা

মাসআলা-৯ : গোসলের সময় পেশাবের জায়গায় অগ্রভাগের চামড়ার ভিতরে পানি পৌঁছানো ফরয। যদি পানি না পৌঁছে তাহলে ফরয গোসল শুদ্ধ হবে না। তদ্রূপ পুরুষের মুসলমানী করানোর পূর্বে পেশাবের জায়গায় চামড়ার ভিতরের পানি না পৌঁছালে ফরয গোসল আদায় হবে না।

মাসআলা-১০ : পুরুষ কিংবা মহিলার জাগ্রত কিংবা ঘুমন্ত অবস্থায় কামোত্তেজনার সঙ্গে মনী (বীর্য) বের হওয়ার ফলে গোসল ফরয হয়।

মাসআলা-১১ : ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার পর কাপড় কিংবা শরীরে মনীর (বীর্য নির্গত হওয়ার) চিহ্ন দেখা গেলে গোসল ফরয হয়ে যাবে। স্বপ্নে কিছু দেখে থাকুক কিংবা না দেখে থাকুক।

মাসআলা-১২ : পুরুষাঙ্গের সুপারী মহিলার যৌনাঙ্গের(যোনি) ভিতর প্রবেশ করলে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের উপর গোসল ফরয হয়ে যায়। যদিও মনী বের না হয়।

মাসআলা-১৩ : প্রতি মাসে মহিলার সামনের রাস্তা দিয়ে যে রক্ত বের হয় উহাকে হায়েয (মাসিক বা ঋতুস্রাব) বলে। এ রক্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর গোসল করা ফরয। সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর যে রক্ত আসে উহাকে নেফাস বলে। ইহা বন্ধ হওয়ার পরেও গোসল করা ফরয।

মাসআলা-১৪ : অপ্রাপ্ত বয়স্কা মেয়ের সঙ্গে সহবাস করলে মেয়ের উপর গোসল করা ফরয হয় না। কিন্তু অভ্যাস গড়ে তোলার জন্যে গোসল করানো উচিৎ।

মাসআলা-১৫ : গোসল শেষ করার পর যদি কোন মহিলার লজ্জাস্থান(যোনি) হতে পুরুষের মনী (বীর্য) বের হয়ে আসে তবুও গোসল হয়ে যাবে। পুনরায় গোসল করা জরুরী নয়।

মাসআলা-১৬ : নিজের যৌনাঙ্গ হতে মনী বের হওয়ার পর গোসল করে নিল। গোসল শেষে আবারও মনী বের হলো, তাহলে তাঁর পুনরায় গোসল করা ফরয।

মাসআলা-১৭ : যদি রোগের কারণে কিংবা বোঝা উঠানোর কারণে, কিংবা উঁচু জায়গা হতে নামার কারণে বা আছাড় খাওয়ার কারণে কিংবা অন্য কোন কারণে পুরুষ অথবা মহিলার বীর্যপাত হয় এবং উত্তেজনা, কামভাব ও চাহিদা আদৌ না থাকে তাহলে গোসল ফরয হবে না। তবে অযু নষ্ট হয়ে যাবে।

মাসআলা-১৮ : যার উপর গোসল ফরয সে যদি গোসলের পূর্বে পানাহার করতে চায় তাহলে প্রথমে হাত ও মুখমন্ডল ধৌত করবে এবং কুলি করে নিবে। তারপর পানাহার করবে। হাত মুখ ধৌত করা ব্যতীত পানাহার করলেও গুনাহ হবে না।

মাসআলা-১৯ : যার উপর গোসল ফরয এমন ব্যক্তির মসজিদে প্রবেশ করা, কুরআন শরীফ স্পর্শ করা ও পড়া নিষিদ্ধ।

মাসআলা-২০ : যদি কামভাবের সাথে বীর্য স্বীয় স্থান হতে পৃথক হয়ে যায় কিন্তু আঙ্গুলে অথবা অন্য কিছু দ্বারা ছিদ্র বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং কামভাব চলে যাওয়ার পর বীর্য নির্গত হয় তাহলে গোসল করা ফরয।

মাসআলা-২১ : যার গোসলের প্রয়োজন হয়, তাঁর জন্যে কুরআন শরীফ স্পর্শ করা ও পড়া এবং মসজিদে প্রবেশ করা জায়েয নাই। আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা, কালেমা ও দরূদ শরীফ পাঠ করা জায়েয আছে।

মাসআলা-২২ : তাফসীরের কিতাব গোসল ও অযুবিহীন স্পর্শ করা মাকরূহ এবং কুরআন শরীফ স্পর্শ করা একে বারে হারাম।

মাসআলা-২৩ : মূত্র রোগী প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্তে এস্তেঞ্জা করবে এবং কাপড়ের যে অংশে পেশাবের ফোটা লাগ উহা অবশ্যই ধৌত করে নিবে। কিংবা প্রতি ওয়াক্তে লুঙ্গী ও পায়জামা পরিবর্তন করবে।

আরও পড়ুন : মেয়েদের হায়েজ সম্পর্কিত মাসআলা

উৎস : নারীর শ্রেষ্ট উপহার  বই থেকে। 

প্রিয় পাঠক পাঠিকা, আমরা আশা করি মেয়েদের গোসল সম্পকিত ১৫ টি মাসআলা গুলি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে এবং এই মাসআলা গুলি আপনার ইসলামি জীবন যাপনে সাহায্য করবে। মাসআলাগুলি আপনার বন্ধু-বান্ধবীদেরকে পড়াতে শেয়ার করতে ভুলবেন না। 

Image by aceembelif from Pixabay

For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.

Leave a Comment