শখের বসে চিত্রশিল্পীদের ক্যানভাস আর্টের অভ্যেস তো রয়েছে। তবে, আজ আলোচনা হবে ফ্রেবিক হ্যান্ড পেইন্টিং নিয়ে।
দেশীয়-শিল্পের প্রতি জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে, মানুষও তেমনি এই শিল্পকে আকড়ে ধরে রাখতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। হাতের কাজের চাহিদা ঠিক আগের মতোই আছে, শুধু এসেছে নতুন রুপে!
মানুষ নিতান্তই নিজের পছন্দানুযায়ী কাস্টমাইজ করা জিনিসকে প্রাধান্য দেই। নিজের মত করে ডিজাইন করা পোশাকে মানুষের সেই শৌখিনতা প্রতিনিয়তই দৃশ্যমান। যেমনটা, ছোটবেলায় মায়ের হাতের সেলানো নকশি কাঁথা কিংবা পছন্দের লাল জামা গায়ে দেয়ার অন্যরকম আনন্দটা!! হ্যান্ড-মেইড কথাটি হয়ত এক্ষেত্রে অনেকাংশে খাটে।
আবার, সুলভ মুল্যের পুঁজি দ্বারা আয় করতে কে না চায়? ফ্রেবিক হ্যান্ড পেইন্ট এখন অনলাইন ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের সাবলম্বীর নতুন অবলম্বন। কারন, অল্প টাকায় এই ব্যবসা অনেকাংশে সহজ এবং বাজারে চাহিদার পাল্লাটাও ভারি। হ্যান্ড পেইন্ট সম্বন্ধে (A-Z) সকল তথ্য ও টিপস্ আজকের আলোচ্য বিষয়। নতুন যারা হ্যান্ড পেইন্ট শিখতে চান, আশা করছি তারা সুস্পষ্ট ধারনা পাবেন।
ফেব্রিক হ্যান্ড পেইন্ট কিঃ
সাধারনত ফেব্রিক বা কাপড়ে রং ও তুলির ব্যবহারে ডিজাইন করাই ফেব্রিক হ্যান্ড পেইন্ট নামে পরিচিত। শাড়ী,পান্জাবি, ড্রেস, টিশার্ট সহ প্রায় সকলকিছুতেই হ্যান্ড পেইন্ট এখন অনেক জনপ্রিয়।
হ্যান্ড পেইন্টের যাবতীয় উপকরনঃ
যেকোন ফেব্রিক বা কাপড়। যেমন, সুতি কাপড়, জর্জেট, ভারি জর্জেট, সিল্ক সবধরনের ফেব্রিকেই করা যায়। রং তুলি ফ্রেম ( নতুনদের জন্য) নিউজ পেপার বা পুরানো কাপড়। এবার আসুন জেনে নি, কোথায় এবং কত মুল্যে জিনিসগুলো খুব সহজে কিনতে পাবেন। রং ও তুলিঃ সাধারনত, লাইব্রেরি কিংবা ব্ল-বাটিক/ লেইসের দোকানে রং ও তুলি পাওয়া যায়। fabric acrylic colour বললেই রং আপনি পেয়ে যাবেন। নতুনরা চাইলে বক্স না নিয়ে কয়েক পিচ করে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে প্রতি পিচের দাম দেশীটা ২৫-৩০টাকা এবং ইন্ডিয়ানটা ৩৫টাকা নিবে। এছাড়া, বাজারে টিউব আকারেও পাওয়া যায়।আর ব্রাশের সেট ও কিনতে পারেন অথবা বেসিকালি সবথেকে বেশি যেই ২টা ব্রাশ সচরাচর লাগে তা হলো রাউন্ড ০ সাইজ এন্ড ফ্ল্যাট ব্র্যাশ।
হ্যান্ড পেইন্টের নিয়মঃ
১. যে ফেব্রিক এ পেইন্ট করবেন তা ধুয়ে আয়রন করে নিন। যাতে, পেইন্ট ভালমত নিখুত হয়। তবে,নতুনদের জন্য বলব, এক টুকরা কাপড় যেমন অব্যবহৃত পুরানো টিশার্ট অথবা জামাতেই চেষ্টা করবেন প্র্যাক্টিসের জন্য। সরাসরি, মুল ফেব্রিক যেটাতে ডিজাইন করার ইচ্ছে ওটাতেই প্রথমে করতে যাবেন না।
২. কাপড়ের উপর পেন্সিল দিয়ে মনমত ডিজাইনটি এঁকে নিন।
৩. মুল ফেব্রিকের নিচে পুরানো নিউজ পেপার বা অব্যবহৃত কাপড় দিন যাতে কাপড়ের অপরপাশে রং লেগে না যায়।
৪. রং এর ঘনত্ব অনুযায়ী কিছু পরিমান পানি মিক্স করে কালারটা হালকা করে নিন। তবে, একদমই অল্প পানি, যাতে রং ছড়িয়ে না যায়। ১-২ফোটা এমন পানি মিক্স করে দেখবেন তবেই সুবিধে হবে। অনেকে মিডওয়াম ইউজ করেন। তবে, মিডিয়াম ইউজ করার খুব একটা প্রয়োজন নেয়। মিডিয়াম ছাড়াই হয়।
৫. এবার, রাউন্ড ব্রাশ নিয়ে পছন্দের কালারটি রাউন্ড ০ সাইজ তুলি দিয়ে আউট লাইন করুন এবং ডিজাইনটি রং করুন।
৬. রং করা সম্পুর্ন হলে ২৪ঘটা বা ১দিন রোদে কিংবা বাসায় শুকোতে দিন।
৭. শুকানো হয়ে গেলে রং যেদিকে করছে তার অপর পিঠ বরাবর আয়রন করে নিন। এতে রং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
এক্ষেত্রে ভুলেও রং যে পিঠে করেছেন সেদিকে আয়রন করবেন না।
অনেকের ভুল ধারনা, হ্যান্ড পেইন্ট দীর্ঘস্থায়ী হয়না, রং উঠে যায়। আসলে, জিনিসটা একদমই সতয় নয়। যত্ন এবং সঠিক উপায়ে হ্যান্ড পেইন্ট করলে বছরেরর পর বছর ব্যবহার করা যায়। রং ও টিকে।
আশা করি, নতুনদের জন্য সহায়ক হবে। শখ কিংবা ব্যবসা নিতান্তই আপনার ইচ্ছের উপর! তবে হ্যাঁ, হ্যান্ড পেইন্ট একবার হলেও চেস্টা করে দেখতে পারেন।
Photo by Anna Shvets from Pexels
For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.
Good post however I was wondering if you could write a litte more on this subject? I’d be very grateful if you could elaborate a little bit more. Appreciate it!|