চুলের খুশকির জন্য আপনাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে হয়। নিজেকে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় রাখতে গুরুত্ব দিতে হবে চুলের খুশকি সমস্যার দিকে। চুলে খুশকি হওয়ার কারন ও দূর করার উপায় জানতে ও প্রতিরোধ করতে স্মার্টনেস এর ১০তম ধাপ টি পড়ুন এবং অনুশীলন করুন। লেখক চৌধুরী দীন ইসলাম খুশকি দূর করার প্রাকৃতিক উপায় সমূহ তার সুন্দর লেখনির মাধ্যমে আমার বাংলা পোস্ট এ তুলে ধরেছেন।
how to remove hair dandruff? read the article for remove your hair dandruff.
চুলে খুশকি : খুশকি মুক্ত চুলের জন্য যা করবেন।
খুশকি নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। চুলের সঠিক পরিচর্যা করলেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। খুশকি দূর করতে চাইলে পরিস্কার—পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। ময়লা জমে মাথার ত্বকের লোমকুপ যাতে বন্ধ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
খুশকি দূর করার উপায় সমূহ
খুশকি প্রতরোধক শ্যাম্পু দিয়ে চুল নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে। তেল হালকা গরম করে সপ্তাহে এক দিন চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ভালোভাবে মালিশ করুণ। শ্যাম্পু দেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে চুল না ধুয়ে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট পর ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। খেয়াল রাখবেন, চুলে যেন শ্যাম্পুর ফেনা লেগে না থাকে। তা দূর করতে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল ভালোভাবে আচঁড়ে নিন। ভেজা চুলে আঙ্গুল চালিয়েও কাজটি করতে পারেন। এতে চুল পুরোপুরি পরিস্কার হয়।
সপ্তাহে একদিন কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন। কিন্তু বাইরে বের হলে প্রতিদিন শ্যাম্পু করুন। চুলের আর্দ্রাতা ধরে রাখতে ব্যবহার করতে হবে কন্ডিশনার। আর্দ্রতার অভাবে চুল রুক্ষ হলে খুশকি বেড়ে যায়। মেডিকেটেড বা খুশকি প্রতিরোধক শ্যাপু যা—ই কিনুন না কেন, তা আপনার চুলের ধরণ অনুযায়ী কিনতে হবে। তবে সারা বছরই খুশকি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তা না হলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মিশ্র বা তৈলাক্ত চুলে অলিভ অয়েল (olive oil) সামান্য গরম করে মালিশ করতে পারেন। এতে চুল ঝরঝরে হবে। এ ছাড়া খুশকি দূর করতে বিভিন্ন ধরনের চুলের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাক বিউটি পার্লারে পাওয়া যায়। পার্লারে যাওয়ার সময় না থাকলে বাড়িতে বসেই প্যাক বানিয়ে চুলের পরিচর্যা করতে পারবেন।
খুশকি প্রতিরোধে প্রাকৃতিক উপায়
একটি পাকা কলা ও আধা কাপ টক দই এক সঙ্গে মিশিয়ে চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুণ। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া শুধু তেল দিয়েও চুলের পরিচর্যা করতে পারেন।
দুই থেকে তিন টেবিল—চামচ অলিভ বা নারিকেল তেল হালকা গরম করে চুলে মালিশ করুণ। কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন লেবুর রস। এ জন্য চুল ধুয়ে বড় আকারের এক মগ পানিতে পুরো একটি লেবুর রস মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। এটি করলে খুশকি কমে যাবে। চুলও হবে ঝরঝরে। খুশকির কারণে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হবে না।
আপনার খুশকি পূর্ণ মাথায় অ্যালোভেরা রস মেখে নিলে ভালো আরাম পাবেন। শ্যাম্পু করার আগে চুলে অ্যালোভেরা রস মেখে ভালোভাবে ঘষে নিন, তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার মাথার ত্বক ঠান্ডা থাকবে এবং সাথে হেয়ার ড্যানড্রাফ দূর হবে।
রসুনের পেস্ট করে তাতে মধু মিশিয়ে নিন। এরপর মধু মিশ্রণের রসুনের পেস্ট কিছুক্ষণ মাথায় মেখে ঘষুন, তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। রসুনের পেস্ট চুলের খুশকি দূর করার সাথে চুলের ঘোড়াও শক্ত করে তুলবে।
হেয়ার ড্যানড্রাফ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন মাউথওয়াশ। মাউথওয়াশ খুশকির ব্যাকটেরিয়া দূর করে চুলের খুশকি হওয়া প্রতিরোধ করে। মাউথওয়াশ দিয়ে খুব সহজেই চুলের খুশকি দূর করা যায়। প্রথমে চুলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। তারপর চুলে মাউথওয়াশ দিয়ে ভালো করে ঘষুন, এরপর ধুয়ে ফেলে আপনার চুলের ধরণ অনুযায়ী কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
লেখকঃ চৌধুরী দীন ইসলাম
ডিয়ার রিডার্স, লেখকের “খুশকি দূর করার উপায়” পরামর্শমূলক লেখাটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই লেখককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে দ্বিধাবোধ করবেন না।
আপনি যদি আমার বংলা পোস্ট.কম ব্লগে নতুন এসে থাকেন তাহলে স্মার্টনেসের প্রথম ধাপ দিয়ে আরও পড়া শুরু করতে পারেন.
ধাপ একঃ স্মার্ট হওয়ার উপায়- স্মার্ট হবার A-Z গাইডলাইন
ধাপ দুইঃ আকর্ষণীয় হওয়ার উপায় ও কৌশল
For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.