ভাগ্য ভালো কার? ( এক বদমেজাজী স্ত্রীর গল্প)

ভাগ্যএক বুযুর্গের স্ত্রী ছিল কর্ক্ষ মেজাজের। কূটভাষিণী। বুযুর্গ বেচারাকে নরম পেয়ে আচ্ছামত সে ধোলাই করত। সহ্যের বাইরে কষ্ট দিত। বুযুর্গ তাঁর স্ত্রীকে সংশোধন করার জন্য বহু চেষ্টা-তদবীর করলেন। বারবার বুঝালেন। বুঝালেন যে- “স্বামীর সাথে এরূপ ব্যবহার করলে আল্লাহ তাআলা নারাজ হন। অসন্তুষ্ট হন। স্বামীকে কষ্ট দিয়ে, নাখোশ রেখে কোনো স্ত্রী জান্নাতে যেতে পারবে না। স্বামীকে কষ্ট দেওয়ার পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। যে নারীর উপর তাঁর স্বামী নারাজ, তাঁর উপর আল্লাহও নারাজ। যে নারী স্বামীকে খুশি রেখে মরতে পারে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব’। কিন্তু এতসব বুঝানোর পরও কোনো লাভ হলো না। স্ত্রী যেমন ছিল তেমনই রয়ে গেল।

স্ত্রীর দেওয়া কষ্ট বরদাশত করতে না পেরে একদিন ঐ বুযুর্গ তাঁর স্ত্রীকে সম্বোধন করে বললেন-বেয়াদব! তোমার কপাল বড়ই খারাপ। কারণ, কত দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এসে আমার কাছ  থেকে ফায়দা উঠায়, উপকৃত হয়, তাদের ভাগ্য ভালো হয়। আর এত বছর আমার সান্নিধ্যে থেকেও তোমার কোনো উপকার হলো না, কোনো পরিবর্তন হলোনা।

মুখরা স্ত্রী এবারও স্বামীকে ছাড়ল না। বলল, আমার কপাল খারাপ হবে কেন? বরং আমি তো ভাগ্যবতী–মহাভাগ্যবতী। কারণ আপনার মতো একজন আল্লাহ ওয়ালার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে। আসলে কপাল মন্দ আপনার! কারণ আমার মতো একজন খারাপ স্ত্রী আপনার ভাগ্যে জুটেছে।

প্রিয় পাঠক! দেখলেন কারবারটা? আল্লাহ পাক এ জাতীয় স্ত্রী থেকে আমাদের সবাইকে হেফাযত করুন। আমীন!!

[সুত্রঃ পছন্দিদাহ ওয়াকিয়াত]

লেখকঃ মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম (আদর্শ স্বামী স্ত্রী ১) 

এরপর পড়ুন : উচ্চ শিক্ষিতা বউ

প্রিয় পাঠক পাঠিকা, আপনার দৃষ্টিকোণ থেকে সত্যিকার্থে ভাগ্য ভালো কার স্বামীর নাকী বুযুর্গের স্ত্রীর? আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন এবং আপনার বন্ধুদেরকে পড়াতে এটি শেয়ার করুন। 

আরও পড়তে পারেন..

০১. হাসির গল্পঃ ফাউখোর

০২. যুদ্ধের গল্পঃ অভিভূত জার্জিস কন্যা

০৩. শিক্ষামূলক গল্পঃ সৎ মায়ের আদর

For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.

Leave a Comment