শিশুদের সাথে কেমন আচরণ করবেন?

শিশুদের মন জয় ও শিশুদেরকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে কিভাবে শিশুদের সাথে আচরণ করবেন তা জানতে সম্মানিত লেখকের এ আর্টিকেলটি পড়ুন। সম্মানিত লেখক শিশুদের সাথে ব্যবহার ও আচরণগত কৌশলগুলি এ নিবন্ধনে বর্ণনা করেছেন যা আপনাকে শিশুদের কাছে প্রিয় হতে সাহায্য করবে।

১১. কেমন আচরন করবেন ছোটদের সাথে (How to behave with children)

শৈশবের সুখ-দুঃখ ও আনন্দ বেদনার কত স্মৃতি এখনো আমাদের মনের অ্যালবামে গভীরভাবে অঙ্কিত হয়ে আছে! ভুলতে চাইলেও তা ভোলা যায় না। নিজের অজান্তে সময়ে অসময়ে তা হৃদয়ের বদ্ধ দুয়ার খুলে উঁকি দেয়। আমরা হারিয়ে যাই সেই সদূর অতীতে। যেখানে আনন্দ আর বেদনা পরস্পরে মিশে তৈরি করে রেখেছে এক চমৎকার আবহ।

শিশুদের সাথে আচরণতাহলে আসুন কল্পনার পাখায় ভর করে আপনার শৈশবের দিনগুলোতে একটু ঘুরে আসি। দেখবেন সেখানে পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে নানান স্মৃতি। সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না আর আনন্দ-বেদনার কি অনুপম মিশেল! একটু রোমন্থন করলেই আপনার চোখের সামনে ভেসে ওঠবে কোনো পুরস্কার প্রাপ্তির স্মৃতি, বিশেষ কোনো সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আপনাকে তা দেয়া হয়েছিল। মনে পড়বে বড় কোনো অনুষ্ঠানে কেউ আপনার প্রশংসা করেছিল সেই সুখস্মৃতির কথা।

ওগুলো এমন স্মৃতি, যা আপনার মনের গভীরে এমনভাবে গেথে রয়েছে যা আপনি চেষ্টা করলেও মুছতে পারবেন না।

এর পাশাপাশি এমন কিছু দুঃখময় স্মৃতিও আমাদেরকে তাড়া করে ফেরে যা আমাদের শৈশবে ঘটেছিল। শিক্ষকের প্রহার,লাঞ্ছনায় জর্জরিত হওয়া, সৎ মায়ের প্রতিহিংসামূলক আচরণের শিকার হওয়া ইত্যাদি।

শিশুদের সঙ্গে একটু ভালো ব্যবহার, একটু কোমল আচরণের ফলে শুধু শিশুরাই নয়, তাঁদের বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও প্রভাবিত হন এবং তাঁদের সবার হৃদয় জয় করা সহজ হয়ে যায়।

প্রাথমিক স্তরে যারা শিক্ষকতা করেন তাঁদের অনেকেরই এ অভিজ্ঞ্রা রয়েছে যে,  ছোট ছোট ছাত্রদের বাবা-মায়েরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের প্রশংসা করেন। তাঁদের সন্তানদেরকে তাঁরা খুব ভালোবাসেন এ জন্য তারাও তাদেরকে খুব ভালোবাসেন। কখনো কখনো তাঁরা তাঁদের ভালোবাসার এ অনুভূতি আন্তরিক সাক্ষাৎ, হাদিয়া বা পত্র পাঠানোর মাধ্যমেও ব্যক্ত করে থাকেন। তাই ছোটদের সাথে হাসিমুখে কথা বলা, তাঁদের হৃদয় জয় করা এবং তাঁদের সঙ্গে কোমল আচরণ করতে ভুলবেন না।

একদিন আমি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছোট ছোট ছাত্রদের উদ্দেশ্যে নামায সম্পর্কে আলোচনা করেছিলাম। আলোচনার এক পর্যায়ে আমি তাদেরকে নামাযের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি হাদিস বলতে বললাম। একজন বললো, রাসূল (সাঃ) বলেছেন—

“ঈমান ও কুফরের মাঝে পার্থক্য হলো নামায।”(সহীহ মুসলিমঃ ১১৬)

তার উত্তরে আমি এত বেশি খুশি হলাম যে, আমার হাতের ঘড়িটি খুলে তাঁকে দিয়ে দিলাম। ঘড়িটি ছিল খুবই সাধারণ মানের। শ্রমিকেরা সাধারণত যে ধরনের ঘড়ি ব্যবহার করে অনেকটাই সে রকম।

আমার সে দিনের আচরণে ছেলেটি খুব অনুপ্রাণিত হয়েছিল। এরপর সে পড়া-শোনায় আরো বেশি মনোযোগী হলো এবং কুরআন শরীফের হিফজের গুরুত্ব অনুধাবন করে তাতে মনোযোগ দিলো। কয়েক বছর পর একদিন এক মসজিদে নামায পড়তে গিয়ে দেখি সেদিনের ছোট্ট সে ছেলেটিই এখন এ মসজিদের ইমাম। এখন অবশ্য সে পরিপূর্ণ যুবক। ইতোমধ্যে সে শরিয়া অনুষদ থেকে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেছে। ইমামতির পাশাপাশি বর্তমানে সে বিচার বিভাগেও কাজ করে। তাঁকে আমি প্রথমে চিনতে পারি নি। সে আমাকে তার পরিচয় দিয়ে সে ঘটনাটির কথা মনে করিয়ে দিয়েছিল।

দেখুন, সামান্য একটি উপহার তার মনে কী গভীর প্রভাব ফেলেছে এবং তার জীবনের মোড় কিভাবে ঘুরিয়ে দিয়েছে।

আরেকবার আমি একটি ওলিমার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলাম। সুন্দর চেহারার এক যুবক আমাকে খুবই আন্তরিকতার সাথে সালাম দিল। এরপর অনেক আগে তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া একটি চমৎকার ঘটনা আমাকে স্মরন করিয়ে দিল। তার শৈশবে আমি একবার তাঁদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো বিষয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলাম। তখনকার সে ঘটনাটি আজও তার মনে গেথে আছে।

অনেক সময় দেখবেন, মসজিদ থেকে বের হয়ে ছোট ছোট ছেলেরা বাবার হাত ধরে টেনে একজন লোকের কাছে নিয়ে যাচ্ছে। বাবা সে লোককে সালাম করে এবং এ কথা জানায় যে, তার ছেলে তাঁকে অত্যন্ত ভালোবাসে।

এর কারণ এটাই যে, লোকটি ছোটদের সঙ্গে ভালো ও সুন্দর ব্যবহার করে। বড় বড় অনুষ্ঠানেও এ ধরণের ঘটনা প্রায়ই ঘটতে দেখা যায়।

আমি অকপটে স্বীকার করছি, ব্যক্তিগত ভাবে আমি ছোটদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিই। তাঁদের শিশুসুলভ মিষ্টি কথাগুলো মনোযোগ সহকারে শুনি। যদিও তাঁদের অধিকাংশ কথাবার্তাই সাধারতণত বেদরকারী হয়ে থাকে।

কখনো কখনো তাঁদের মা-বাবার প্রতি সম্মানার্থে এবং তাঁদের মন জয় করতে তাঁদের প্রতি একটূ বেশি মনোযোগ দিয়ে থাকি।

আমার এক বন্ধুর সঙ্গে প্রায়ই আমি সাক্ষাৎ করতাম। সে বন্ধুর ছোট একটি ছেলে ছিল। তার সাথেও সাক্ষাৎ হত। আমি সে ছোট ছেলেটির সাথে খুব স্নেহপূর্ণ আচরণ করতাম। আমার বন্ধুটি তার ছেলেকে নিয়ে হঠাৎ একদিন একটি বড় অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গে দেখা করলো। বন্ধুটি আমাকে সালাম দিয়ে বললো, বন্ধু! বল তো, তুমি আমার ছেলেকে কী যাদু করেছ!

কয়েকদিন আগে ওর শিক্ষক ক্লাসের প্রত্যেককে ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। ভবিষ্যতে কে কী হতে যায় তা জানতে চাইলেন। একজন বললো, সে ডাক্তার হবে। আরেকজন বললো, সে ইঞ্জিনিয়ার হবে। আর আমার ছেলে বললো, আমি মুহাম্মদ আরিফী হবো! কী আশ্চর্য উত্তর!

ছোটদের সঙ্গে মানুষের আচরণ বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। আপনি দেখবেন, বড় কোনো মজলিসে যখন কেউ সবার সঙ্গে মোসাফাহা করে, পেছনে পেছনে তার সন্তানও তার দেখাদেখি সকলের সঙ্গে মোসাফাহ করতে থাকে। তখন কেউ কেউ কেবল বাবার সঙ্গেই মোসাফাহ করে। ছোট সন্তানের প্রতি গুরুত্বই দেয় না। কেউ তাচ্ছিল্যের সঙ্গে হাতের সামান্য একটু অংশ বাড়িয়ে দিয়ে কোনোমতে করমর্দন করে। কিন্তু কিছু লোককে দেখতে পাবেন তারা তার সঙ্গেও হাসিমুখে মোসাফাহ করছেন। কেউ কেউ তাঁকে একটু বাড়তি আনন্দ দিচ্ছেন। তাঁরা তাঁকে লক্ষ করে বলছেন, ‘এই যে দুষ্ট খোকা, কেমন আছ? ছোট ছেলেটির অন্তরে এ লোকটির প্রতি একটি ভিন্ন ধরনের ভালবাসা তৈরি হয়। কেবল তার অন্তরেই নয়, তার বাবা-মা’র অন্তরেও লোকটির প্রতি ভালোবাসা জন্ম নেয়।

আদর্শ অভিভাবক রাসূল (সাঃ) এর আচরণও ছোটদের সঙ্গে ছিল কোমল ও অনুকরণীয়। আনাস বিন মালেক (রা)-এর ছোট একটি ভাই ছিল। রাসূল (সাঃ) তার সঙ্গে রসিকতা করতেন। রাসূল (সাঃ) তাঁকে ‘আবূ ওমায়ের’ বলে ডাকতেন। আবূ ওমায়েরের ছোট্ট একটি পাখি ছিল। পাখিটি নিয়ে আবূ ওমায়ের খেলা করত। একদিন হঠাৎ পাখিটি মারা গেল। তার সঙ্গে দেখা হলে রাসূল (সাঃ) রসিকতা করে তাঁকে বলতেন, ‘হে আবূ ওমায়ের! গেল কোথায় নুগায়ের?!’ আল্লাহর রাসূল “নুগায়ের” বলে সে পাখিটিকে বুঝিয়েছিলেন।।

এভাবে রাসূল (সাঃ) ছোটদের সঙ্গেও স্নেহপূর্ণ আচরণ করতেন। তাঁদের সঙ্গে নির্মল রসিকতা করতেন। তিনি উম্মে সালমার মেয়ে যয়নাবের সঙ্গেও মজা করতেন। তাঁকে আদর করে যুওয়াইনিব বলে ডাকতেন।

রাসূল (সাঃ) খেলায় মগ্ন শিশুদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে সালাম দিতেন। আনসারদের এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে সালাম দিতেন। তাঁদের মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করতেন।

রাসূল যখন যুদ্ধ থেকে ফিরে আসতেন তখন ছোট ছোট শিশুরা তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে ঘর থেকে বের হয়ে আসত। তাঁরা রাসূলের সাথে উটের ওপর ওঠত। তাঁরা রাসূলের পাশে বসত আর আনন্দে নেচে ওঠতো।

মুসলমানরা মুতার যুদ্ধ থেকে ফিরছিলেন। মুজাহিদ বাহিনী মদিনার একেবারে কাছাকাছি এলে রাসূল (সাঃ) লোকজন নিয়ে তাদেরকে অভ্যর্থনা জানাতে এগিয়ে আসলেন। মদিনার শিশুরাও তাঁদের সাথে যোগ দিতে লাগল। আল্লাহর রাসূল শিশুদেরকে দেখে সাথীদেরকে বললেন, ‘তোমরা এদেরকে তোমাদের উটে উঠিয়ে নাও। আর জাফরের ছেলেকে আমার কাছে দাও।’ জাফরের ছেলে আবদুল্লাহকে রাসূলের কাছে দিয়ে আসা হলো। আল্লাহর রাসূল তাঁকে কোলে তুলে নিলেন এবং নিজের সামনে বসালেন।

রাসূল (সাঃ) একদিন অজু করছিলেন। পাঁচ বছরের ছোট্ট শিশু মাহমুদ বিন রবী আল্লাহর রাসূলের সামনে আসল। রাসূল (সাঃ) মুখে পানি নিয়ে সে পানি মাহমুদের চেহারায় ছিটিয়ে দিলেন। এভাবেই রাসূল মাহমুদের সাথে মজা করছিলেন। আর মাহমুদও তা উপভোগ করছিল। (বুখারী)

রাসূল (সাঃ) সাধারণত সবার সঙ্গে হাসি-খুশি থাকতেন। সদাচরণের মাধ্যমে মানুষের মনে আনন্দ দিতেন। তার সংস্পর্শ ও আচরণ কারো কাছে বিব্রতকর মনে হতো না।

একদিন জনৈক ব্যক্তি রাসূল (সাঃ)-এর কাছে এসে একটি উট চাইল। উটে চড়ে জিহাদে কিংবা দূরে কোথাও সফরে যাবে। তিনি তার সঙ্গে একটু রসিকতা করে বললেন, ‘আমি তোমাকে একটি উষ্ট্রীর বাচ্চা দেব।’

লোকটি বিস্মিত হলো। সে উটের বাচ্চার ওপর কিভাবে চড়বে? উষ্ট্রীর বাচ্চা তো কাউকে বহন করতে পারবে না।

সে বললো, ‘ইয়া  রাসূলুল্লাহ! উষ্ট্রীর বাচ্চা দিয়ে আমি কী করব!’

রাসূল বললেন, ‘আরে মিঞা! বড় উটও তো কোনো না কোণ উষ্ট্রীর বাচ্চাই হয়ে থাকে!’ এ ব্যাখ্যা শুনে লোকটির বিস্ময় কেটে গেল। আল্লাহর রাসূলের নির্মল রসিকতায় সে  মুগ্ধ হলো।

একদিন আল্লাহর রাসূল রসিকতা করে আনাসকেও বললেন, ‘এই যে দু’কানওয়ালা!’

আরেকদিন জনৈক মহিলা আল্লাহর রাসূলের কাছে নিজের স্বামীর ব্যাপারে অভিযোগ নিয়ে এলো। রাসূল (সাঃ) তাঁকে বললেন, ‘তোমার স্বামী কি সে লোকটি, যার চোখে সাদা?!’

আল্লাহর রাসূলের কথা শুনে মহিলা ভয় পেয়ে গেল। সে ভাবল, তার স্বামী হয়তো অন্ধ হয়ে গেছে। কারণ আল্লাহ তাআলা তো ইয়াকুব আলাইহিস সালামের ব্যাপারে বলেছেন, ‘দুঃখ-বেদনায় কাঁদতে কাঁদতে তার দুচোখ সাদা হয়ে গেছে।’ অর্থাৎ তার দুচোখ অন্ধ হয়ে  গেছে।

মহিলাটি ভয়ে অস্থির হয়ে দ্রুত তার স্বামীর কাছে ফিরে এলো এবং ভালো করে তার চোখ দেখতে লাগল!

স্বামী তাঁকে জিজ্ঞেস করলো, ‘কী হয়েছে? তুমি এভাবে আমার চোখ দেখছ কেন?’

স্ত্রী বললো, ‘আল্লাহর  রাসূল বলেছেন, তোমার চোখ নাকি সাদা!’

তখন স্বামী বললো, ‘আরে বোকা মেয়ে! আল্লাহর রাসূল বোঝাতে চেয়েছেন যে, চোখের সাদা অংশ কালো অংশের চেয়ে পরিমাণে বেশি!’

অর্থাৎ প্রত্যেক মানুষের চোখের কিছু অংশ কালো, কিছু অংশ সাদা। তবে সাদা অংশই বেশি।

রাসূলের সঙ্গে কেউ রসিকতা করলে তিনি  তা উপভোগ করতেন এবং মুচকি হেসে তার জবাব দিতেন।

একবার রাসূল (সাঃ)-এর স্ত্রীগণ অধিক খোরপোষ দাবি করায় রাসূল আপন স্ত্রীগণের প্রতি কিছুটা অসন্তুষ্ট হলেন। এমন সময় ওমর (রা) উপস্থিত হলেন। ওমর বললেন, ‘আল্লাহর রাসূল! আমাদের কোরাইশ বংশের লোকদের স্ত্রীরা সবসময় আমাদের অনুগত থাকত। কেউ অতিরিক্ত খোরপোষ চাইলে আমরা তার ঘাড় মটকে দিতাম। কিন্তু হিজরতের পর মদীনায় এসে দেখতে পেলাম, এখানকার মহিলারা পুরুষদেরকে পরিচালনা করে। তাঁদের দেখা-দেখি আমাদের মহিলারাও এমন হয়ে গেছে। তারাও এখন আমাদের উপর ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছে।’

ওমরের কথা শুনে আল্লাহর রাসূল না হেসে পারলেন না। ওমরও কথার পিঠে কথা বলতে লাগলেন। রাসূল (সাঃ) তার কথার সঙ্গে হাসতে লাগলেন। ওমরও রাসূল (সাঃ)-এর হাসি মনভরে উপভোগ করলেন।

আপনি অনেক হাদিসে পড়েছেন, আল্লাহর রাসূল অনেক সময় এতো বেশি হেসেছেন যে, তার দাঁতের মাড়ি পর্যন্ত দেখা গেছে। বস্তুতঃ রাসূল (সাঃ) সবার সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল থাকতেন। মজলিসের সবাই তাঁকে মনেপ্রাণে ভালোবাসতেন।

আমরাও যদি সবার সঙ্গে এমন আচরণ করতে পারি তাহলে আমরাও জীবনের স্বাদ অনুভব করতে সক্ষম হব।

একটি চিন্তা……….

শিশুরা হলো নরম কাদামাটির ন্যায়। আমরা তাঁদের সঙ্গে যেমন আচরণ করব তারাও সেভাবে বেড়ে ওঠবে।

উৎস : আপনার জীবনকে উপভোগ করুন

এরপর পড়ুন :

For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.

Leave a Comment