বলো তো বাবারা, তোমরা কি আমাকে দেখতে পাচ্ছ?
জ্বী স্যার। দেখতে পাচ্ছি। ছাত্ররা উত্তর দিল।
বেশ! তোমরা কি এই মীর্জাকে দেখতে পাচ্ছ?
জ্বী স্যার।
দেয়ালের এই ছবিটি কি দেখতে পাচ্ছ?
জ্বী স্যার।
তোমরা কি আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছ?
না স্যার। দেখতে পাচ্ছি না।
শিক্ষক তখন সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন এবং বললেন, সুতরাং আল্লাহ নেই। আল্লাহ যদি থাকতেন তাহলে আমার মতো, এই টেবিল-চেয়ার, ছবি ও অন্যান্য দৃশ্যবস্তুর মতো তাকেও দেখা যেত। তাই না?
শিক্ষকের কথা শুনে ছাত্ররা ‘থ’ বনে গেল। ওরা কী বলবে কিছুই খুঁজে পেল না। এমন সময় ক্লাসে মাঝখান থেকে একটি ছাত্র হাত উঁচু করে বলল—
স্যার আমাকে কি কিছু বলার অনুমতি দেবেন?
নিশ্চয়, নিশ্চয়! বলো বাবা, তোমার কথা বলো।
ধন্যবাদ স্যার! এবার আপনি যদি অনুমতি দেন তাহলে আমিও আপনার মতো আমার সহপাঠীদের কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করব।
বেশ! প্রশ্ন করো ওদের।
ছাত্রটি তখন তার সহপাঠীদের দিকে মুখ করে জিজ্ঞেস করল—
বন্ধুরা! তোমরা কি স্যারের হাত দেখতে পাচ্ছ?
হ্যাঁ, দেখতে পাচ্ছি।
স্যারের কাপড় চোপড় দেখতে পাচ্ছ?
হ্যাঁ।
স্যারের চোখও দেখতে পাচ্ছ?
এভাবে আরও কয়েকটি প্রশ্নের ইতিবাচক জবাব পেয়ে সে ফের জিজ্ঞেস করল—
এবার বলো তো দেখি, তোমরা কি স্যারের জ্ঞান-বুদ্ধি দেখতে পাচ্ছ?
সবাই সমস্বরে জবাব দিল—
না, না!
তখন প্রশ্নকর্তা ছাত্রটি বলল—
তাহলে সহপাঠী বন্ধুরা, আমরাও স্যারের যুক্তি অনুযায়ী বলতে পারি যে, স্যারের জ্ঞান-বুদ্ধি নেই! কেননা তিনি বলেছেন যা কিছু আছে তা দেখা যায়। আর যা কিছু নেই তা দেখা যায় না। আমরা তো স্যারের জ্ঞান-বুদ্ধি দেখতে পাই না। সুতরাং এই যুক্তিতে স্যারের জ্ঞান-বুদ্ধি নেই! কী বলো তোমরা?
এদিকে শিক্ষক মহাশয় উপসংহার শোনার আগেই ব্যাপার আচঁ করতে পেরে নিঃশব্দে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেলেন। আর মনে মনে বলতে লাগলেন, হায়! আজ এই ছোট্ট কিশোরটির হাতে ধরা খেলাম! ইশ এ লজ্জা রাখি কোথায়?
সহায়তায় : শাহ মোহাম্মদ বিন আব্দুল কাইয়ুম
লিখেছেন : মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম।
উৎস : আদর্শ কিশোর কিশোরী ৩ বই থেকে।
এরপর পড়ুন : আমাকে গুনাহ থেকে বাঁচাও! (কিশোর গল্প)
প্রিয় পাঠক পাঠিকা, আশা করি লেখকের নাস্তিক শিক্ষক গল্পটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে এবং এটি বন্ধুদেরকে পড়াতে শেয়ার করবেন।
For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.