সম্পদের প্রতি ভালবাসা (ইসলামিক শিক্ষণীয় গল্প)

সম্পদের প্রতি ভালবাসা (ইরানের রাজার শিক্ষণীয় গল্প) 

সম্পদের প্রতি ভালবাসা

বহু দিন পূর্বের কথা। ইরানের এক রাজার ছিল বিশাল রাষ্ট্রীয় কোষাগার । মহামূল্যবান মনি – মুক্তা ও হীরা জহরতে তা ছিল পরিপূর্ণ। রাজার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অত্যন্ত বিশ্বস্ত ব্যক্তি। মহত্ত্ব, উদারতা, নম্রতা, ভদ্রতা ও আকর্ষণীয় অমায়িক ব্যবহারের কারণে রাজা তার উপর খুবই সন্তুষ্ট ছিলেন। শুধু তাই নয়, এসব গুণাবলীর কারণে তিনি ছিলেন সকলেরই প্রিয়ভাজন ব্যক্তি ।

প্রধানমন্ত্রী ছিলেন রাজার অন্তরঙ্গ বন্ধু। পথ প্রদর্শক ও পরিচালক ছিলেন তিনিই। তার পরামর্শ ছাড়া রাজা কোন কাজ করতেন না। এমনকি অতি সাধারণ ব্যাপার নিয়েও তার সাথে আলোচনা করতেন । কোথাও সফরে গেলে সাথে করে তাকে অবশ্যই নিয়ে যেতেন ।

রত্নাগারের চাবি ছিল মোট দুটি। একটি চাবি রাজা সর্বদা নিজের কাছে রাখতেন । আর বিশ্বস্ত ও অন্তরঙ্গ হওয়ার সুবাদে দ্বিতীয় চাবিটি প্রধানমন্ত্রীর হাতে রক্ষিত ছিল । এ দুই ব্যক্তি ছাড়া রত্নাগারে প্রবেশ করার অধিকার কারও জন্যেই ছিল না। নতুন কোন রত্ন রাখা কিংবা উঠানোর কাজটি কেবল প্রধানমন্ত্রী করতেন। রাজ প্রাসাদ ও প্রধানমন্ত্রীর খাস কামরার মধ্যভাগে ছিল রত্নাগারের অবস্থান । সংরক্ষিত এলাকা হওয়ার কারণে পূর্ব অনুমতি ব্যতিত সেখানে কেউ ঢুকতে পারত না ।

একদিন অন্য এক রাজার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি হীরক খন্ড উপহার হিসেবে এল । রাজা এগুলো স্বহস্তে নেড়েচেড়ে দেখলেন । খুবই ভাল লাগল তার। এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীকে বললেন, মন্ত্রী মহোদয়! এ হীরক খন্ডগুলো খুবই উন্নতমানের। এগুলো রত্নাগারে রেখে আসুন । প্রধানমন্ত্রী রাজার নির্দেশ পালন করলেন। তিনি যথারীতি কাজ শেষে রত্নাগারের দরজা বন্ধ করে আপন প্রাসাদে চলে এলেন ।

একমাত্র পুত্র ছাড়া রাজার আর কোন সন্তান ছিল না। সে ছিল সকলের আদরের ধন, স্নেহের পাত্র। সে-ই রাজার ভবিষ্যত উত্তরাধিকারী । বর্তমানে সে পঁচিশ বছরের যুবক

রাজা দীর্ঘদিন যাবত রাজত্ব করছেন। তিনি এখন জীবনের শেষ পর্যায়ে উপনিত । যে কোন সময় পরপারে পাড়ি জমাতে পারেন। রাষ্ট্রীয় নিয়মানুসারে তার মৃত্যুর পর যুবরাজই হবে সিংহাসনের অধিকারী। কিন্তু যুবরাজের যেন তর সইছে না। কখন সে রাজা হয়ে প্রচন্ড প্রতাপে রাজ্য পরিচালনা করবে সেই চিন্তায় সর্বদা সে বিভোর থাকে। যত দিন যায় ততই তার অস্থিরতা বাড়তে থাকে । মনে মনে পিতার মৃত্যু কামনা করে। কারণ সিংহাসনে আরোহনের জন্য পিতাই একমাত্র বাধা ।

এভাবে চলে গেল আরও কয়েক বছর। যুবরাজ এখন চরম অস্থিরতায় ভুগছে । কিছুই ভাল লাগছে না তার। স্বাভাবিকভাবে পিতার ইন্তেকাল হচ্ছে না বিধায় সে তাকে পথ থেকে সরানোর বিকল্প উপায় খুঁজতে থাকে । অনেক চিন্তা-ভাবনা করার পর শেষ পর্যন্ত জন্ম দাতা পিতাকে কৌশলে হত্যা করার নির্মম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ।

রাজা ছিলেন বিচক্ষণ ব্যক্তি। কয়দিন যাবত যুবরাজের চাল-চালন বড় ভাল ঠেকছিল না তার কাছে। তিনি সবকিছুই বুঝতে পারলেন । যুবরাজের সন্দেহজনক আচরণ দেখে তিনি ভীষণ চিন্তায় পড়ে গেলেন । উদ্বেগ উৎকণ্ঠা চতুর্দিক থেকে তাকে ঘিরে ধরল । অশান্তির অনল তার অন্তরে দাউ দাউ করে জ্বলতে লাগল । মাঝে মাঝে ভাবেন, ছেলেকে আমি কত আদর যত্ন করে বড় করেছি। কতই না ভালবাসি তাকে আমি । অথচ আজ আমিই তার পথের কাটা হলাম? আমিই তার চক্ষুশূলে পরিণত হলাম। আমাকে হত্যার জন্য সে ফন্দি আটছে। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। হায় আফসোস! এমন অকৃতজ্ঞ সন্তান না হওয়াই ভাল ছিল ।

এসব কথা ভাবতে ভাবতে রাজার অন্তঃকরণ দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে উঠে। হৃদয়ের গভীর থেকে বেরিয়ে আসে একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস । তিনি আবারও ভাবতে থাকেন- আমার মৃত্যুর পর সবকিছুরই মালিক হবে পুত্র। তার তো দ্বিতীয় কোন প্রতিদ্বন্ধীও নেই। তাকে কোন নির্বাচনেও অংশ নিতে হবে না। সুতরাং জয়-পরাজয়ের আশংকাও এখানে অবান্তর। তবুও কেন পুত্রের এ অস্থিরতা? তবু কেন তার এত ব্যাকুলতা? রাজ্য লাভের লোভে প্রাণপ্রিয় ছেলে পিতা হত্যা করার ষড়যন্ত্র করবে এ কেমন আশ্চৰ্য কথা! অথচ কয়েকদিন পর এমনিতেই সবকিছুর অধিকারী হবে সে। মহা সমারোহে আরোহণ করবে রাজ সিংহাসনে।

তখন বিকেল ৪টা। রাজা যতই এসব কথা চিন্তা করছিলেন, ততই তার পেরেশানী বাড়ছিল। কোন কিছুতেই তিনি শান্তি পাচ্ছিলেন না। অস্থিরতার কালো মেঘে ছেয়ে গেছে তার হৃদয় আকাশ। আপন মনের এলোমেলো অগোছালো অনেক অব্যক্ত জিজ্ঞাসার জবাব টেনে দুঃচিন্তার অথৈ সাগরে বারবার ডুবে যাচ্ছেন তিনি।

অগ্নি পরীক্ষার সম্মুখীন রাজা এখন সম্পূর্ণ নির্বাক, নিস্তব্ধ। কিংকর্তব্যবিমূঢ়। কোন কিছুই ভেবে শেষ করতে পারছেন না। আয়ত্ত করতে পারছেন না ভিতরের ব্যক্তিটারে। মনের অজান্তেই হারিয়ে ফেলছেন চিন্তা-ভাবনা । বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন ছেলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত স্থির করতে । বিবেকের দংশনে তিনি এখন ক্ষত-বিক্ষত, জর্জরিত ।

রাজা ছিলেন প্রচন্ড সম্পদ লোভী। সম্পদের প্রতি সীমাহীন ভালবাসা তার অন্তরে গেঁথে বসেছিল। হীরা-মনি-মুক্তা, অর্থ-কড়ি ইত্যাদি ছাড়া তিনি যেন কিছুই বুঝতেন না। রাষ্ট্রীয় কোষাগারকে যতই তিনি মহামূল্যবান বিভিন্ন অর্থ-সম্পদে সমৃদ্ধ করতে পারতেন তার খুশির মাত্রা ততই বৃদ্ধি পেত। অত্যধিক পরিমানে সম্পদ অর্জনের এক প্রবল মোহ সর্বদাই তাকে ঘিরে রাখত। যার ফলে একমাত্র পুত্রটিকে পর্যন্ত যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেননি। পারেননি তাকে সৎ, আদর্শ ও চরিত্রবান সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে।

এ মুহূর্তে রাজা এখন সম্পূর্ণ অন্য রকম। উদাস হৃদয় থেকে বারবার বেরিয়ে আসছে দীর্ঘ নিঃশ্বাস। শোয়া-বসা কোন অবস্থাই ভাল লাগছে না তাঁর।  এমতাবস্থায় হঠাৎ মনে হল, রত্নাগারে ঢুকে হীরা- মুক্তার সৌন্দর্য অবলোকন করলে হয়ত তার দুঃখের ভার কিছুটা লাঘব হবে। অশান্ত মন কিছুটা শান্ত হবে ।

তিনি রত্নাগারের গোপন কামরায় প্রবেশ করলেন। কারুকার্য খচিত মনমুগ্ধকর বিভিন্ন মনি-মুক্তা দেখতে দেখতে কোষাগারের অনেক ভিতরে চলে গেলেন। এতে তার মনের অশান্তিটা সাময়িকের জন্য হালকা হল বটে, কিন্তু আজকের এই আকস্মিক পদক্ষেপই যে তার জন্য মৃত্যুর ফাঁদ হয়ে দেখা দেবে, তা কে জানত? কে জানত, মনিমুক্তা, হীরা জহরত আর ধন-সম্পদের প্রতি অপসিরীম ভালবাসাই তাকে নির্মম মৃত্যুর হাতে তুলে দেবে?

এদিকে প্রধানমন্ত্রী কোন এক বিশেষ প্রয়োজনে কোষাগারের সামনে দিয়ে কোথাও যাচ্ছিলেন। হঠাৎ কোষাগারের দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ভারী আশ্চর্য হলেন। ভাবলেন, হায়! কি আত্মঘাতী ভুল করেছিলাম আমি। উপহার হিসেবে প্রাপ্ত হীরক খন্ডটি কয়েকঘন্টা পূর্বে কোষাগারে রেখে দরজা তালাবদ্ধ না করেই চলে এসেছিলাম । যাক ভাগ্য ভাল । যদি রাজা তা দেখে ফেলতেন, তাহলে আর রক্ষে ছিল না । মৃত্যুদন্ডই হত আমার একমাত্র শাস্তি ।

এসব ভাবতে ভাবতে প্রধানমন্ত্রী দরজা তালাবদ্ধ করলেন । ভাল করে লাগল কিনা তা আবার পরীক্ষা করলেন। অতঃপর এবারের যাত্রায় কপাল জোরে বেঁচে গিয়েছেন বলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে করতে আপন কাজে চলে গেলেন। শুধু তাই নয়, এত বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেলেন বলে বেশ কিছু অর্থ গরীব মিসকীনকে দান করারও মান্নত করলেন ।

ইতিমধ্যে রাজার কোষাগার দেখা শেষ হয়েছে। এবার ফিরার পালা । তিনি এক পা, দুপা করে ধীর পদে সদর গেইটের দিকে এগুতে লাগলেন। একপর্যায়ে সদর ফটকে এসে তার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন তিনি। দেখলেন, সদর ফটক সম্পূর্ণরূপে বন্ধ । বাইরে থেকে তালা ঝুলানো। তার হাতে চাবি আছে । কিন্তু ভিতর থেকে খোলার মত কোন সুবিধা নেই। এ অপ্রত্যাশিত অবস্থা প্রত্যক্ষ করে তার হৃদয়-মন এক অজানা আশংকায় কাঁপতে শুরু করল ।

নিরাপত্তার স্বার্থে কোষাগারের প্রাচীর বেশ শক্ত ও পুরু করে তৈরী করা হয়েছিল । সদর ফটকও ছিল লৌহ দিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরী। যা একজন নিরস্ত্র মানুষের পক্ষে কিছুতেই ভাঙ্গা সম্ভব নয়। সময় তার আপন গতিতে বেয়ে চলছে। রাজা এ বন্দিদশা থেকে বের হওয়ার জন্য সকল প্রকার চেষ্টা চালাচ্ছেন, কিন্তু কোন চেষ্টাই তার সফল হচ্ছে না। কখনও তিনি চিৎকার করে লোকদের ডাকছেন, কখনও প্রচন্ড জোড়ে ফটকে লাথি মারছেন, কখনও বা অব্যাহতগতিতে করাঘাত করে চলছেন। কিন্তু সকল ক্ষেত্রেই তিনি ব্যর্থ হচ্ছেন। বাইরে থেকে কেউ তার আওয়াজ শুনতে পেল না। আর শুনবেই বা কেমন করে? এ এলাকার ত্রিসীমানায় এক প্রধানমন্ত্রী ছাড়া অন্য কেউ তো আসে না। আসার সাহসও পায় না। কারণ এখানে আসা একে তো সরকারী নিষেধাজ্ঞা, আবার অপরদিকে কেউ সন্দেহ করে বসে কিনা এই ভয়। সুতরাং অবরুদ্ধ রাজার হৈ-হৈল্লোর, লম্ফ-ঝম্ফ সব বিফলে যাওয়াই স্বাভাবিক ।

কোষাগারে আলো-বাতাস আসার জন্য স্থানে স্থানে কাঁচ লাগানো ছিল । কিন্তু এগুলো ছিল বেশ উঁচুতে। সে পর্যন্ত উঠার জন্য প্রয়োজনীয় কিছুই কোষাগারে ছিল না। সুতরাং এসব কাঁচ ঘেরা ফাঁক- ফোকরও রাজার কোন কাজে এল না।

সেই বিকেল থেকে রাজপ্রাসাদের কোথাও রাজাকে দেখা গেল না । তার পরের দিনও তাকে কোথাও পাওয়া গেল না। রাজাকে না পেয়ে প্রধানমন্ত্রী অস্থির, বেকারার। কি করবেন তিনি, কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না ।

এমন সময় প্রধানমন্ত্রী যুবরাজকে বিষয়টি অবহিত করলেন। শেষ পর্যন্ত দুজনে সিদ্ধান্ত নিলেন, রাজার নিখোঁজ সংবাদ সিংহাসন ও রাজ পরিবারের জন্য বিব্রতকর হবে। সুতরাং আপাতত ব্যাপারটি গোপন রেখেই অনুসন্ধান কার্য চালিয়ে যেতে হবে ।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ চলল। সম্ভাব্য সকল স্থানেই তারা খোঁজ নিলেন। প্রধানমন্ত্রী যুবরাজকে নিয়ে কোষাগারেও গিয়েছিলেন। কিন্তু পূর্বের মতই দরজা বন্ধ থাকায় তারা৷ ভিতরে প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলেন না। এভাবে চলে গেল এক সপ্তাহ।

সপ্তাহান্তে শুরু হল পূর্ণ তদন্তের কাজ। জনগণের সহযোগীতা লাভের জন্য রাজার রহস্যময় অন্তর্ধানের কথা বারবার প্রচার হল। যুবরাজের আশংকা হল, রাজার অন্তর্ধান কিংবা হত্যার ব্যাপারে তাকে সন্দেহ করা হতে পারে। তাই সন্দেহ থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে তিনি রাজ্যের প্রতি ইঞ্চি জায়গা তন্নতন্ন করে অনুসন্ধানের জন্য সকলকে কঠোর নির্দেশ দিলেন ।

রাজ্যের সর্বত্র রাজাকে খোঁজা হল। আশে-পাশের রাষ্ট্রগুলোতেও অনুসন্ধান করা হল । কিন্তু কোথাও তার হদিস মিলল না । এমনকি কোথাও থাকার সামান্যতম আভাসও পাওয়া গেল না ৷

রাজা নিখোঁজ হওয়ার আজ একমাস পূর্ণ হল। মন্ত্রী পরিষদের পরামর্শক্রমে যুবরাজকে অস্থায়ীভাবে রাজার সিংহাসনে বসানো হল । রাজ্যের সকল স্থানে এ মর্মে ঘোষণা করা হল যে, রাষ্ট্রের যাবতীয় আইনগত হুকুম রাজার ভারপ্রাপ্ত হিসেবে যুবরাজের নামেই জারী হবে।

সিংহাসনের দায়িত্ব গ্রহণের পর যুবরাজ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সমস্ত রাজকার্য বুঝে নিলেন। উপরন্ত রাজা হওয়ার সুবাদে রাজকোষের একখানা নতুন চাবিও তিনি হস্তগত করলেন।

একদিন যুবরাজ প্রধানমন্ত্রীকে বললেন, মন্ত্রী মহোদয়! চলুন না রাজকোষটা একটু দেখে আসি। মন্ত্রী বললেন, চলুন। এ বলে তারা উভয়ে রাজকোষের প্রধান ফটকে গিয়ে উপস্থিত হলেন । প্রধানমন্ত্রী তার হাতে রক্ষিত চাবি দিয়ে তালা খুলে ফটক উন্মুক্ত করতেই দেখলেন, ফটকের নিকট রাজার মৃত গলিত শবদেহ পড়ে রয়েছে । তার স্বীয় বসনে রক্ত দিয়ে লেখা–

‘মনি-মুক্তা, হীরা-জহরত আর ধন সম্পদের ভালবাসাই আমার মৃত্যুর কারণ । এরূপ ভালবাসা যেন অন্য কারও না হয় ।’

রাজার নাকে মুখে তারা রক্তের দাগ পেলেন। বের হওয়ার জন্য চেষ্টা করার সময় দরজার সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লাগার কারণে হয়ত নাক দিয়ে রক্ত বেরিয়েছিল । আর পৃথিবীর তাবৎ মানুষকে সতর্ক করার জন্য সেই রক্ত দিয়েই তিনি উপরোক্ত কথাগুলো লিখে গেছেন ।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক বলেন, তোমরা কি আখেরাত বাদ দিয়ে দুনিয়ার জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট আছ? (মনে রেখ) আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবন নেহায়েতই তুচ্ছ। (সূরা তওবা : ৩৮)

আল্লাহপাক আমাদের সকলকে ধন-সম্পদ ও দুনিয়ার মোহ থেকে মুক্ত করে আখেরাত মুখী হওয়ার তাওফীক দান করুন। আমীন।

লেখক: মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম। লেখকের যে গল্প হৃদয় কাড়ে – হৃদয় গলে সিরিজ ৫ থেকে। 

Leave a Comment