মুহাম্মদ নামের অর্থ প্রশংসিত। এটি আল্লাহর শেষ নবীর নাম (সাঃ)। মুহাম্মদ একটি মুসলিম ছেলের নাম এবং এই নামের একাধিক অর্থ রয়েছে। মুহাম্মদ নামের সঠিক বানান ও উচ্চারণসহ বিশদ বিবরণ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
মুহাম্মদ নামের অর্থ-উৎপত্তি ও জনপ্রিয়তা!
নাম | মুহাম্মদ (সাঃ) – Mohammad (Swt) |
অর্থ | প্রশংসিত, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার শেষ নবীর নাম। |
লিঙ্গ | ছেলে। |
রেফারেন্স | আরবি। |
ভাগ্যবান সংখ্যা | ২ |
ধর্ম | ইসলাম। |
সংক্ষিপ্ত নাম | না। |
নামের দৈর্ঘ্য |
৮ টি অক্ষর একটি শব্দ। |
মুহাম্মদ নামের বিশদ তথ্য!
মুহাম্মদ নামের অর্থ “প্রশংসনীয়” এবং এটি একটি আরবি নাম। পবিত্র কুরআনুল কারীমে মুহাম্মদ শব্দটি চারবার এসেছে এবং আল কুরআনের ৪৭তম সুরার “মুহাম্মদ”। একইসাথে কুরআনুল কারীমে মুহাম্মদকে আহমাদ বলে উল্লেখ করা হয়েছে যার অর্থ “চরম প্রশংসাকারী”। সূরা আস-সাফ ৬নং আয়াতে মুহাম্মদকে আহমাদ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মুহাম্মদকে হামিদ বা “আল্লাহর প্রশংসক” এবং মাহমুদ বা “সর্বাধিক প্রশংসিত” হিসাবেও উল্লেখ করা হয়েছে। মুহাম্মদ (সাঃ) সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত সমূহ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
আর মুহাম্মাদ কেবল একজন রাসূল। তার পূর্বে নিশ্চয় অনেক রাসূল বিগত হয়েছে। যদি সে মারা যায় অথবা তাকে হত্যা করা হয়, তবে তোমরা কি তোমাদের পেছনে ফিরে যাবে ? আর যে ব্যক্তি পেছনে ফিরে যায়, সে কখনো আল্লাহর কোন ক্ষতি করতে পারে না। আর আল্লাহ অচিরেই কৃতজ্ঞদের প্রতিদান দেবেন। (সূরা আল ইমরান ৩ : ১৪৪)
মুহাম্মাদ তোমাদের কোন পুরুষের পিতা নয়; তবে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী।* আর আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞ। (সূরা আল আযহাব আয়াত ৪০)
আর যারা ঈমান এনেছে, সৎকর্ম করেছে এবং মুহাম্মাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তাতে বিশ্বাস স্থাপন করেছে ‘আর তা তাদের রবের পক্ষ হতে (প্রেরিত) সত্য, তিনি তাদের থেকে তাদের মন্দ কাজগুলো দূর করে দেবেন এবং তিনি তাদের অবস্থা সংশোধন করে দেবেন। (সূরা মুহাম্মদ আয়াত ২)
মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল; আর তার সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর, তাদের পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবেন। তাদের লক্ষণ তাদের মুখমণ্ডলে সিজদার প্রভাবে পরিস্ফুট; এটাই তাওরাতে তাদের দৃষ্টান্ত। আর ইঞ্জীলে তাদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমন একটি চারাগাছ, যা থেকে নিৰ্গত হয় কচিপাতা, তারপর তা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কাণ্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীর জন্য আনন্দদায়ক। এভাবে আল্লাহ অন্তর্জলা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপ্রতিদানের। (সূরা ফাতহ আয়াত ২৯)
আর স্মরণ করুন, যখন মারইয়াম-পুত্র ঈসা বলেছিলেন, হে বনী ইসরাঈল! নিশ্চয় আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর রাসূল এবং আমার পূর্ব থেকে তোমাদের কাছে যে তাওরাত রয়েছে আমি তার সত্যায়নকারী এবং আমার পরে আহমাদ নামে যে রাসূল আসবেন আমি তার সুসংবাদদাতা। পরে তিনি যখন সুস্পষ্ট প্রমাণাদিসহ তাদের কাছে আসলেন তখন তারা বলতে লাগল, এটা তো স্পষ্ট জাদু। (সূরা আস সফ আয়াত ৬)
এছাড়াও মুহাম্মদ সাঃ এর একশোটির বেশি গুণবাচন নাম রয়েছে যা মুসলিম সম্প্রদায়ে খুবই জনপ্রিয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর ১১ জন স্ত্রী আবার কারো কারো মতে ১৩ জন স্ত্রী ছিলেন ও সাত সন্তানের জনক ছিলেন। নিচের লিংকগুলোতে তাদের সম্পর্কে বিশদ তথ্য জানা যাবে।
দেখুন : মুহাম্মদ সা. এর স্ত্রীদের নাম – অর্থ ও পরিচয়!
দেখুন : মুহাম্মদ সা. এর সন্তানদের নাম ও অর্থ!
ছেলে বাবুর জন্য মুহাম্মদ নামটি কেমন?
একটি ভালো অর্থপূর্ণ নাম দ্বারা নবজাতক শিশুর নামকরণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি একটি শিশুর আজীবন পরিচয় প্রদান করে। তাই শিশুদেরকে ইতিবাচক ব্যক্তিত্ব প্রদানের জন্য পিতা-মাতাগণ শিশুর নামকরণের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।
মুহাম্মদ একটি ভালো অর্থপূর্ণ ও আকর্ষণীয় ছেলের নাম যা সকলেই পছন্দ করে। নামটি খুবই ভালো অর্থপূর্ণ যা ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্যগুলিও বর্ণনা করে।
মুহাম্মদ নামের অর্থ “চরম প্রশংসিত” এবং এটি আল্লাহর শেষ নবীর নাম। নামটি আরবি ভাষা থেকে উদ্ভূত এবং ছেলেদের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ছোট শিশুদের জন্য মুহাম্মদ একটি ভালো নাম এবং এটি আপনার সন্তানের জন্য সেরা নামগুলির মধ্যে একটি।
মুহাম্মদ নামের বিখ্যাত ব্যক্তিরা
০১. মুহাম্মদ (সাঃ) – ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা।
০২. মুহাম্মদ আলী – আমেরিকান বক্সার।
০৩. মুহাম্মদ ইকবাল – পাকিস্তানি কবি।
০৪. মুহাম্মদ ইউনূস – বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ ও নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।
০৫. মুহাম্মদ জিয়া-উল হক – পাকিস্তানের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি।
০৬. মুহাম্মদ উইলকারসন – আমেরিকান ফুটবল খেলোয়াড়।
০৭. মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ – পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা।
For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.
ভালো লাগলো