গল্পটি এক যুবকের যিনি মায়ের অবাধ্য হয়ে হজে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মায়ের অভিশাপের কারনে হজে যাওয়ার পথে তিনি মিথ্যা অপবাদে লাঞ্ছনা ও নির্যাতনের শিকার হন। কি হয়েছিল সেদিন? লেখক মায়ের অবাধ্য হয়ে হজে যাওয়ার যুবকের করুণ পরিণতির কাহিনী গল্পাকারে তুলে ধরেছেন। তাহলে পড়ুন লেখকের এই শিক্ষণীয় গল্প টি…
মায়ের অবাধ্য হয়ে হজ্বে যাওয়ার ছেলের করুণ পরিণতি!
সে বহুদিন পূর্বের কথা। তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা এত উন্নত ছিল না। ইচ্ছা করলেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়া যেত না। বরং বহু সময় ও কষ্টের পরেই তা সম্ভব হত। আজকে যেমন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র ছয় ঘন্টার ব্যবধানে জেদ্দা বিমান বন্দরে পৌঁছা যায় তখন কিন্তু তা কল্পনাও করা যেত না। আমি এখন সম্মানিত পাঠক পাঠিকাদের ঐ সময়কার একটি চমকপ্রদ শিক্ষণীয় ঘটনা শুনাব, যখন আধুনিক কালের উন্নত যানবাহনগুলোর অস্তিত্ব ছিল না।
আশি পঁচাশি বছরের এক অশীতিপর বৃদ্ধা। তাঁর এক ছেলে দুই মেয়ে। মেয়ে দুটির বিবাহ অনেক আগেই হয়ে গেছে। মেয়েরা তাদের স্বামীর সংসারে সুখেই দিনাতিপাত করছে।
ছেলেটির নাম আব্দুল্লাহ। মাদরাসায় কয়েক ক্লাস লেখা-পড়া করেছে। এলাকার লোকেরা তাকে মৌলভী আব্দুল্লাহ বলে ডাকে। ছেলেটি বেশ শান্ত স্বভাবের। কারো সাথে ঝগড়া করে না, মারামারি করে না। মাকে এখন সেই দেখাশুনা করে।
আব্দুল্লাহর মনে ছিল হজ করার এক তীব্র বাসনা। এ বাসনা একদিন দুদিনের নয়। বহুকাল আগের, বহু পুরানো এ বাসনা। কাবা শরীফ তাওয়াফ এবং মদীনায় রওজায়ে আতহারের পাশে দাঁড়িয়ে সালাত ও সালাম পেশ করা তাঁর জীবনের এক বিরাট স্বপ্ন ছিল। এ স্বপ্ন পূরণে কোন বাধাও তাঁর ছিল না। সুস্থ দেহ, আর্থিক স্বচ্ছলতা সবই তাঁর ছিল। কিন্তু একমাত্র মায়ের জন্য তাঁর এ স্বপ্ন পূরণ বিলম্বিত হচ্ছিল।
আব্দুল্লাহ মায়ের সেবা করে। মাও তাকে ভীষণ ভালবাসে। মা যেন এ ছেলেকে ছাড়া কিছুই বুঝে না। প্রতিবছর হজের সময় এলে আব্দুল্লাহ মায়ের কাছে যায়। মিনতির স্বরে বলে—
মা! আমি এ বছর হজে যেতে চাই। আপনার অনুমতি হলেই রওয়ানা দিতে পারি।
সন্তানের প্রতি মায়ের ভালবাসা এমনিতেই সীমাহীন। তদুপরি আব্দুল্লাহ তাঁর একমাত্র ছেলে। বয়সও অনেক হয়ে গেছে। অনেক কাজ ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও নিজে নিজে করতে পারেন না। অন্যের সাহায্য নিতে হয়। তাই ছেলে হজের অনুমতি চাইলে বরাবরই তিনি একই কথা বলে ছেলেকে ফিরিয়ে দেন। বলেন—
বাবা! আমি অসুস্থ ও দুর্বল হয়ে গেছি। তুমি ব্যতীত আমাকে দেখাশুনা করার আর কেউ নেই। তুমি আসার পূর্বেই হয়ত মরে যাব। সুতরাং এ বছর হজে যাওয়া স্থগিত রাখ।
এভাবে চার পাঁচ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর ছেলের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেল। সে এবার দৃঢ় সংকল্প করল যে, এ বছর যেভাবেই হউক হজে যাব। মায়ের কথা কিছুতেই মানব না। এবার তিনি অনুমতি দিক বা না দিক তাতে আমার কোন পরওয়া নেই। যেভাবে পারি, আমি আমার সংকল্প বাস্তবায়ন করবই।
দেখতে দেখতে হজের সময় ঘনিয়ে এল। আব্দুল্লাহ হজের পূর্ণ প্রস্তুতি নিল। কিন্তু একথা মাকে জানাল না। অবশেষে রওয়ানা হওয়ার দিন মাকে বলল—
: মা দুআ করো। আজকেই হজের উদ্দেশ্যে বের হচ্ছি।
: আজই বের হচ্ছ অথচ আগে আমাকে কিছুই জানাও নি। মায়ের কণ্ঠ চিরে একরাশ বিস্ময় ঝরে পড়ে।
: হ্যাঁ, এবার আপনাকে জানানোর প্রয়োজন বোধ করি নি।
:কেন?
: অতীতের বছরগুলোতে আপনার অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনি দেন নি। আমার বিশ্বাস এ বছরও আপনি তাই বলবেন। সে জন্য আপনার অনুমতি না নিয়েই এবার হজে যাওয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
: বাবা! তুমি এ বছরও যেয়ো না। তোমার কাছে এ আমার শেষ আবদার। আর কখনো তোমাকে নিষেধ ক্রব না।
: আমি আপনার কথা মানব না মা। আপনার নিকট এখন আমি অনুমতি নিতেও আসিনি। হজে যাচ্ছি শুধু এতটুকু জানানোর জন্য এসেছি।
: বাবা! তুমি কি আমার শেষ আবেদনটুকুও রাখবে না?
: না, রাখব না। রাখতে পারি না। কারণ আপনি কেবল প্রতি বছর একই অজুহাত দিয়ে থাকেন। বলেন যে, তুমি হজ থেকে ফিরে আসার আগেই মৃত্যুবরণ করব, তাই তুমি এ বছর যেয়ো না। অথচ আপনি হজ পর্যন্ত মরেন নি।
: তুমি ছেলে হয়ে একথাটি এভাবে বলতে পারলে?
: হ্যাঁ, না বলে কোন উপায় দেখছি না, মা। আমি এ বছর অবশ্যই হজে যাব, চাই আপনি মরে যান বা জীবিত থাকেন।
এ কথা বলে আব্দুল্লাহ বগলে একখান কিতাব রেখে মক্কার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেন। এ সময় বৃদ্ধা জননী অনেক অনুনয় বিনয় করে আবারো বলছিলেন, বাবা! তুমি যেয়ো না। আমার মন বলছে এ বছরই আমি মারা যাব। আমার মন বলছে এ বছরই আমি মারা যাব। আমাকে একাকী রেখে যেয়ো না। তুমি চলে গেলে কে আমার খেদমত করবে? কে আমাকে দেখাশুনা করবে? আমার তো আপনজন বলতে দুনিয়াতে আর কেউ নেই। তোমার বোনেরাও তো জামাইয়ের বাড়িতে চলে গেছে।
হৃদয়ের গহীন কোণ থেকে উৎসারিত মায়ের এ কথাগুলোর দিকে আব্দুল্লাহ বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ করল না। ফিরে এসে মাকে দু’খানা সান্ত্বনার কথাও শুনাল না। এমনকি ফিরেও তাকাল না। সোজা বের হয়ে হজের পথ ধরল।
ছেলের এ আচরণে মায়ের মনে বেশ কষ্ট লাগল। তাঁর হৃদয়টা ভেঙ্গে চৌচির হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে কয়েক ফোঁটা তপ্ত অশ্রু গড়িয়ে পড়ল চোখের দু’কোণ বেয়ে। তিনি নিজেকে সামলাতে পারলেন না। ধপাস করে মাটিতে বসে পড়লেন। তারপর হাত দুটো উপরে তুলে বললেন—
হে পরওয়ার দেগার আল্লাহ! তুমি আব্দুল্লাহর কাণ্ড দেখেছ। সে আমার কথা শুনল না। আমার দিকে ফিরেও তাকাল না। ওগো পরাক্রমশালী মাওলা! তুমিও তাঁর কথা শুনিও না এবং তাঁর দিক থেকে তোমার রহমতের দৃষ্টি ফিরিয়ে নিও। সে যেমন আমাকে কষ্ট দিল তেমনি তুমিও তাকে কষ্টের মধ্যে ফেলিও।
এদিকে মৌল্ভী আব্দুল্লাহ বিরামহীন গতিতে এগিয়ে চলছে। তাঁর মনে আশা পূর্ণ হওয়ার এক বুক স্বপ্ন। কোন দিকে খেয়াল নেই তাঁর। চলছে তো চলছেই।
অনেক দুরের সফর। একটানা কতদূর আর চলা যায়। চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে গেলে আব্দুল্লাহ গাছের ছায়ায় আশ্রয় নেয়। কখনো বা চলে যায় নিকটবর্তী কোন মসজিদে। মুসাফিরখানার সন্ধান না পেলে মসজিদেই রাত কাটিয়ে দেয়। সেখানে বিশ্রামের পাশাপাশি ইবাদত করারও বেশ মওকা মিলে যায়।
একদিনের ঘটনা।
রাত্রি যাপনের জন্য আব্দুল্লাহ একটি মসজিদে অবস্থান নেয়। ইশার নামাজ আদায় ও খাওয়া দাওয়া শেষে সে ঘুমিয়ে পড়ে। মসজিদটি ছিল লোকালয় থেকে একটু দূরে। সফরের ক্লান্তির কারণে অল্প সময়ের মধ্যে সে নিজেকে সঁপে দেয় গভীর নিদ্রার কোলে।
রাত তখন তিনটা। চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। হাত মেললে হাত দেখা যায় না। আব্দুল্লাহ ঘুম থেকে জেগে উঠে। ভাল করে অজু করে। তারপর তাহাজ্জুদে দাঁড়ায়। নীরব, নিস্তব্ধ নির্জন পরিবেশে বড়ই একাগ্রতার সাথে নামাজ পড়তে থাকে। মসজিদের দরজা তখন খোলাই ছিল।
ঘটনাক্রমে মসজিদের পাশের বাড়িতে এক চোর ঢুকে। সে মালামাল নিয়ে পালানোর সময় লোকজন টের পেয়ে যায়। সবাই তাঁর পিছে পিছে ধাওয়া করে। চোর বেচারা উপায়ান্তর না দেখে মসজিদে ঢুকে পড়ে। সে দেখে এক ব্যক্তি নামাজে মগ্ন।
এমন সময় চোরের মাথায় এক বুদ্ধি আসে। সে ভাবে, যদি মালগুলো লোকটির কাছাকাছি রেখে পালাতে পারি, তবে লোকজন আমার পিছনে আর দৌড়াবে না। তাকেই চোর মনে করে শাস্তি দিবে।
সময় খুব কম। বেশি চিন্তা করার সময় নেই। চোর বেচারা তড়িগড়ি করে চোরাইকৃত মালামালগুলো নামাজি ব্যক্তির কাছে নিয়ে আস্তে করে রেখে দেয়। অতঃপর দেয়াল টপকে অন্ধকারে হারিয়ে যায়।
চোর তো জান নিয়ে পালাল কিন্তু বিপদ চাপল মৌলভী সাহেবের ঘাড়ে। লোকজন যখন দেখল, চোর মহাশয় মসজিদে ঢুকেছে তখন দেরী না করে চতির্দিক তারা মসজিদ ঘিরে নেয়। কিন্তু ততক্ষণে প্রকৃত চোর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এক পর্যায়ে কয়েকজন সাহসী লোক ভিতরে প্রবেশ করে। দেখে, এক ব্যক্তি নামাজ পড়ছে। তাঁর পরনে লম্বা আলখেল্লা। পিছনে রয়েছে চোরাই মাল।
লোকজন বিস্মিত হয়। কারণ এমন চোর জীবনেও তারা দেখে নি। তারা পরস্পর বলাবলি করে—আশ্চর্য চোর তো! জান বাঁচানোর জন্য চুরির মালপত্র মসজিদে রেখে নামাজ শুরু করে দিয়েছে।
এ দৃশ্য দেখে এলাকার লোকেরা ক্রোধে ফেটে পড়ে। একে তো চোর, তাঁর উপর আবার ভন্ডামী, এ কি সহ্য করা যায়? তারা তাদের ধারণায় মৌলভী লেবাসধারী চোরকে টেনে হেচড়ে বাইরে নিয়ে আসে। তারপর শুরু হয় উত্তম মাধ্যম। আচ্ছামত ধোলাই। যে যেভাবে পারে পেটাতে থাকে। লাথি-ঘুষি, কিল-গুতো কোন কিছুই বাদ পরে নি। এলাকার ছেলেরাও সুযোগ পেয়ে দুচার ঘা লাগাতে কসুর করে না। মোটকথা, বাকি রাতটুকু মৌলভী সাহেবের গণ পিটুনী খেয়েই শেষ হয়।
পরদিন বাদ ফজর। লোকেরা তাকে নিয়ে বিচারকের দরবারে উপস্থিত হয়। তারা বলে—
মাননীয় বিচারপতি! এ এক আশ্চর্য ধরনের চোর। এর দ্বিগুণ শাস্তি হওয়া উচিৎ। কারণ একদিকে সে সুন্নতি পোষাক পড়ে সুন্নতের অবমাননা করেছে, তেমনি অন্য দিকে মসজিদে গিয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে মানুষকে প্রতারিত করতে চেয়েছে।
বিচারক সবকিছু শুনে কিছুক্ষন ভাবলেন। তারপর গুরুগম্ভীর কণ্ঠে উপস্থিত জনতাকে ফয়সালা শুনালেন। বললেন—
চুরির শাস্তি হিসেবে এর হাত কাটা হবে, চোরাই মাল মসজিদে রাখার জন্য এর পা কাটা হবে এবং মৌলভি বেশ ধারণ করে এই জঘন্য কর্ম করার জন্য তাঁর দুই চক্ষু উপড়ে ফেলা হবে। শুধু তাই নয়। শাস্তি কার্যকর করার পূর্বে তাকে গোটা এলাকায় ঘুরিয়ে আনতে হবে। তাঁর সাথে একজন ঘোষণাকারী থাকবে। সে উচ্চস্বরে বলবে “মৌলভীর বেশ ধরে যে এ কাজ করবে তাঁর শাস্তি এই।”
বিচারকের কথা অনুযায়ী লোকজন তাকে এলাকায় নিয়ে গেল। চতুর্দিকে থেকে তিরস্কার ও বিদ্রুপ করতে লাগল। ঘোষণাকারী ঘোষণা করল, যে ব্যক্তি মৌলভীর বেশে চুরি করে এবং চুরির মাল মসজিদে রেখে নামাজ পড়ে তাঁর শাস্তি এই।
এতক্ষণ এলাকাবাসীদের অকথ্য নির্যাতন নীরবে সহ্য করে যাচ্ছিল মৌলভী আব্দুল্লাহ। সে একটি টু শব্দও করছিল না। কিন্তু যখন ঘোষণাক্রী বিচারকের শিখানো কথাগুলো উচ্চারণ করল তখন সে বলল—
ভাই! ঐ কথা না বলে বরং বল—যে ব্যতি মায়ের কথা না মেনে হজে যাওয়ার আশা করে তাঁর এই শাস্তি হয়।
ঘোষক মৌলভীর কথা বুঝতে পারে না। সে বলে—এই চোর বেটা! একথা দ্বারা তুই কি বুঝাতে চাচ্ছিস?
মৌলভী বলল, কিছুই না। আমি যেভাবে বলেছি সেভাবেই ঘোষণা করুণ।
এবার লোকজন পীডাপীডি শুরু করল। তারা বলল, একথা দ্বারা তুমি কি বুঝাতে চাও? তা এক্ষুণি পরিস্কার করে খুলে বল। নইলে এখনই তোমাকে কঠিন শাস্তি দেব।
লোকদের চাপাচাপিতে আব্দুল্লাহ সবকিছু বর্ণনা করল। একটি কথাও সে বাদ দিল না। এতে লোকজন তাদের ভুল বুঝতে পারল। ফভীরভাবে অনুশোচনা করল। তারপর বিচারকের কাছে ফিরিয়ে এনে পুরো ঘটনা খুলে বলল।
সব শুনে বিচারকও গভীর দুঃখ প্রকাশ করলেন এবং সবার পক্ষ থেকে ক্ষমা পার্থনা করলেন। মৌলভী আব্দুল্লাহ বলল, না ভাই আপনাদের কোন অন্যায় হয়নি। অন্যায় আমারই হয়েছে। মায়ের অবাধ্যতার কারণেই আমাকে এ ভোগান্তি সহ্য করতে হয়েছে
প্রিয় পাঠক! দেখলেন তো, মায়ের কথা না শুনার কারণে একজন ভাল মানুষও কতটা লাঞ্ছনা বঞ্চনা ও অপমানের সম্মুখীন হলেন। আর হবেই না কেন? প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো বলেই গেছেন, পিতা-মাতার অবাধ্যতার শাস্তি দুনিয়াতেই পাওয়া যায়, আর আখেরাতে তো আছেই। (হাকেম)
লেখক : মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম। (বই : সাড়া জাগানো সত্য কাহিনী)
লেখকের আরও গল্প….
০১. কৃতজ্ঞতার উত্তম প্রতিদান (তিন ব্যক্তির ঘটনা)
০২. মায়ের অভিশাপ : সন্তানের করুণ পরিণতি গল্প
০৩. এরই নাম কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন (লোকমান আ. এর গল্প)
০৪. ভয়ংকর সাপ (কবরের আজাবের গল্প ১)
০৫. সবচেয়ে বড় পাপ (শিক্ষণীয় গল্প)
০৬. এক নির্যাতিতা স্ত্রীর ফরিয়াদ : একটি ঘটনা।
০৭. কল্যাণকামী স্বামী (একজন ভালো স্বামীর গল্প)
০৮. গল্প : বংশের প্রভাব (শিক্ষণীয় ঘটনা)
০৯. প্রিয়তমা : প্রিয়তমাকে হৃদয়স্পর্শী চিঠি!
১০. প্রিয়তমার সাথে কিছুক্ষণ | Bangla love story
For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.