ফ্যাশন : ছেলেদের ও মেয়েদের ফ্যাশন আইডিয়া A-Z

নিজেকে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় করতে কি ধরনের পোশাক, জুতা, ব্যাগ পরিধান ও প্রসাধনী উপাদান ব্যবহার করবেন এবং নতুন ফ্যাশনের প্রবণতা’র সাথে কি ধরনের অনুষ্ঠানে কেমন পোশাক,জুতা পরিধান করবেন, ছেলেদের ও মেয়েদের ড্রেসআপ গ্রেটআপ সম্পর্কে ধারণা পেতে এই দীর্ঘ আর্টিকেল টি পড়ুন। নিজেকে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় করতে এটি তৃতীয় ধাপ। তাহলে আসুন শুরু করা যাক। 

হালের ফ্যাশন সচেতন হন (recent fashion trends)

ফ্যাশনযুগের সাথে তাল মিলিয়ে পোশাক আনুসাঙ্গিক জুতা প্রসাধনী উপস্থাপন ভঙ্গি, চুলের কার্ট শিক্ষা ফ্যাশন সহ সব কিছুই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন হয়। আপনার মন মানসিকতায় সে পরিবর্তন আসা চাই। আপনি যে স্টাইলে চলেছেন দুবছর পরে একই স্টাইলে চললে একই মডেলের পোশাক পরলে একই রকম কথা বললে মনে হবে যথষ্ট সচেতনার অভাব রয়েছে। কারণ ফ্যাশন কখন এক জায়গায় থেকে থাকে না। আবার নতুন ফ্যাশন নতুন ডিজাইন নিয়ে বাজারে এলে তা কতোটা মানানসই কতটা স্বাচ্ছন্দেবোধ করছেন। কতটা আকর্ষণীয় মনে হবে তা আপনাকে পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা তৈরি করতে হবে। যার মধ্যে অশ্লীলতা রয়েছে দৃষ্টি কটু লাগছে সেটা চিহ্নিত করে বর্জন করার ক্ষমতা থাকতে হবে। যে মডেলটি ব্যক্তিমানের রুচি ও ব্যক্তিত্ব উপস্থাপিত হয় সেটাই নির্বাচন করুণ।

হালের ফ্যাশন

* হালের ফ্যাশন সম্পর্কে সচেতন হোন, যুগ যা চায় তার সঙ্গে যতটা সম্ভব ভ্রাতৃত্ব করার চেষ্টা করুন।

* বর্তমান যুগের ফ্যাশন  ট্রেড বোঝার চেষ্টা করুণ। কারণ বর্তমান সময়টাই হলো ফ্যাশনের। চাকরি পাওয়ার জন্য ফ্যাশনসচেতনতা হলো অন্যতম যোগ্যতা।

* সাক্ষাৎকার বা ইন্টাভিউ বোর্ডে সবার দৃষ্টি থাকে আপনার দিকে। সেখানে আপনি একা, কখনো কখনো মনে হয় অসহায়। কিন্তু এই অসহায়ত্ব দূর করতে আপনার পোশাক—ই হতে পারে শক্তিশালী হাতিয়ার।

* সাক্ষাৎকারের সময় ফুল স্লিভ/ ফুলহাতা শার্ট পরুন। হালকা রংয়ের শার্ট আর গাঢ় রঙয়ের প্যান্টের কম্বিনেশনে পরুন মানানসই টাই।

* যত গরমই পড়ুক না কেন, কখনোই হাফহাতা শার্ট পড়বেন না।

* পুরুষের ক্ষেত্রে নিয়মিত ক্লিন সেভ সবার কাছে সর্বদাই অধিক গ্রহনযোগ্য। তবে তা অনেক ক্ষেত্রে সুফল নাও পেতে পারেন। কেননা আমাদের দেশে অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা ইসলামিক মাইন্ডের। তারা বেছে বেছে ইসলাম অনুসারীদেরকেই অগ্রাধীকার দিয়ে থাকে। আপনার মুখে দাড়ি থাকলে তারা অগ্রাধিকার দিলেও পাশ্চাত্যের অনুসারীরা দিবেন। তবে খোঁচা খোঁচা দাড়ি নিয়ে কখনোই সাক্ষাতপ্রার্থী হবেন না।

* ইন্টারভিউ বোর্ডে (নারী) অলংকার ব্যবহারে আপনি সচেতন হোন, স্মার্ট ও আধুনিক। গলাভর্তি হার, হাতভরা চুড়ি আর দুই পায়ের শব্দ করা নূপুর এসব কখনোই সাক্ষাৎকার বোর্ডে আপনার পক্ষে সুফল আনবে না। 

কিভাবে হালের ফ্যাশন সম্পর্কে সচেতন হবেন

হাল আমলের ফ্যাশন সম্পর্কে জানতে হলে আগে মনকে প্রশ্ন করুণ আপনি আসলেই জানতে চান কিনা তাহলে পারবেন।

শুধু পোশাক আনুসাঙ্গীকেই ফ্যাশনের ছোয়া থাকেনা। তা মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গেও প্রতিফলিত হয়। আর যে কারণে মানুষ হয়ে উঠে সৌন্দর্যপূর্ণ।

আপনি নানা ভাবে হালের ফ্যাশন সম্পর্কে জানতে পারবেন এজন্য চাই জানার আগ্রহ। এজন্য যেতে হবে হবে ফ্যাশন ডিজাইনার, পোশাক বিশেষজ্ঞ রূপ বিশেষজ্ঞের কাছে তাছাড়া সিনেমা নাটক পত্রিকার পাতার তথ্য পড়েও শিখতে পারবেন এবং ফ্যাশন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জিনিসটা নির্বাচন করতে পারেন। এজন্য আপনার দৃষ্টি ভঙ্গি, পরিবর্তন করতে হবে হালের ফ্যাশন, হালের শিক্ষা, স্টাইল, কথাবলা, আর্ট, অঙ্গ ভঙ্গি, চুল ও নকের স্টাইল  সহ সব কিছুই হাল নাগাত করতে হবে। আপনি নিজ থেকে এই হাল স্টাইলের ফ্যাশন কি! তা বুঝতে পারবেন না। এক্ষেত্রে বন্ধু বান্ধব প্রিয় কেউ বা কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। কিছু লেখা পড়া ও প্রাকটিক্যাল বিষয় রয়েছে তা শিখতে হবে। তবেই পরিপূর্ণ স্মার্ট হয়ে উঠবেন।

কোন কোন ক্ষেত্রে ফাস্ট

শুধু লেখা পড়তেই ফাস্ট হলেই চলবে না, চাল চলন, কথা বলা, পোশাক পরিচ্ছদ, ফ্যাশন, খেলাধুলা, সামাজিকতা, রোমান্টিকতাসহ জীবনের আরো যে সব প্রয়োজনীয় দিক রয়েছে সব ক্ষেত্রেই ফাস্ট হতে হবে । এজন্য পরিশ্রম কঠোর অনুশীলন করে যেতে হবে। যদি তুমি সব ক্ষেত্রে প্রথম হতে নাও পার যদি কাছাকাছি যেতে পারো তবে ধরে নিও সফলতা হাতের সুধয়।

ফ্যাশনের সঙ্গি ব্যাগ  (Fashion bag)

আমাদের নানা কাজে বাইরে বের হতে হয়। আর সঙ্গে প্রয়োজনীয় জিনিস বহন করার জন্য চাই ব্যাগ। শুধু প্রয়োজনীয় সেটানোর জন্যই  নয় পরনের পোশাক জুতা জুয়েলারির সঙ্গে ব্যাগটাও যুগোপযোগী হওয়া চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে গেলে যেমন ব্যাগ থাকবে আবার বাজারের জন্য সে ব্যাগ থাকবে না। আবার বেড়াতে গেলে চাই অন্য রকম। ব্যাগের প্রয়োজনীয় জিনিস রাখা হয়। অন্যদিকে ব্যবহারকারীর রুচির পরিচয় ও পাওয়া যায়। ব্যাগের রঙ্গ ও ডিজাইন দেখে।

এ কারণে ফ্যাশন ডিজাইনার পোশাকের সঙ্গে ব্যাগের ডিজাইনের ক্ষেত্রেও সমান গুরুত্ব দিয়েছেন। তাই নারী, পুরুষ উভয়ের দৈনিক ব্যবহারের ব্যাগটিতেও বৈচিত্র আনুন।ব্যাগের মধ্যে বিভিন্ন আকারের পার্স, ঝোলানো ব্যাগ, হ্যান্ড ব্যাগ উল্লেখ্যযোগী এবং ছেলেদেরও নানান আকারের বৈচিত্রময় ব্যাগ রয়েছে শুধু যুগোপযোগী ব্যাগটি পছন্দ করে কিনতে হবে। আপনার ব্যাগটি যেন ব্যক্তিত্ব ও রুচির যথার্থ প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হয়। সেদিকে খেয়াল রাখুন।

ফ্যাশনের সঙ্গি জুতা স্যান্ডেল (Shoes)

মনে রাখবেন আপনার স্মার্টনেস ও আকর্ষণ বাড়াতে পায়ের যত্ন ও জুতা সেন্ডেলের বেলায় বৈচিত্র ও যুগোপযোগী হতে হবে। যেমন তেমন হলেই চলবেনা রয়েছে ভেড রং মডেল দেখে নিন। পায়ের সু ও সেন্ডেল ডিজাইনের ক্ষেত্রেও পোশাকের গুরুত্বের সমান। মামান সই বৈচিত্রময় যুগের ফ্যাশন এবং আধুনিক মডেলের জিনিসটাই নির্বাচন করুণ। আরামের বিষয় ও মানের দিকটাও মাথায় রাখুন। পোশাকের সঙ্গে যদি পাদুকা মানান সই হয়। তবে আপনার স্মার্টনেস ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারবেন বাজারে হাজার রকমের মডেলের জুতা সেন্ডেল পাওয়া যায়। যেটা পায়ের সঙ্গে মানায় ঠান্ডা মাথায় চিনাত করে সেটা নির্বাচন করুণ। ভুলবেন না। দোকান দারের ম্মন ভুলানোর কথায়।

অনুষঙ্গের ফ্যাশন

নতুন প্রজম্মের তরুণ তরুণীরা সব সময় নিজেকে একটু আলাদা ভাবেই নিজেকে উপস্থাপন করতে চায়। আর এ জন্যই মূলত তারা ফ্যাশন আনুষঙ্গের প্রতিবেশী মনোযোগী। দেখা যাচ্ছে দুজন বন্ধুর একই রকম স্টাইলের চুলের কার্ট, সেই সঙ্গে ড্রেসআপও কিছুটা একই গেছের, তা হলে তারা কিভাবে নিজেকে একটু আলাদা আরও বেশী আকর্ষণীয় করে তুলবে। আর তখনই আসছে ফ্যাশন অনুষঙ্গের ফ্যাশন, কাজেই ছেলে ও মেয়েরা নিজেদের সাজাতে হরেক রকম স্টাইলিশ ব্রেসলেট, বেল্ট, চেন, কানের দুল, ঘড়ি, আংটি, চশমা ও আর নানা রঙের ভিন্ন ধরণের অনুষঙ্গ ব্যবহারের করছে। এইতো কিছুদিন আগেও ব্রেসলেটেরে ফ্যাশনটা ছিল সাদা মাঠা বেল্টের বেলায়ওতাই কিন্তু এখন পোশাকের ধরনের ওপর ভিত্তি করে ব্রেসলেটের বেল্টের চাকচিক্য এসেছে। অনুষঙ্গ পরা যেন হাল ফ্যাশনের বাধ্যবাধকতা। তাই বলি বর্তমানের ফ্যাশনের সঙ্গে তাল মেলাতে গেলে ফ্যাশনের অনুষঙ্গ থাকতেই হবে। তবে সেটা হতে হবে রুচি সম্মত।

কিছু পরামর্শ (some advice) 

* নিজের পরিধেয় পোশাকের সঙ্গে অনুষঙ্গ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তা যেন কোনো ভাবেই ব্যক্তিত্বকে ছাপিয়ে না যায়।

* পরিবেশ ও অবস্থান বুঝে সবচেয়ে উপযুক্ত অনুষঙ্গটি ব্যবহার করা উচিত।

* বাজার ঘুরে নিজের সঙ্গে মানানসই হয় এমনটি বেছে নিন।

* আপনি কতটা সুন্দর সেটা নির্ভর করবে কথাবার্তা ব্যক্তিত্ব আচার আচরণ সব কিছুর ওপর। সঙ্গে অবশ্যই সাজের বাহার।

* সৌন্দর্যের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে নীরোগ স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য চর্চা ও শরীর চর্চা ।

পোশাক নির্বাচন (Clothing selection) 

নিজেকে স্মার্ট করতে আগে পোশাক সচেতন হতে হবে আপনি কতোটা স্মার্ট সেটা নির্ভর করে আপনার ড্রেসাফেরের মাধ্যমেই। সৃজনশীল ডিজাইন ও বেস্ট আডইলকসহ রঙ্গ শেলাই, নকশা, কাপড়, মডেল, সব দিক লক্ষ করে পোশাক কিনুন। গরমের ঋতুতে একশতভাগ সুতি কাপড়ের পোশাক কিনুন। এ বং মডেলটি যেন গরমের ঋতু অনুযায়ীই হয়। সেদিকে লক্ষ করুণ। শীত ও বর্ষা ঋতু হলে তেমন মডেলের প্রিন্টের ওপর বিভিন্ন ডিজাইনের কাজ করা দেখে নিন যাতে ঋতু সকলের আকৃষ্ট করে।

এছাড়াও নজর কড়া রঙ্গ ও নকশা নির্বাচন করুণ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পোশাকে লেগেছে ফ্যাশনের ছোঁয়া। আবার এর মধ্যেই অতীতের অনেক পোশাক নতুন আঙ্গিকে বার বার ফিরে আসে কারণ এর সৌন্দর্য যে কোন মানুষই মুগ্ধ হয় সেদিকটাও বিবেচনা করুণ।

আপনার ড্রেসটি যেন অপূর্ব, বৈচিত্র্যময়, রোমান্টিক এবং আরামদায়ক হয় খেয়াল করুণ। অন্যের গায়ে যেটা মানিয়েছে সেটা আপনার গায়েও মানাবে এটা ভাবা বোকামী। কারণ ফিগারের গঠন সবার ক্ষেত্রে এক নয়। পোশাক কিনুন, আর বানিয়ে নিন সেটা ফিগারের গঠন অনুযায়ী মানান সই কিনা সেটাও দেখুন।

যদি নতুন কারো সামনে যান বা ইন্টারভিউ কক্ষে যান তখন নিজে একা অসহায় মনে হয়। এক্ষেত্রে পোশাকই হতে পারে একমাত্র হাতিয়ার। আপনার মনকে চাঙ্গা ও সতেজ রাখতে পারে মানানসই পোশাকই।

তাই কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান, নতুন কোন স্থানে বেড়াতে যান, যেন আপনার পোশাকটি রুচি সম্মত হয়।  

অনুষ্ঠানের ধরণ বুঝে পোশাক পড়া উচিৎ

মনে রাখবেন পোশাকই স্মার্টনেসের প্রতীক। কিন্তু সেটা হতে হবে মানানসহ ও ফ্যাশন প্রবল। পোশাক নির্বাচনের আগে চিন্তা করতে হবে। আপনি কোথায় যাচ্ছেন, অনুষ্ঠান হলে তার ধরণ কি? বা সেখানকার আয়োজন কি? এখন কোন ঋতু? আপনার বয়স কত?

একি ধরণের পোশাক সব অনুষ্ঠানে পরে যাওয়া উচিৎ নয়। আবার পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বৈচিত্র আনুন। বর্তমান যুগে প্রায় সব পোশাকেই নতুনত্বের ছোঁয়া লেগেছে। একই ধরণের পোশাক বিভিন্ন ক্যাটাগরি, মডেল ফ্যাশন সংযোজন করে বাহারি বৈচিত্র্য মিলিয়ে নানা নামের বাজারে এসেছে।

যেটা পরে সাচ্ছন্দবোধ করেন এবং মানান সই সেটাই নির্বাচন করুণ। অন্ধের মত কাউকে অনুসরণ বা অনুকরণ করবেন না। অন্যের কাছে থেকে এ বিষয়ে পরামর্শ নিতে পারেন। সে লোকটি অবশ্যই ও বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে। আমরা সাধারণ তিন ধরণের পোশাক পরে থাকি (১) সাধারণ (২) মাঝারী (৩) উত্তম।

সাধারণ পোশাক: আমরা এটি সাধারণত বাড়ীতেই পরে থাকি। ভাবি এ পোশাকটি যেমন তেমন হলেই চলবে। আসলে তা ঠিক নয়। এই পোশাকটি কেনার সময় চিন্তা করি আরামের বিষয়। একটু সচেতন একটু আকর্ষণীয় চিন্তা ভাবনা করে, যদি এই পোশাকটি কেনা বা বানিয়ে নেয়া যায়। তবে এটাতেও বৈচিত্র্যের ছাফ ফেলা যায়। অবশ্যই চিনাত ভাবনা করে নির্বাচন করুণ যাতে নিজেকে আকর্ষণীয় দেখা যায়।

মাঝারি মানের পোশাক: এই পোশাকটি আমরা এলাকার মধ্যে ব্যবহারের জন্য পরে থাকি। সাধারণ পোশাকের চেয়ে এটি একটু মান এবুল। অপেক্ষাকৃত সুন্দর কিন্তু এটাতেও রোমান্টিক, বৈচিত্র্যময় এবং মানান সই হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কাপড়ে মডেল নকশা যেন উজ্জলতা থাকে। এবং বয়স অনুযায়ী হয়।

উত্তম পোশাক: এই পোশাকটি আমরা নির্বাচন করি ব্যান্ডের মধ্যে, মানের মধ্যে, দামের মধ্যে সর্বোচ্চ সুন্দরের মধ্যে যেটা পরে থাকি বিশেষ বিশেষ দিনে। কিন্তু অনেকে এক্ষেত্রে কিছু অতিরিক্ত করে ফেলে। ফ্যাশনের নামে অশ্লীলতার মধ্যে নিজেকে নিয়ে যায়। পাশ্চাত্যের ধারাকে প্রধান্য দিয়ে থাকে। নিজেকে একটি বেশী আলাদা ভাবে উপস্থাপন করতে ওভার স্মার্ট হিসাবে ফুটে তোলে যা মোটেই উচিৎ নয়। সব কিছুর একটা সীমা থাকা প্রয়োজন।

পোশাক কিনার আগে করণীয়

অনেকে ভাবেন ভালোমানের পোশাক কিনতে হলে ভালোমানের মার্কেটে যেতে হবে। একথা চিন্তা করার আগে মানানসই পোশাক নির্বাচন করার ক্ষমতা অর্জন করুণ। পোশাক কিনার আগে নিখুঁত ভাবে পর্যবেক্ষণ করুণ যে পোশাকটি কিনছেন তা আপনার শরীরের সঙ্গে মানাবে কি না। টিভির বিজ্ঞাপন, দোকানদারের কথার ফাঁদে না পরে, অন্যকে অনুসরণ না করে, আগে বাজার ঘুরে ভালোমানের, ভালো ডিজাইনের, ভালো রঙ্গ, কাপড় মডেলের জিনিসটাই কিনুন। পোশাক কিনতে গিয়ে একদম তাড়াহুড়া করবে না। হাতে সময় নিয়ে যাবেন ঠান্ডা মাথায় পোশাক কিনুন। একি মডেলের অন্ততো পাঁচ সাতটা পোশাক দেখুন, শেলায় বুতাম সুতা ভালো ভাবে  দেখে নিন।

পোশাক গায়ে দেবার আগে করণীয়

পোশাক গায়ে দেবার আগে একটা ঝাঁকি দিন ছেরা ফাটা শেলায় খোলা কিনা লক্ষ করুণ পোশাকটি ময়লা তিলা গন্ধযুক্ত কিনা দেখে নিন কাপড়ের শুতা দুর্বল কিনা দেখে এবং দুর্বল হলে বসার সময় হামু দেবার সময় সাবধানী হন। পোশাকটি স্ত্রিরি করে পরার চেষ্টা করবেন।

প্রসাধনী কেনায় সতর্ক হন (Be careful buy Cosmetics) 

প্রসাধনী কিনতে আগে দেখুন ডেট আছে কি না বা কতদিন আছে। ঋতু ত্বক  ও স্কিনের সঙ্গে মিলবে কিনা, গন্ধ ঠিক আছে কিনা। অতিরিক্ত হলো চুলের জন্য যে লেম্প কিনছেন তা চুলের গঠন প্রণালির অনুযায়ী হলো কিনা। ছেলেদের এবং মেয়েদের প্রসাধনী কিন্তু এক নয়। এজন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ করে প্রসাধনী কেনা উচিৎ। কারণ এই চুল রূপের সৌন্দর্য ও আকর্ষণ বৃদ্ধি করতে প্রসাধনী ব্যবহার করা প্রয়োজন। কিন্তু সেটা আপনার ত্বক রূপও চুলের ক্ষতিও করতে পারে। এজন্য পরামর্শ নিয়ে কেনা উচিৎ।

বৈচিত্র আনুন

* আপনার মুখের দাঁড়ি ও চুলের বৈচিত্র আনুন।

* আপনার পোশাকের ফ্যাশনের মডেলের বৈচিত্র আনুন।

* বেল্ট, পাদুকা, ব্যসলেট, ঘড়ি, ব্যাগ, চশমা সহ প্রতিটির  বৈচিত্র আনুন।

* অঙ্গভঙ্গি আচরণ কথা বলা বৈচিত্র আনুন।

সচেতনতা

* একটু সচেতনতার সহিত পোশাক কিনুন।

* একটু সচেতনতার সহিত তা নির্ধারণ করুণ।

* একটু সচেতনতার সহিত ড্রেসাফ লক্ষ করুণ।

* একটু সচেতন হলে পেতে পারেন সফলতা।

আনুষ্ঠানিকতা যেন পোশাকে প্রকাশ পায়

আপনি যে অনুষ্ঠানেই যাবেন। যেন সে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা আপনার পোশাক দিয়েও প্রকাশিত হয়। সব সময়  পোশাক নির্বাচনের সময় এটা মাথায় রাখবেন। যেমন কোণ বয়ে, খৎনা জম্মদিনের অনুষ্ঠানে এক ধরণের পোশাক পড়বেন।

আবার কোন শোকাবহ অনুষ্ঠানে গেলে তবে শোকাবহ পোশাক এবং  ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক পরে উপস্থিত হবেন।

আবার কোন ফরমাল পার্টিতে সে রকম পোশাক পড়বেন এক্ষেত্রে যদি দ্বন্দ্বে ভোগের তবে এবিষয়ে অভিজ্ঞ কোন ব্যক্তির পরামর্শ ফলো করতে পারেন। বিশেষ করে ঋতুর দিকে খেয়াল রাখতে হবে, ঋতু অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করবেন এক্ষেত্রেও যেন আনুষ্ঠানিকতা থাকে। সবচেয়ে ব্যক্তিত্বের রুচিশীল বৈচিত্র্যের ছোঁয়া থাকা চাই। আপনার স্মার্টনেস আকর্ষণ পোশাক দিয়েই ফুটে ওঠে সেভাবেই তৈরি হবেন।

আপনার গ্রেটাপ ড্রেসাফ ও সেটআপের কেমন হওয়া উচিৎ

পোশাকেই মানুষের স্মার্টনেস বাড়িয়ে তোলে যদি সেটার গ্রেটআপ, ড্রেসআপ ও সেটআপ সুন্দর ও মানানসহই হয়। এবং বয়সভেদে ও ঋতু অনুযায়ী হয়। শুধু যুগোপযোগী হলেই চলবে না। এর মধ্যে থেকে পোশাকটির সৃজিনশীল করে তুলতে হবে। এজন্য চাই সঠিকটা নির্বাচন করার ক্ষমতা।

থাকতে হবে গ্রেটআপ ড্রেসআপ ও সেটঅ্যাপ  বৈচিত্র্যময় ও মানান সই। আকর্ষণীয় ফিগার, শারীরিক গঠন ও আরামের বিষয় লক্ষ রাখা উচিৎ। ড্রেসআপ যদি মানানসই না হয় তবে আপনাকে আকর্ষণীয় মনে হবে না। পায়ের পাদুকা প্যান্ট ওরনা এমনকি ব্যবহারধীক খুটি নাটি সব কিছু মিলেই যেন ড্রেসআপ গ্রেটআপ ও সেটআপ রুচিসম্মত ভাবে উপস্থাপন হয়। এজন্য চাই রোমান্টিকতা সচেতনা আধুনিকতা এবং মান এবল। পোশাকের সেটআপ যদি সুন্দর হয় তবে আপনি আকর্ষণীয় হয়ে উঠবেন। যদি ড্রেসআপ গ্রেটআপ  ও সেটআপ সুন্দর হয় তবে সহজেই সকলের নজর রাখা যায়। আর এতে যদি সৃজনশীলতা থাকে তবে আপনাকে সবাই ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখবে।

বুঝতে হুবে, টাইট ফিটিং সুন্দর দেখায়, নাকি ভিলা ভালা, নাকি মাঝারি ফিটিং। ফ্যাশনের নামে অমার্জিত সমালোচিত পোশাকটির নতুন আঙ্গিকে নিইয়ে আসুন। যাতে সকলের কাছে হেও প্রতিপূর্ণ হতে না হয়।

একটু সচেতন ভাবে, সময় নিয়ে, নিখুঁত ভাবে, পরনের পোশাকটি আয়নার সামনে গিয়ে দেখুন। যদি ড্রেসআপ ও সেটআপ ঠিক থাকে। তবে পুরাতন না বুঝতে পারলে এক্ষেত্রে কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে অথবা রেফারেন্স হিসেবে প্রয়োজনীয় বই পুস্তক পাঠ করে তা থেকে আইডিয়া নিতে পারেন। আপনার সেটআপ কেমন হওয়া উচিৎ। দেখবেন তারা ফিগারের গঠন অনুযায়ী সঠিক মানানসই জিনিসটাই নির্বাচন করে দিয়েছেন।

অন্যের কাছে সুন্দর দেখায় একথা চিন্তা করা বাদ দিয়ে আগে নিজের কাছে সুন্দর ও আকর্ষণীয় মনে হয় সেই ড্রেসআপ ও সেটআপটিই নির্বাচন করুণ।

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়

মনে রাখবেন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রায় সব কিছুই পরিবর্তন হয়। একই জিনিস ভিন্ন ক্যাটাগরি নিয়ে নতুন ভাবে হাজির হয়। আবার নতুন নতুন অনেক কিছুই জম্ম নেয়। এসব ফ্যাশনের বিষয়টি একটু বেশী। ফ্যাশনের ডিজাইন নান্দনিক প্রিন্ট মডেল সব আরো অন্যান্য বিষয়াদি নতুনত্বভাবে উপস্থাপন হয়। নিজেকে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় করতে হালের ফ্যাশন মাথায় রাখতে হবে। সচেতন হতে হবে আচার ব্যবহারের আর্ট , নতুনত্বভাবে তৈরি করতে হবে।

খাবার যত মজাদারই হোকনা কেন, পরিবেশনটা রুচি সম্মত না হলে পরিপূর্ণ তৃপ্তি পাওয়া যায় না। তেমনি পোশাক অনুষঙ্গিক যতো দামিই হক না কেন যদি সেটআপ সুন্দর না হয়। যদি মানান সকই না হয়। তবে প্রকৃত সুন্দর মনে হবে। তাই নিজেকে স্মার্ট করতে হলে যুগের সাথে তালমিলিয়ে সৃজনশীলতা লনিয়ে মিসে যান।

দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা অর্জন করুণ

আপনি চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাবেন অথবা দূরে কোথাও বেড়াতে যাবেন, অথবা কোন অনুষ্ঠানে পার্টিতে যাবেন। এমন অবস্থাতে ভাবতে শুরু করলেন কোন পোশাকটি পড়বো। কোনটা মানাবে এটা না ওটা। এমন করতে করতে সময় অপচয় হয়ে গেলো। পরে দেখলেন যথা সময় যথাস্থানে হাজির হতেই পারেননি।

হঠাৎ কঠিন কোন বিপদে পড়লেন সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগছেন, কোন বিচার সালিশে বসছেন কি করে কি বলে পৌঁছাবেন। মাঝে মধ্যে এমন কথার সম্মুখীন হতে হয় যে, এখন কি বলা উচিৎ বলতে পারিনা। এসব ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্রুত সঠিক কথাটাই বলতে হবে। প্রথম প্রথম যদিও পারা যায়না তবে চেষ্টা চালিয়ে যান দেখবেন এক সময় ভিতর থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা তৈরি হবে এজন্য সাধারন জ্ঞান ভান্ডার বাড়িয়ে তোলেন। কঠিন বিপদে দ্রুত একটু মাটির দিকে তাকান চিন্তা মুক্ত হয়ে সাহসী হয়ে উঠুন দেখবেন সঠিক কথাটা পেয়ে গেছেন।

প্রথম ধাপ → স্মার্ট হওয়ার উপায়- স্মার্ট হবার A-Z গাইডলাইন

দ্বিতীয় ধাপ → আকর্ষণীয় হওয়ার উপায় ও কৌশল

For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.

Leave a Comment