এটি একজন আশেকে রাসূলের গল্প যিনি নবীজির প্রেমে মগ্ন হয়ে একটি কবিতা লিখেছিলেন। পড়ুই সেই আশেকে রাসূল ফার্সি কবি আল্লামা জামী (রহঃ)-এর ঘটনাটি।
এক রাসূল প্রেমিকের আশ্চর্য ঘটনা ( এক আশেকে রাসুলের গল্প)
ফারসী ভাষায় লিখা একখানা কবিতা। কবিতার বিষয়বস্তু খুবই উচ্চাঙ্গের। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানেই এই কবিতা রচিত। এর রচয়িতা ছিলেন একজন আশেকে রাসূল, নবী প্রেমিক। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি অগাধ ভালবাসা, সীমাহীন প্রেম ও হৃদয়ের ভক্তিপূর্ণ ঐকান্তিক আবেগের টানেই তিনি রচনা করেছিলেন কবিতাখানা। এতে তিনি প্রিয় মাহবুব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দৈহিক সৌন্দর্য, বড়ত্ব, মহত্ব, উদারতা, বদান্যতা, নম্রতা, ভদ্রতা প্রভৃতি সুমহান চারিত্রিক গুণগুলোকে অত্যন্ত আকর্ষনীয় ভঙ্গিমায় তুলে ধরেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পাহাড়ের মত অবিচল সাহস, আকাশের মত বিশাল বিস্তৃত হৃদয়, সমুদ্রের মত গতিশীল ও বিক্ষুব্ধ চেতনা, পাথরের মত মজবুত ব্যক্তিসত্ত্বা ইত্যাদি অনুপম গুণ ও আদর্শের কোনটাই এতে বাদ দেননি তিনি। তার কবিতার প্রতিটি ছত্রেই ছিল প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি গভীরতম ভালবাসার এক দৃষ্টান্তহীন নযীর। নিখাদ প্রেমের এক অপূর্ব উদাহরণ।
আল্লামা জামী (র.) এ কবিতার সার্থক রচয়িতা। তার পুরো নাম আবুল বারাকাত নূরুদ্দীন আবদুর রহমান ইবনে আহমদ মোল্লা জামী (র.)। তবে সমগ্র বিশ্বে তিনি মোল্লা জামী নামেই সর্বাধিক পরিচিত ।
এই কবিতা খানা রচনা করার পর রাসূল প্রেমে আত্মহারা এ মহান বুযুর্গ বারবার এটি আবেগজড়িত কন্ঠে আবৃত্তি করে রাসূলের প্রতি গভীর ভালবাার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতেন । তখন তার চোখ থেকে মুক্ত দানার ন্যায় অশ্রুধারা প্রবাহিত হত।
৮৭৭ হিজরীর ঘটনা।
একদা তিনি মক্কা মুয়াযযমায় উপস্থিত হয়ে হজ্বের যাবতীয় কর্ম সম্পাদন শেষে ভাবলেন, মদীনা গিয়ে রওজা আতহারের সামনে দন্ডায়মান হয়ে এই কবিতাখানা পাঠ করবো। হৃদয়ের সমস্ত ভালবাসা উজার করে তা আবৃত্তি করবেন। প্রেমের এক অনন্য নযীর স্থাপন করবেন এই কবিতার ভক্তিপূর্ণ আবৃত্তির মধ্য দিয়ে। অবশেষে পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি পথ চলতে শুরু করলেন।
এদিকে মক্কার তৎকালীন শাসনকর্তা স্বপ্নযোগে দেখতে পেলেন, স্বয়ং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলছেন, আব্দুর রহমান জামীকে মদীনায় আসতে দিও না। যে কোন উপায়ে তাকে মদীনায় প্রবেশ করতে বারণ কর।
পরদিন সকালে আল্লামা জামী (রহ.) কে খোঁজে বের করার জন্য মক্কার শাসনকর্তা লোক পাঠালেন। লোকদের তিনি বলে দিলেন, তোমরা তাকে খোঁজে পেলে মদীনায় যেতে নিষেধ করবে। কিছুতেই মদীনায় ঢুকতে দিবে না। বলবে, মক্কার শাসক আপনাকে মদীনায় প্রবেশ করতে কঠোরভাবে বারণ করেছেন।
অনেক খোঁজা খোঁজির পর লোকজন আল্লামা জামীর সাথে সাক্ষাত করল। তারা তাকে মক্কার শাসনকর্তার নিষেধাজ্ঞার কথা জানাল। এ কথা শুনে তিনি বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলেন। পায়ের নীচ থেকে যেন মাটি সরে গেল। ভাবলেন, তাহলে কি আমার আশা পূর্ণ হবে না! এতদিনের লালিত স্বপ্ন কি আজ ধুলোয় মিশে যাবে? আমি এমন কি অপরাধ করেছি যে, মক্কার শাসক আমাকে মদীনায় যেতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন? বারণ করেছেন মদীনায় প্রবেশ করতে?
আল্লামা জামী (রহ.) লোকদের জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা! আমার উপর কেন এই নিষেধাজ্ঞা? তা কি আপনারা জানেন? তারা বলল, আমাদেরকে এর কারণ সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি । শুধু নিষেধাজ্ঞা শুনিয়ে দেয়ার জন্য আমাদেরকে পাঠানো হয়েছে।
আল্লামা জামী (রহ.) বললেন, ঠিক আছে। আপনারা এখন যেতে পারেন। আমি নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার চেষ্টা করব। লোকজন চলে গেল। রাসূল প্রেমিক এই বুযুর্গ অনেক চিন্তাভাবনা করলেন। আলোচ্য নিষেধাজ্ঞার কারণ কি? তা বের করতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালালেন।
কিন্তু কিছুই বের করতে সক্ষম হলেন না। তিনি এখন সীমাহীন অস্থিরতায় ভুগছেন। কোন কিছুই ভাল লাগছে না তাঁর। মনে মনে চিন্তা করলেন, এটা কতবড় দুঃখজনক কথা যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেশে এসে, তার রওজা না দেখেই ফিরে চলে যাব? তার প্রতি সালাম পেশ না করেই আপন নীড়ে প্রত্যাবর্তন করব। কেন আমাকে মক্কার শাসক বারণ করল! কি অন্যায় করেছি আমি! এসব ভাবতে ভাবতে তার পেরেশানীর মাত্রা ক্রমান্বয়ে আরও বৃদ্ধি পেতে লাগল ।
তিনি নিষেধাজ্ঞার কারণে শেষ পর্যন্ত ফিরে যেতে মনস্থ করলেন । কিন্তু পরক্ষণেই সে মনোভাব পাল্টে গেল। কারণ যার হৃদয়ের সমস্ত অংশ রাসূলের প্রেম ভালবাসায় ভরপুর, যিনি রাসূলের মহব্বতে আপন জীবন পর্যন্ত বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত, তিনি কেমন করে রাসূলের রওজায় না গিয়ে থাকতে পারেন । কিভাবে তিনি ভক্তিপূর্ণ সালাম পেশ না করে শান্তি পাবেন। না, তা কিছুতেই হতে পারে না। শত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হলেও তাকে মদীনায় যেতে হবে। এতে জেল-জুলুম যাই ভাগ্যে জুটুক না কেন, তা অম্লান বদনে সহ্য করতে হবে। অন্যথায় তার অশান্ত মন শান্ত হবে না ।
এবার তিনি কাফেলা থেকে আলাদা হয়ে অতি সংগোপনে একাকী মদীনার পথে রওয়ানা দিলেন। পাহাড়-পর্বত, মাঠ-ঘাট অতিক্রম করে অতি কষ্টে সামনে এগিয়ে চললেন ।
এদিকে মক্কার শাসনকর্তা আবারও স্বপ্নে দেখলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সম্বোধন করে বলছেন, জামী কিন্তু তোমার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সামনে এগিয়ে চলছে। তুমি তাকে কঠোরভাবে বাধা দাও ।
এবার মক্কার শাসক কালবিলম্ব না করে দু’জন লোক পাঠিয়ে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন এবং কয়েদখানায় আবদ্ধ করে রাখেন। সুতরাং এখন থেকে আল্লামা জামী (রহ.) এর বন্দী জীবন শুরু হল ।
তৃতীয় বার আমীরে মক্কা স্বপ্নযোগে দেখতে পেলেন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলছেন, হে মক্কার শাসক! একি করলে তুমি? তুমি জামীকে জেলখানায় আবদ্ধ করেছ! অথচ সে তো এমন কোন অপরাধ করেনি যে, তুমি তাকে কয়েদখানায় বন্দী রেখে কষ্ট দিতে পার। আমি তো তোমাকে এমনটি করতে বলিনি। আমি বলেছিলাম, তাকে মদীনায় আসতে বারণ কর। আর তুমি কিনা তাকে বন্দী করলে! কয়েদখানায় আবদ্ধ করে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য করলে?
মনযোগ সহকারে কান পেতে শুন। আল্লামা জামী আমার আশেক। তার হৃদয় আমার প্রেম-ভালবাসায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ। আমাকে ছাড়া সে কিছুই বুঝে না। আমি ব্যতিত তার জীবন যেন অর্থহীন, অসম্পূর্ণ। শয়নে-স্বপনে সে কেবল আমাকে নিয়েই মগ্ন থাকে। আমিই যেন তার সব কিছু।
শুন, আমার প্রেমে আত্মহারা হয়ে সে একটি কবিতা রচনা করেছে। প্রতিদিন বড় আবেগের সাথে কান্না বিজড়িত কণ্ঠে এ কবিতাখানা সে পাঠ করে। এবার মনস্থ করেছিল, আমার রওযার পাশে এসে কবিতাখানা আবৃত্তি করবে। সরাসরি আমাকে পাঠ করে শুনাবে। সে যদি এ সুযোগ পেয়ে যায় এবং বাস্তবিকই এ কবিতাখানা আমার কবরের পাশে এসে করুণ কণ্ঠে পরিবেশন করতে শুরু করে, তাহলে তার সাথে মুসাফাহা করার জন্য অবশ্যই আমাকে হাত বের করে দিতে হবে । ফলশ্রুতিতে পৃথিবীর বুকে ফেতনা ও বিশৃংখলা দেখা দিতে পারে। এ ফেতনা থেকে জগতবাসীকে বাঁচানোর জন্যই আমি তোমাকে বলেছিলাম, তাকে মদীনায় আসতে বাধা দাও। আর তুমি কিনা আমার নির্দেশ পালন করতে গিয়ে তাকে বন্দীত্বের জীবন যাপন করতে বাধ্য করলে! এটা কতবড় আফসোস ও দুঃখজনক কথা!!
স্বপ্ন দেখার সাথে সাথে মক্কার শাসকের ঘুম ভেঙ্গে গেল । তিনি দ্রুত কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে জেলখানায় পৌঁছে আল্লামা জামী (র.) কে জেল থেকে মুক্ত করে বাইরে নিয়ে আসেন এবং এ অপ্রত্যাশিত ভুলের জন্য করজোের ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তারপর তাকে স্বপ্নের পূর্ণ বিবরণ শুনিয়ে ইজ্জত ও সম্মানের সাথে বিদায় দেন।
ফার্সী ভাষায় রচিত এক কবিতাখানার কয়েকটি পংক্তির বাংলা অনুবাদ নিম্নরূপ-
হে নবী! যার মুখের থুথুও তৃপ্তিদায়ক, আপনি জাগ্রত হোন, যেমন জাগ্রত হয় নার্গিস ফুল তার বিভোর নিদ্রা থেকে। ইয়ামানী চাদর খুলে চেহারা মুবারক বের করে দিন। কারণ আপনার মুখচ্ছবি হচ্ছে জীবন সকাল-নবজীবনের সূচনা ।
প্রিয় পাঠক! রাসূল প্রেম ঈমানের একটি অপরিহার্য অঙ্গ। পূর্ণাঙ্গ ঈমানদার হওয়ার পূর্বশর্ত হল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি অকৃত্রিম মুহাব্বত প্রদর্শন। হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি কখনও প্রকৃত মুমেন হতে পারবে না যতক্ষণ আমার মুহাব্বত ও ভালবাসা তার পিতা-মাতা, ছেলে-মেয়ে ও পৃথিবীর সমস্ত মানুষ থেকে বেশী না হবে। (বুখারী)
হযরত আলী (রা.) কে কেহ জিজ্ঞাসা করল, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আপনার কতটুকু মহব্বত ছিল? জবাবে তিনি বললেন, কসম খোদার, আমাদের নিকট রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপন জান-মাল, আওলাদ-ফরজন্দ, মাতা-পিতা এবং ভীষণ পিপাসার সময় ঠান্ডা পানির চেয়েও অধিকতর প্রিয় ছিলেন।
একদা হযরত উমর (রা.) বললেন, হুজুর! আপনি আমার নিকট নিজের জান ছাড়া অন্যান্য সকল বস্তু থেকে অধিকতর প্রিয় । হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কোন ব্যক্তি মুমেন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে নিজের জানের চাইতেও আমাকে বেশী মুহাব্বত না করবে। হযরত উমর (রা.) বললেন, হুজুর! আপনি আমার জানের চেয়েও অধিকতর প্রিয় । হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই মাত্র তুমি কামেল ঈমানদার হলে ।
জনৈক সাহাবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে এসে বললেন, হুজুর! কেয়ামত কবে হবে? হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কিয়ামতের জন্য কি পাথেয় সংগ্রহ করেছ যে, উহার জন্য অপেক্ষা করছ? সাহাবী বললেন, নামায, রোযা, ছদকা- খয়রাত অনেক কিছু আমি জমা করতে পারিনি বটে। তবে আল্লাহও রাসূলের মহব্বত আমার অন্তরে আছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যাকে তুমি ভালবাস কিয়ামতের দিন তুমি তার সঙ্গে থাকবে ।
উল্লেখ্য যে, রাসূলের প্রতি ভালবাসার মানে কেবল মাহফিলের পর মাহফিল করা নয়, ফাতেহার পর ফাতেহা নয়, বরং রাসূলের প্রতি মুহাব্বত মানে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তার আদর্শকে অনুসরণ করা। তার সুন্নতগুলোকে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করা।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে আমার সুন্নতকে ভালবাসল সে আমাকে ভালবাসল, আর যে আমাকে ভালবাসল সে আমার সাথে জান্নাতে থাকবে। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন,
قُلۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُحِبُّوۡنَ اللّٰهَ فَاتَّبِعُوۡنِیۡ یُحۡبِبۡکُمُ اللّٰهُ وَ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ ذُنُوۡبَکُمۡ ؕ وَ اللّٰهُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
হে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনি বলে দিন, তোমরা যদি আল্লাহকে ভালবাসতে চাও, তাহলে আমার অনুকরণ-অনুসরণ কর। এতে আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ তাআলা মহাক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু। (সূরা আল ইমরান- আয়াত ৩১)
আল্লাহপাক আমাদের সকলকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রকৃত ভালবাসা ও মুহব্বত নসীব করুন । আমীন ।
লেখক: মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম। লেখকের যে গল্প হৃদয় কাড়ে – হৃদয় গলে সিরিজ ৫ থেকে সংগ্রহ।
লেখকের থেকে আরও অন্যান্য ইসলামিক গল্প সমূহ!
০১. অপূর্ব রাসূল প্রেম (রাসূলের প্রতি ভালোবাসার গল্প)
০২. প্রেমময় জীবনের মধুর অভিমান!
০৩. আশেক যুবক (দরূদ শরীফ পাঠের ফজিলতের গল্প)