ইস্তিহাযা কি? মেয়েদের ইস্তিহাযা সম্পর্কিত অতি গোপনীয় মাসআলাগুলি জানা জরুরী। ইস্তিহাযা অবস্থায় নামাজ সহবাস সহ অন্যান্য মাসআলা গুলি না জানার কারনে অনেক নারী ও মহিলাগণ আমল করতে পারে না। তাই আজ আমি মহিলাদের ইস্তিহাযার গোপনীয় মাসআলা গুলি আমার বাংলা পোস্ট.কমে তুলে ধরেছি যাতে নাবালিকা মেয়ে, নারী ও মহিলাগণ ইস্তিহাযার সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পারে এবং আমল করতে পারে। তাহলে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
ইস্তিহাযা কি? ইস্তিহাযার পরিচয়!
- স্ত্রী-লোকের যৌনাঙ্গ থেকে যে রক্ত তিন দিন থেকে কম বা দশ দিনের চেয়ে বেশী অথবা নেফাসের সময় চল্লিশ দিনের বেশি এসে থাকে, আরবী ভাষায় তাকে ইস্তেহাযা বলে।
- নয় বছরের পূর্বে কোনো মেয়ের রক্ত এলে-সেটা ইস্তেহাযার হুকুম।
- সন্তান পেটে থাকাবস্থায় যদি রক্ত দেখা দেয়, সেতাও ইস্তেহাযা।
- সন্তান জম্মের সময় বা জম্মের পূর্বে যে রক্ত বা পানি বের হয়, সেটাও ইস্তেহাযা। অর্থাৎ বাচ্ছার অর্ধেক অঙ্গ প্রকাশ পাওয়ার আগ পর্যন্ত যে রক্ত বা পানি বের হয় সেটা ইস্তেহাযা।
উৎস : একান্ত নির্জনে গোপন আলাপ বই থেকে।
মাসআলাঃ-৯৪. হায়েযের দিন গুলোর মধ্যে কোন মহিলার রক্ত তিন দিনের কম প্রবাহিত হয়ে ১৫ দিন বন্ধ থাকলে প্রথমোক্ত রক্ত ইস্তিহাযা। অনুরূপভাবে তা ১০ দিনের চেয়ে বেশি আসলেও এ দশ দিনের রক্ত ইস্তিহাযা।
ইস্তিহাযা অবস্থায় ইবাদত-বন্দেগী
মাসআলাঃ-৯৫. ইস্তিহাযা অবস্থায় সমস্ত ইবাদত করাই সহীহ আছে। নামাযও মাফ নেই। যদি লাগাতর রক্ত আসতে থাকে তাহলে প্রত্যেক ফরয নামাযের ওয়াক্তে নতুন অযু করে নামায পড়তে থাকবে।
মাসআলাঃ-৯৬. রক্ত আসার কারণে কাপড় নাপাক হয়ে গেলে নামাযের জন্য পৃথক কাপড় রাখবে এবং নামায শেষ করে উহা খুলে ফেলবে।
মাসআলাঃ-৯৭. নামায পড়া অবস্থায় কাপড় নাপাক হয়ে গেলে কোন ক্ষতি নেই। নামায হয়ে যাবে। কিন্তু অন্য ওয়াক্তের নামাযের জন্য উক্ত কাপড় ধৌত করা জরুরী। (প্রতি ওয়াক্তের নামাযের জন্য এরূপ করবে)।
মাসআলাঃ-৯৮. শরীরের হুকুম কাপড়ের হুকুমের অনুরূপ। তবে নামাযের সময় শরীর অপবিত্র হয়ে গেলে পরে শরীর ধৌত করবে।
ইস্তিহাযা অবস্থায় রোযাঃ
মাসআলাঃ-৯৯. অনুরূপভাবে ইস্তিহাযা অবস্থায় রোযা রাখা জরুরী। হজ্জ ও ওমরার সমস্ত কার্যাবলী যেমন, তওয়াফ, সায়ী ইত্যাদি করায় কোন অসুবিধা নেই তেমনি মসজিদে যাওয়া, ইতেকাফ করা, কুরআন শরীর তেলাওয়াত করা এবং স্পর্শ করাও জায়েয।
মোটকথা হলো শরীয়তের হুকুম আহকাম আদায় করার ক্ষেত্রে মুস্তাহাযা এবং পাক মহিলার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
মাসআলাঃ-১০০. অনুরূপভাবে যদি দাঁড়িয়ে নামায পড়ার সময় রক্ত আসে আর বসে পড়ার সময় না আসে তবে বসে নামায পড়া জরুরী।
ইস্তিহাযা অবস্থায় মসজিদে যাওয়াঃ
মাসআলাঃ-১০১. শুধুমাত্র পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে শানদার মসজিদে যাওয়া কোন ভাল বিষয় নয়। তাছাড়া মহিলাগণ তাদের পাক-নাপাকির প্রতি খেয়াল না রেখে মসজিদের মধ্যে ঢুকে পড়ে, এটা খুবই জঘন্য কাজ। এ কারণে পবিত্রতার প্রতি লক্ষ্য রাখা অবশ্যই জরুরী।
ইস্তিহাযা অবস্থায় স্বামীর খেদমতঃ
মাসআলাঃ-১০২. ইস্তিহাযা অবস্থায় মহিলাদের রক্ত চালু থাকলেও শরীয়ত অনুযায়ী যখন তাকে পাক হিসেবে গণ্য করা হবে, তখন পুরুষের জন্য (এ অবস্থায়ও) সহবাস করা জায়েয আছে, এতে কোন কোন ক্ষতি বা গোনাহ নেই।
উৎস : নারীর শ্রেষ্ঠ উপহার বই থেকে সংগ্রহিত।
প্রিয় পাঠক পাঠিকা, আমরা আশা করি মেয়েদের ইস্তিহাযার সম্পর্কিত অতি গোপনীয় মাসআলা গুলি জেনে আপনাদের ভালো লেগেছে এবং মাসআলাগুলি নাবালিকা মেয়ে, নারী ও মহিলাদের ইবাদত বন্দেগীতে কাজে লাগবে। মাসআলাগুলি আপনার বন্ধুদেরকে পড়াতে এটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।
For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.