হৃদয়ের টান (তাবুক যুদ্ধের ছোট ঘটনা)
বিশেষ কোনো কারণে হযরত খায়ছামা রাযি তাবুক যুদ্ধে শরীক হতে পারেন নি। একদিন তিনি ঘরে প্রবেশ করলেন। তখন প্রিয় স্ত্রীগণ তাঁর পাশে এসে জড় হলেন। সেই সাথে একেক জন একেক রকমের খেদমতে লেগে গেলেন। কেউ পাখা করতে লাগলেন। কেউ ঠাণ্ডা পানি এগিয়ে দিলেন। কেউ মজাদার খাবার এনে হাজির করলেন। কেউ বা মাথায় হাত বুলিয়ে বিলি কাটতে লাগলেন।
সত্যিই, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দুঃখ যাতনা হযরত সাহাবায়ে কেরামের জন্যে ছিল অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক। তাঁদের হৃদয়ের পরতে পরতে ছড়িয়ে ছিল প্রিয় নবীজির ভালোবাসা। হযরত খায়ছামা রাযিঃ-এর কথাগুলো এরই প্রকৃষ্ট প্রমাণ।
Read also : নবীজির স্ত্রীদের নাম
তাই আসুন, আমরাও নবীজীকে ভালোবাসি। আর ভালোবাসার প্রমাণ হিসেবে ঐসব কাজ করি যেগুলো দ্বারা তিনি খুশী হবেন এবং ঐসব কাজ থেকে বিরত থাকি যেসব কাজের দরুণ তিনি কষ্ট পাবেন। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের তাওফীক দাও। তোমার প্রিয় হাবীবের প্রতিটি সুন্নতকে নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করার তাওফীক দাও। সেই সাথে নবীজীর নূরাণী সুন্নত গুলো যেন গোটা পৃথিবীতে জিন্দা হয় সেজন্য নিজ নিজ সামর্থ অনুসারে চেষ্টা-ফিকির ও মেহনত চালিয়ে যাওয়ার তাওফীক নসীব করো। আমীন। [সহায়তায়ঃ ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ-মাওলানা যাইনুল আবেদীন]
লেখকঃ মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম (আদর্শ স্বামী স্ত্রী ১)
এরপর পড়ুন : ভাগ্য ভালো কার?
প্রিয় পাঠক-পাঠিকা, লেখকের হৃদয়ের টান গল্পটি পড়ে ভালো লাগলে এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন, আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন।
আরও পড়তে পারেনঃ বদরী সাহাবীদের নামের তালিকা
For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.