কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও নিয়ম

কালোজিরা কি ও কালোজিরা কি কি উপকারে লাগে তা আমরা আজকের আর্টিকেল থেকে অসুখ বিসুখে কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়মগুলি জেনে নিব। আপনার স্বাস্থ্য সমস্যায় কালোজিরার ওষুধি গুনাগুন গুলি কাজে লাগিয়ে সেফা লাভ করতে পারেন। প্রিয় পাঠক পাঠিকা, তাহলে চলুন আমরা কালোজিরার ওষুধি গুণাগুন গুলো জেনে নিই…

কালোজিরার উপকারিতা ও ঔষুধি গুণাগুণ

জিরা দুই রকম, যেমন-জিরা এবং কালোজিরা। এদেরকে আমাদের রান্না ঘরে দেখা গেলেও ঔষধ হিসেবেও এরা কম যায় না। শুনেছি কালোজিরা নাকি আমাদের দেশে হতো না। তবে কবে, কখন যে আমাদের দেশে এ গুলো জন্মাতে শুরু করেছে, তাও নাকি সঠিক জানা যায়নি।

কালোজিরার গাছ দেখতে ছোট। লম্বায় এক হাত বা তার চেয়ে একটু বড় হতে পারে। কার্তিক-অগ্রাহায়ণ মাসে কালোজিরা গাছে ফুল আসে। তারপরে ফল হয় এবং সেটি পাকে পৌষ-মাঘের দিকে।

কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা ও ব্যবহারের নিয়ম

কালোজিরা ক্ষুধা বাড়ায়। পেটের বায়ু দূর করে আর প্রস্রাব বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া পেট ও ফুসফুসের রোগে ভালো কাজ করে। অর্শ রোগেও এটি ব্যবহার করা হয়। তবে এই কালোজিরা গর্ভবতী মায়ের বুকের দুধ বাড়াতেও সাহায্য করে বলে জানা গেছে। তা’হলে জানা যেতে পারে আর কী কী রোগে কালোজিরা উপকারে লাগে…

বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম 

০১ অনিয়মিত মাসিকঃ অনেক মেয়েরই মাসিকের সমস্যা হয়ে থাকে। কখনো আগে, কখনো বা পরে হয়। কেউ আবার মাসিকে অল্প রক্ত বা বেশি রক্ত যাবার কারণে কষ্ট পান। এই ক্ষেত্রে কালোজিরার চিকিৎসা ভালো ফল দিতে পারে। মাসিক হওয়ার ৫/৭ দিন আগে থেকে কালোজিরা তৈরি ঔষধ খেতে হবে। প্রথমে ৫০০ মিলিগ্রাম কালোজিরা নিয়ে হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে সকালে আর বিকালে দু’বার খেতে হবে। আশা করা যায়, এতে মাসিকের সমস্যা কমে যাবে। যদি এতে কাজ না হয়, তবে দুই-তিন মাস এই ঔষধ চালিয়ে যেতে হবে।

০২. বুকে দুধ বাড়াতেঃ মায়ের বুকে দুধ কম থাকলে কালোজিরা খেলে দুধ আসে। প্রথমে ৫০০ মিলিগ্রাম কালোজিরা একটু ভেজে নিয়ে গুঁড়া করতে হবে। এই কালোজিরা গুঁড়া ৭/৮ চা-চামচ দুধের সাথে মিশিয়ে সকালে ও বিকালে দু’বার খেলে উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়া প্রসব পরবর্তীকালে কালোজিরা ভর্তা খেলে জরায়ু স্বাভাবিক হয়ে যায়।

৩. চুলকানিঃ শরীরে চুলকানি হলে কালোজিরা ভাজা তেল গায়ে মাখলে চুলকানির উপশম হয়। ১০০ গ্রাম সরিষার তেলে ২৫/৩০ গ্রাম কালোজিরা ভেজে সেই তেল ছেঁকে নিয়ে গায়ে ব্যবহার করলে চুলকানি সেরে যায়।

৪. বিছার হুলের জ্বালা-পোড়াঃ বিছা গায়ে হুল ফোটালে খুব জ্বালা পোড়া হয়। এই জ্বালা-পোড়া থেকে মুক্তি পেতে কালোজিরা বেটে হুল ফোটানো জায়গায় লাগিয়ে দিতে হবে। খুব তাড়াতাড়ি জ্বালা-পোড়া কমে যাবে।

৫. সর্দির কারণে মাথার যন্ত্রণাঃ কাঁচা শ্লেম্মায় খুব মাথা ব্যথা হয়। সেক্ষেত্রে কালোজিরা এক টুকরো কাপড়ের পুটুলিতে নিয়ে নাক-দিয়ে শুঁকতে হবে। মাঝে মাঝে পুটুলিকে একটু নেড়ে চেড়ে দিতে হবে। কালোজিরার গন্ধে মাথার যন্ত্রণা কমে যাবে।

স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় আরও ঘরোয়া টিপস ও লতাপাতার উপকারিতা

০১. লবঙ্গের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

০২. অসুখ বিসুখে দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক পাঠিকা, আমরা আশা করি কালোজিরার উপকারিতা ও ওষুধি গুণাগুণ জেনে আপনার ভালো লেগেছে। এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। 

For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel. 

Leave a Comment