স্মার্ট হওয়ার উপায়- স্মার্ট হবার A-Z গাইডলাইন

কিভাবে স্মার্ট হওয়া যায়, ছেলেদের ও মেয়েদের স্মার্ট হওয়ার উপায় ও কলাকৌশল সম্পর্কে জানুন। স্মার্টনেস কি ও কিভাবে আপনি স্মার্ট হবেন তা শিখতে এই দীর্ঘ আর্টিকেল টি পড়ুন। আমরা আমার বাংলা পোস্ট.কমে নিজেকে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় উপায় সমূহ বেশ কয়েকটি ধাপে তুলে ধরেছি। তাহলে আসুন প্রথম ধাপ দিয়ে শুরু করা যাক।  

স্মার্ট হওয়ার উপায়

স্মার্ট হবার কৌশল

স্মার্ট একটি ইংরেজী শব্দ। যার বাংলা অর্থ চটপটে ফিটফাট। কিন্তু আমরা এর অর্থ আরো গভীরভাবে নিয়ে থাকি। যেমন-বুদ্ধিমত্ত্বা সম্পূর্ণ দুদর্শীতা ও বিচক্ষণতা সম্পূর্ণ এবং ব্যক্তিত্ববান। যার মধ্যে পরিবেশ পরিহিত অনুযায়ী নিজেকে উপস্থাপনের ক্ষমতা। যার মানান সই পোশাক পরিচ্ছেদ, বাচন ভঙ্গি, বৈচিত্রময়।

নতুনত্ব যুগ উপযোগিভাবে নিজেকে উপস্থাপন করাকে বুঝায়। তার সাধারণ জ্ঞান, আচার ব্যবহার, কথাবার্তা হবে মাধুর্যপূর্ণ। আর স্মার্টনেস অর্থ চটপটে ভাব পরিচ্ছন্ন স্বভাব ব্যক্তিত্ব মাধুর্যপূর্ণ ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করাকে বুঝায়।

স্মার্ট ছেলে মেয়েদের পছন্দ করেনা এমন লোক জগতে খুব কমই আছে। অনেকে আছে যারা স্মার্টনেসের সঠিক অর্থ না বুঝে পশ্চাৎতের ফ্যাশন, পোশাক, চুলের কাট অযথা বকবক করাকে বুঝে থাকে। দুষ্টুমি দুরন্তপনা অগ্রসাহসী বাচাল ভেবে থাকে। আবার ভদ্রতা দেখাকে অনেকেই উনয় বিনয় করে নিজেকে ছোট করে ফেলেন। কেউ কেউ একদম কথাই বলেন না, এসবই স্মার্টনেসের সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে।

আপনি একদিনে নিজেকে স্মার্ট করে তুলতে পারবেন না । কমপক্ষে এক বছর স্মার্ট হবার অনুশীলন ও চর্চা করতে হবে। স্মার্ট হবার কথা চিন্তা করার আগে মনকে প্রশ্ন করুণ আপনি আসলেই যুগোপযোগি হতে চান কি না? তারপর এগুবেন।

অনেকে আছে সময় অনুযায়ী চলতে চায় কিন্তু সে অনুসারে পরিশ্রম করতে চায় না। মনে রাখতে হবে প্রত্যেকটি বিষয়ের একটা বিজ্ঞান ও শিক্ষা রয়েছে। যে শিক্ষাটা গ্রহণ করতে হলে পরিশ্রম করতে হয়। ধৈর্য সহকারে লেগে থাকতে হয়। তবেই সফলতা আসে।  

কিভাবে স্মার্ট হবেন?

কিভাবে স্মার্ট হবেন একথা চিন্তা বাদ দিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুণ স্মার্ট বিষয়টি কি? এবং মন থেকে স্মার্ট হতে চান কিনা? যদি মন থেকে সয়দেয় যে আপনি আসলেই হতে চান, তবে নিচের কিছু কৌশল দেয়া হলো সেগুলো অনুসরণ করুণ।

আপনার কথা বলার কৌশল, অঙ্গভঙ্গি, চাহনী, পোশাক পরিচ্ছদ মানানসই কিনা নিখুদ ভাবে যাচায় করুণ। আপনি যুগোপযোগী কিনা ভাবুন। এবং যারা আপনার চোখে আকর্ষণীয় তাদের মধ্যে থেকে আপনার কি কি পার্থক্য রয়েছে তা লিখুন এভাবে একটা তালিকা তৈরী করুণ।

১। আপনার প্রিয় পাঁচজন ব্যক্তির নাম লিখুন যাদের কে আপনি শ্রদ্ধা করেন।

তাদের প্রত্যেকের যে বিশেষ গুণগুলো আপনাকে মুগ্ধ করে সেগুলোকে একে একে লিখুন। কীভাবে আপনি তাদের মত হতে পারেন তাও লিখুন।

২। আপনি যাদের কথা বলার ধরণ পোশাক পরিচ্ছদ হিয়ার স্টাইল অঙ্গভঙ্গি চাহনি আপনাকে মুগ্ধ করে এমন পাঁচ ব্যক্তির নাম লিখুন।

৩। পাঁচজন ব্যক্তির নাম লিখুন যাদের আপনি পছন্দ করেন না। তাদের প্রত্যেকের চরিত্রের কী কী দোষের জন্য আপনি তাদের পছন্দ করেন না তা নির্দিষ্ট করে লিখুন।

৪। আপনার জীবনে এমন পাঁচটি ঘটনার কথা লিখুন। যেখানে আপনার মনে হয়েছিল যে আপনি ব্যর্থ হয়েছেন। আপনার কি কি দোষ আছে কি কি গুণ আছে নিজ ধারণা থেকে সঠিক ভাবে লিখুন। আপনি কী বার বার ব্যর্থতাই পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে চলতে চান না সফলতার।

৫। আপনার জীবনে এমন পাঁচটা ঘটনার কথা লিখুন যেখানে আপনার মনে হয়েছিল অন্য রকম। সেদিন, সত্যিই সফল হয়েছেন। এই সার্থকতার কথা সর্বদা মনে রাখবার চেষ্টা করে জোর মানসিক শক্তি বাড়াবার চেষ্টা করুণ।

৬। আপনি এমন পাঁচটি ঘটনার কথা লিখুন। যেখানে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেননি। কেন পারেননি তাও লিখুন।

৭। আপনি পাঁচটি তিন লাইনের বক্তব্য তৈরী করুণ, যেগুলো শিক্ষার অভাব রয়েছে। যে গুলোর কারণে নিজেকে ছোট মনে হয়। যেগুলোর কারণে হেও প্রতিপন্য মনে হয়। যেগুলো শিখা বা পরিত্যাগ করা খুবই জরুরী। যেগুলো না জানার ভয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখেন। উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী তালিকা তৈরী করে আজ থেকেই স্মার্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যান দেখবেন ঠিক আপনি স্মার্ট হয়ে গেছেন। মনে রাখবেন অবস্থানের পরিবর্তনের জন্য স্থান পরিবর্তন করতে হয়। যদি আপনার বদ অভ্যাস পরিবর্তন না হয় যদি আপনার মানসিকতা যুগোপযোগী না হয় তবে স্থান পরিবর্তন করতে হবে।

নিজের দৃষ্টি ভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।

কঠোর অনুশীলন, পরিশ্রম, সচেতনতার মাধ্যমে নিজেকে সময় উপযোগী করে তৈরী করেন। এজন্য ধৈর্য , ভ্রমন, আগ্রহ থাকতে হবে মনের গভীর থেকে। তাহলেই স্মার্ট হয়ে উঠবেন।   

যুগের স্মার্টনেস বুঝার কৌশল।

যুগের স্মার্টনেস বুঝতে হলে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কিকি পরিবর্তন হচ্ছে তা বুঝতে হবে। নিখুঁত ভাবে পরিবর্তন ধারা বুঝার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আপনার পরিবর্তন হচ্ছে কিনা রতা নিখুঁত ভাবে লক্ষ করতে হবে। না হলে কেন হচ্ছে না তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

যুগোপযোগী হবার চেষ্টা চালিয়ে যান, বিশেষ করে যুগের নতুনত্ব জ্ঞান, নতুন নতুন শিক্ষা, ফ্যাশন সচেতনতা বৃদ্ধি করুণ। রুচিশীল হালের পোশাকের কার্ট জুতা, সেন্ডেল, চুলের কার্ট বৈচিত্রের ছোয়া লাগান। মনে করবেন জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্র একটা স্কুল এ স্কুল থেকে যত দূর সম্ভব শিক্ষা গ্রহণ করে যেতে হবে। ভালোও প্রয়োজনীয় শিক্ষাটা ধরে রাখতে হবে। আর খারাপটা বর্জন করতে হবে। এজন্য সচেতনার সহিত পোশাক আশাক নির্বাচন করুণ। দৃষ্টিভঙ্গি , অঙ্গভঙ্গি, বাচন ভঙ্গি যুগোপযোগী করুণ। যদি সময় অনুযায়ী পরিবেশ অনুযায়ী পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে সাজিয়ে তুলতে না পারেন, তবে প্রতিটা ক্ষেত্রেই দ্বিধা দন্ধে ভোগতে হবে। যুগের স্মার্টনেস বুঝার স্বার্থে নিজেকে ফাস্ট করে তুলুন। প্রশ্ন করে জানার মানসিকতা তৈরি করুণ। তবেই যুগের স্মার্টনেস বুঝতে পারবেন। আপনি যে কাজই করতে চান তা কমপক্ষে পাঁচ মিনিট আগে শুরু করবেন এবং জোর চেষ্টায় পাঁচ মিনিট আগেই শেষ করবেন। এটা প্রতিটা ক্ষেত্রে।

নিজেকে স্মার্ট কররা স্বার্থে

  • সদাধারণ জ্ঞান ভান্ডার বৃদ্ধি করা।
  • হালের ফ্যাশনের বৈচিত্র আনার ক্ষমতা অর্জন করা।
  • বেষ্ট ড্রেসআপ ।
  • বেষ্ট পারফর্মেন্স।
  • বেষ্ট হেলথ
  • বেষ্ট বডি ল্যাংগুয়েজ।
  • বেষ্ট স্পিকিং।
  • বেষ্ট কনফিডেন্স।

আপনার গুপ্ত প্রতিভাকে বিকাশ ঘটিয়ে মনের লজ্জা, ভয় ও সংকীর্ণতাকে দূর করে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাই হচ্ছে প্রকৃত স্মার্টনেস। কিছু শিখতে হলে যথা স্থানে টুকা মারতে হবে। যেতে হবে বার বার, কথা বলতে হবে সাহসিকতার সহিত। ভুল হক আর শুদ্ধ হক। প্রশ্ন করে অজানা বিষয় যেনে নিতে হবে। বলার প্রয়োজন হলে জেনে বলতে হবে। না জানা থাকলে সোজা না করাই ভালো, এতে লজার কিছু নাই। তবে ঐ জিনিসটা দ্রুত শিখে নিতে হবে। প্রতিটা ক্ষেত্রে সচেতন ও যত্মশীল হতে হবে। থাকতে হবে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন । সব সময় গোপনীয় নিজের কাজ, নিজেই করার চেষ্টা করুণ, কার উপর নির্ভরশীল, কারো উপর অতিরিক্ত প্রত্যাশা করা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজন যেটা সেটাকে সৃজনশীলতায় আনুন ।

মানুষ একদিনে স্মার্ট হতে পারেনা। এজন্য কঠোর অনুশীলন চর্চা, পরিশ্রম ও আগ্রহ থাকতে হবে গভীর ভাবে। তবেই স্মার্ট হয়ে উঠবেন। যারা নিজেকে স্মার্ট করতে পেরেছে, তাদের কাছে প্রশ্ন করে দেখুন, এ পর্যন্ত আসতে তাদের কতটা পরিশ্রম করতে হয়ছে।

প্রকৃত স্মার্টনেস

অন্যের চোখেসুন্দর রূপে উপস্থাপন করতে কেনা চায়। কিন্তু অনেকে পারেনা তার শারিরীক ফিটনেস অসুন্দরের কারণে। কিন্তু আমি বলি অন্যে যতো সুন্দরই হউক না কেন? আপনিও অনেক সুন্দর আপনারও অনেক গুণ রয়েছে। পৃথিবীতে কোন লোকই পরিপূর্ণ নয়। যা আমরা বাইরে থেকে বুঝতে পারিনা। যখন মিশি তখন বুঝা যায়। তাই বলি আপনি যতো কুশ্রীই হন যত কম জুরিই হন, শারিরীক ফিটনেস যতো অসুন্দর-ই হউক, আপনার যোগ্যতা আপনার স্মার্টনেস দিয়ে সব দুর্বলতাকে ঢেকে দিতে পারেন।

কখনই অন্যের সঙ্গে প্রতিযগিতা বা মেলাতে যাবেন না, নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করুণ। অন্যের সৌন্দর্য, ইনট্রেলিজেন, আকর্ষণ, দেখে মন থেকে ভেঙ্গে পরবেন না। এক্ষেত্রে আপনার যোগ্যতা দিয়ে প্রমাণ করুন, শারিরীক দুর্বল হলেও অন্যান্য বিষয়দি কম পারদর্শী নন। পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যাদের বলার মত কিছু কিছুই নাই। একবার তাদের কথা ভাবুন। তখন দেখবেন আপনি অনেক সুখেই আছেন, অনেক সুন্দরই আছেন। যদিও একটি প্রবাদ আছে আগে দর্শনদরি পরে গুণ বিচারি তবে এককথাও সত্যি, যদি সে সৌন্দর্য ঠিকমত উপস্থাপিত না হয়। তা বেশিদিন টেকসই হয় না। কিন্তু গুণের স্থায়িত্ব থেকে যায় যুগ যুগ।

আবার প্রাকৃতিক ভাবে অনেকে আছে যারা সৌন্দর্যপূর্ণতা নিয়ে জম্মগ্রহণ করেছেন কিন্তু তাদের আলোচনা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে। আবার অনেকে আছেন কম সুন্দর হয়ে জম্মগ্রহণ করেও বিশ্বসুন্দরী হয়েছেন। নাম করা খেলোয়ার, অভিনেতা ও শিল্পী হয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।

আমার মামা ডাঃ আব্দুল ওহাব খান যিনি খুবই খাটো ও কাল একজন মানুষ কিন্তু তার যোগ্যতার ফলে সারা দেশে তিনি আলোচিত। কিন্তু তারই বড় ভাই আব্দুল লতিফ খান যার নায়কের মত চেহারা, বডি ফিটনেস অসাধারণ। হাজারও নারী তার প্রেমে হাবুডুবু খেতো। কিন্তু ক বছর না যেতেই তার কথা এখন তার কেও বলে না।

আমার বড় বোন সুফিয়া সে কালো মানুষ হলেও স্বামী সংসার এবং এলাকায় মধ্যে গুণি মানুষ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন তার প্রশংসা সবার মুখে মুখে। কিন্তু সে এলাকায় অনেক সুন্দর বউ রয়েছে। তাই বলি মনের দিক দিয়ে নিজেকে দুর্বল ভাববেন না। আপনার গুণ যোগ্যতা, উপস্থাপন, ভঙ্গি, ব্যবহার, সুন্দর করুণ, পরিস্কার-পরিছন্ন পোশাক পড়ুন। কথায় মিষ্টিতা আনুন দেখবেন আপনি প্রকৃত স্মার্ট হয়ে গেছেন।

ভিতর থেকে নিজেকে স্মার্ট করে তুলবেন

আপনি হয়তো ভাবছেন হাবা গুবা, কালো, বডি আনফিট, সট কি করে স্মার্ট হবেন। কিন্তু মনে রাখবেন ভিতর থেকে নিজেকে স্মার্ট হতে পারলে, আপনিও হতে পারেন আকর্ষণীয় পুরুষ। পৃথিবীতে কেউ জ্ঞানী হয়ে জম্ম নেয় না। সে শিখতে শিখতে জ্ঞানী হয়ে উঠে। তেমনি যারা স্মার্ট হিসাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পেরেছে তাদের কাছে প্রশ্ন করে দেখুন তারা এই স্থানে আসার জন্য, কতটা পরিশ্রম করেছে কতটা সময় ব্যয় করেছে।

তাই বলি নিজেকে স্মার্ট করতে হলে ভিতরের সকল সংকিরনতা ভয়, লজ্জা কাটিয়ে সাহসী হয়ে, মাথা উচু করে দাঁড়াতে হবে। গোন্ডির খোলোশ থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। ভিতরে জাগিয়ে তুলতে হবে যে, আমি পারি আমার দ্বারাও সম্ভব। আপনি আজ থেকেই কথা বলার মধ্যে বেশ কিছু ইংলিশ শব্দ যুক্ত করুণ। সঠিক  শুদ্ধ উচ্চারণে নিজের ভাষায় কথা বলুন। আঞ্চলিকতার টান বাদ দেবার চেষ্টা করুণ।

আজ থেকেই নিজের অঙ্গভঙ্গির ব্যবহারে মাধুর্য আনুন। হিয়ার স্টাইল একটু নতুনত্বর ছোয়া লাগিয়ে দিন। পোশাক আশাকে যুগের ফ্যাশনের ছোয়া লাগিয়ে দিন। সব সময় রোমান্টিক ও হাসি হাসি ভাব নিজের মধ্যে নিয়ে আসুন। সব সময় নিজেকে একটু আলাদাভাবে প্রকাশ করুণ। সব শিখতে থাকুন। কথা বলুন গুছিয়ে,যে জিনিসটা নির্ভুল ভাবে জানেন, কেবল সে বিষয়টাই বলুন। সুযোগ আশামাত্রই নিজের যোগ্যতা প্রকাশ করুণ। ব্যর্থ হলে পুনরায় সফলতার চেষ্টা করুণ। প্রয়োজনে কোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। আপনার আগ্রহে চেষ্টার মাধ্যমে নিজেকে স্মার্ট করেতুলতে পারবেন। এজন্য শুধু ইচ্ছা শক্তিই যতেষ্ট। মনে রাখবেন যদি চুলগুলো উল্ক শুল্ক হয় যদি পোশাক গুলো ময়লা যুক্ত হয়, যদি গা থেকে ঘামের গন্ধ বের হয়, পায়ের স্যান্ডেল, আনুসঙ্গীক মানান সই না হয়, তবে আপনি যত সুন্দরই হন না কেন আপনাকে প্রকৃত সুন্দর মনে হবে না।

বরং যাদের আনফিট, গায়ের রঙ কাল মুখশ্রী কম সুন্দর, এ অবস্থাতেও যদি স্মার্ট হন, যদি সুন্দর শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলেন। যদি সুন্দরভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারেন। যদি সঠিক সময়ে ভিতরে গুণগুলো ফুটিয়ে তুলতে পারেন। তবে অনেক অনেক সুন্দর মনে হবে। আপনাকে এজন্য নিজের দৃষ্টিভঙ্গি শুধু যুগোপযোগী করুণ আর ভিতরে জাগিয়ে তুলন তীব্র আকাঙ্ক্ষা।

নিজেকে স্মার্ট করতে সৃজনশীল হন।

আপনার মনের মধ্যে স্মার্ট হবার তীব্র আকাংক্ষা থাকলো কিন্তু সে তুলনায় পরিশ্রম ও সম্য ব্যয় করতে পারলেন না তাহলে প্রকৃত স্মার্ট হতে পারবেন না।

স্মার্ট হতে প্রতিটা ক্ষেত্রে সৃজনশীল হতে হবে। সৃজনশীলতা মানব জীবনের শ্রেষ্ঠত্বের ভূষণ, সৃজনশীলতা মানে হচ্ছে, সাধারণ জিনিসটাকে সাধারণভাবে না দেখে, অন্যভাবে বা একই জিনিস ভিন্নভাবে দেখার সুপ্ত ক্ষমতা, সাধারণ সব সমস্যাকে একটু ভিন্নভাবে সমাধান করার সুতীক্ষ্ণ বুদ্ধি দীপ্ত প্রচেষ্টা জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রতিটা ব্যাপারে আলাদাভাবে উপস্থাপন করা।

নতুনত্বভাবে প্রকাশ ঘটানো, এক কথায় নিজের সুপ্ত ক্ষমতাকে আবিস্কার করার প্রয়াশই সৃজনশীলতা আর এ ক্ষমতা আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই কম বেশি রয়েছে। যেগুলো আমরা ব্যতিক্রম ভাবে উপস্থাপন করতে পারি না।

এসব এমনভাবে ভাবতে হবে যে প্রাত্যাহিক জীবনের কাজগুলোকে আমরা কিভাবে অন্য পন্থায় করতে পারি। এ সম্পর্কে শিক্ষালাভ করার আকাংক্ষা থাকতে হবে। আপনি যদি নিজের সৃজনাত্মক ক্ষমতা বাড়াতে চান, তাহলে জীবনে যে সব ক্ষেত্রে আপনি বার বার ঠেকে যাচ্ছেন বা আপনার উপস্থাপন ঠিক মতো উপস্থাপিত হচ্ছে না। সে কারণে আপনি স্মার্ট হতে পারছেন না।

সেই ক্ষেত্রকে প্রথমে চিহ্নিত করুণ সে সমস্যা গুলোকে এক এক করে লিখে নিন। জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সে সব সমস্যাকে আপনি সমাধানের কৌশল প্রয়োগ করেছেন সে সব ব্যর্থ বিফল পদ্ধতি, নতুন কার্যকর উপায় উদ্ভাবন করতে পারছেন না, সেগুলোও লিখুন। দেখবেন এক সময় আপনার সৃজনশীল উদ্ভাবনীও ক্ষমতা বেড়ে গেছে। এভাবেই আপনি সৃজনশীলতার মাধ্যমে স্মার্টনেসের সাক্ষাৎ পাবেন।

জীবনে নমনীয়তা, পরিবর্তনশীলতায় স্মার্টনেস আনতে গেলে, তা কখনও  রাতারাতি আসবে না। এজন্য আপনার মনকে প্রস্তুত করতে হবে। আপনার পোশাক আশাক অভ্যাস গুলো পরিবর্তনশীলতা ও নতুনত্বের ছোয়া লাগান। রুটিন মাফিক কাজ করুণ কি? কি? পরিবর্তন হলো কি? কি? হয়নি সেগুলো খতিয়ে দেখুন। দেখবেন আপনি স্মার্ট হয়ে গেছেন। সে বিষয়ে সৃজনশীল হতে চান সে বিষয়ে পড়াশুনা ক্রমাগতভাবে চালিয়ে যান এবং গভীরভাবে ভাবুন। তাই বলি মনের সংকীর্ণতার খোলশ থেকে বেড়িয়ে এসে সৃজনশীল হয়ে উঠুন এবং আপনার সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করুণ। 

পড়াশোনার পাশাপাশি গুরুত্ব দিন স্মার্টনেসের দিকে

পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের স্মার্টনেসের দিকে গুরুত্ব দিন কিসে নিজেকে স্মার্ট করে তুলবেন কিসে নিজেকে আকর্ষণীয় করা যায়, যুগোপযোগী ভাবে উপস্থাপন করা যায় । নিখুত ভাবে ভাবুন এবং সেভাবেই তৈরী হন।

প্রথম কথা হলো প্রতিটা ক্ষেত্রে বৈচিত্রময় আনতে হবে। আপনি লেখাপড়াতে ভালো করলেন কিন্তু চালচলন হাব ভাব, হাবা গুবার মত। পোশাকাদি অমার্জিত সাদামাঠা। তাহলে চলবেনা।

আবার সব বিষয়ে আপনি পরিপূর্ণ কিন্তু লেখাপড়া ভালো নয় ভাষাজ্ঞান ভালো নয় তবেও পরিপূর্ণ স্মার্ট হতে পারবেন না। তাই বলি লেখাপরাকে যেমন গুরুত্ব দিতে হবে তেমন আপনার আকর্ষণ ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধি করতে যুগোপযোগী ফ্যাশন পোশাক ও স্টাইল সময় উপযোগী ভাবে নিজেকে তৈরী করতে হবে।

অনেক স্কুল কলেজে তাদের নিজস্ব ড্রেসয়াফ রয়েছে। আমরা ইচ্ছা করলে এই স্কুল ড্রেসটির সঙ্গে ফ্যাশনের ডিজাইন লাগিয়ে কারিগর দ্বারা বানিয়ে নিতে পারি। আপনার মধ্যে এমন কিছু বদগুণ রয়েছে যা এখন থেকেই পরিহার করার চেষ্টা চালিয়ে যান দেখবেন ক্যারিয়ার গড়তে এসব আর বাধা হয়ে দাড়াবেনা। আপনি বুঝতে পারবেন কোন অনুষ্ঠানে কেমন পোশাক, কেমন স্টাইল, কেমন কথা বলতে হবে।নিজের অবস্থান, পরিচিতি, ঘটাতে কলেজ ভার্সিটিতে লেখাপড়া অবস্থাতেই খেলাধুলা সংস্কৃতি কর্মকাণ্ড অংশগ্রহণ বা উপস্থিত হতে হবে।

স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করতে হবে। আপনার কলম খাতা লেখাপড়ার বিষয়াদি যা যা আছে সব কিছুতেই সৃজনশীলতা আনুন। এতে আপনার স্মার্টনেস অনেক বেড়ে যাবে। যে বিষয়টা জানেন না সেটা নিয়ে কথা বলবেন না। তা শেখার চেষ্টা করুণ। 

ধীরস্থির ও ওভার স্মার্ট পরিহার করুণ

আমি দেখেছি অনেক ছেলে মেয়ে এমন চঞ্চল ও চটপটে যা অনেকের খুব সহজেই আকৃষ্ট করে। তারা সব কিছুতেই নিজেকে পারদর্শী ভাবে প্রকাশ করে। কথায় পোশাক আশাকে সব স্থানেই তারা অভাব স্মার্টনেস ফুটিয়ে তোলে এবং সে নিজেকে সে ভাবেই উপস্থাপন করে। তারা সহজেই সবার সাথে মিশে এবং সব পরিবেশই নিজেকে প্রকাশ ঘটাতে পারে।

সে কারণে সকলের মুগ্ধ হয়। তাদের ভক্ত হয়ে যায় এমতবস্থায় যারা আরো একটু ফাস্ট হয়ে উঠতে চেয়ে অতি রঞ্জিত কিছু করে ফেলে তখনি বাধে বিপত্তি। তার সকল স্মার্টনেস অভাব স্মার্টনেসের কারণে সব কিছু একো মেলো হয়ে যায়।

আবার এরকমও দেখেছি অনেক ছেলে মেয়ে আছে যারা ধীরস্থির স্বভাবের টয়লেট থেকে শুরু করে গাছ গোছ খাবার দাবার, চলাফেরা সহ সব কিছুই ধীরস্থির ও সাবধানী। যা অনেকের মুগ্ধ করে। তার ঠান্ডা আচরণ, ব্যবহার কথা বলায় অনেকেরই প্রশংসার পাত্র হয়ে থাকে। তার ভদ্রতা দেখে সবাই বিস্মিত।

কিন্তু আমি বলব এই ওভার স্মার্ট ও ধীরস্থির দুটাই স্মার্টনেসের চেয়ে আলাদা। আপনি কোন ব্যাপারে বেশি বক বক করলেন শ্রদ্ধীয় ব্যক্তিদের তোয়াক্কা করলেন না। অতিরিক্ত কিছু করে বসলেন পরিবেশ বিবেচনা না করে। সমালোচিত পোশাক পড়লেন।

আবার খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় আপনার ধীরস্থির স্বভাবের কারণে সকলেই বিরক্তি প্রকাশ করছে। কেউ আপনার সামনে বলতে পারছেনা। তাই আপনি বুঝতেও পারছেন না। যেমন সাজগোজ করার সময়, টয়লেট ব্যবহারের সময়, সময় বেশী নেওয়া। এরকম অনেক ক্ষেত্রে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এসব একটু বেশি লক্ষ্য  করা যায়।

যে কারণে সবার বিরম্বনা শিকার হতে হয় তাই আমি বলব সব কিছুর একটা নির্দিষ্ট সীমা থাকা প্রয়োজন যেমন ওভার স্মার্ট ভালো না, তেমনি ধীরস্থির হওয়াটাও সব সময় ঠিক না।

তাই আপনাকে পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ী চলতে হবে। কথা বলতে হবে। এবং পোশাক পড়তে হবে। যে পরিবেশে যেভাবে চলতে হয় সে ভাবেই চলা উচিত। অযথা বকবক করা যেমন বেমানান তেমনি নীরব বা গম্ভীর ভালো দেখায় না। 

নামের স্মার্টনেস ফুটিয়ে তুলুন

নিজের স্মার্টনেসের সাথে নামের স্মার্ট ফুটিয়ে তুলতে হবে যে নাম শুনলে মিষ্টি মনে হয়। আকর্ষণীয় মনে হয় তেমন একটি নাম বসিয়ে নিন।

অনেকের মদি, মফিজ, আবুল এরকম নাম থাকে, যা শুনলে হাস্যকর মনে হয়। আবার অনেকের নাম কাটা মামু, পিচ্ছি হান্নান, গণেশ, অশুর, এমন নাম শুনলে ভয়ংকর কিছু মনে হয়। তেমনি যদি নামটি আকর্ষণীয় হয় তবে এতে বাড়তি একটা সুবিধা পাওয়া যায়। তাই স্মার্টের জন্য একটু  ঘুরিয়ে নামটাকে আকর্ষণীয় করে তুলুন।

যেমন শুফিয়া বাদ দিয়ে সাফিয়া, আবুল নামের সঙ্গে যুক্ত করে বসান, আবুল হোসেন আদনান, যেন আপনার নামের একটা স্মার্ট ভাব ফুটে উঠে। নামের অর্থ থেকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় স্মার্ট নাম খুজে বের করতে পারেন। 

জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে ফাস্ট হতে হবে

ফাস্ট অর্থ সচেতনতার সহিত নিজেকে দ্রুতগামী করা বা যুগোপযোগী ভাবে তৈরি হওয়া। নিজেকে স্মার্ট করতে। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে কাঙ্ক্ষিত সফলতা পেতে প্রতিটা ক্ষেত্রেই ফাস্ট হতে হবে। আপনি একদিনে তা পারবেন না। এজন্য ধৈর্য সহকারে অনুশীলন করতে হবে। হবে কি হবে না, পর পরবো কি পরবো না। এমন দ্বিধা দন্দ্ব পরিহার করুণ। মনের গভীর থেকে সাহস সঞ্চয় করুণ। নিজের ভয় সংকট দূরে ঠেলুন। আপনার জ্ঞান ভাণ্ডার বৃদ্ধি করুণ। আগে যে কাজ করতে অনেক সময় লাগতো এখন সে কাজ করতে সেকেন্ড সময় হলেই চলে। কিভাবে সেকেন্ডে কাজটি হলো তা হাতে কলমে প্রাকটিক্যাল শিখুন। সেভাবে জীবন গড়ুন কিভাবে কীভাবে জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে দ্রুতগামী হওয়া যায় তা হাতে কলমে শিখুন কারণ এই বিজ্ঞানের যুগে কম্পিউটার ইন্টারনেট সহ নতুন যেসব প্রয়োজনীয় বিষয় রিয়েছে বা আসছে তা শিখা জরুরী। এসব জীবনের কাজ করতে হবে, সব সময় পাঁচ মিনিট আগে তৈরি হতে হবে। কখনও কোন কাজ অবহেলায় পরে করি বলে ফেলা রাখবেন না। সব সময় শিখতে থাকুন। 

আধুনিকতা ও নতুনত্ত্বতা প্রয়োজন

আপনার ক্যারিয়ার, আচার ব্যবহার শিক্ষা দীক্ষা ফ্যাশন পোশাক, আনুসঙ্গীক স্টাইল, জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে সময় উপযোগী আধুনিকতা নতুনত্ত্বতা ভাবে প্রকাশ ও উপস্থাপন করতে হবে। যদি না পারেন তবে আপনার স্মার্টনেস ফুটে উঠবে না। ফুটে উঠবে না আকর্ষণ। হাই এডুকেশনের সঙ্গে যদি স্মার্টনেস ও আকর্ষণীয়তা থাকে তবে ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে বাড়তি একটা সুবিধা যোগ হবে। কোন স্থানেই ব্যর্থ হবার সম্ভবনা থাকবে নাম অনেকে আছে খুব বেশি ভালো ছাত্র নয় কিন্তু তারা নতুনত্ত্বতার কারণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। কারণ তারা সচেতন। যে জিনিসটা আপনার মধ্যে নাই। তাই বলি যুগের শিক্ষা দীক্ষার পাশাপাশি যুগের আধুনিকতার ব্যানারে নিজেকে দার করান। যা আপনার স্মার্টনেস অনেক গুণ বেড়ে যাবে আর হয়ে যাবেন সকলের প্রিয় পাত্র।  

লজ্জা ত্যাগ

নিজেকে স্মার্ট করে গড়তে হলে, আকর্ষণীয় করে তুলতে হলে মনের দুর্বলতা দূর করতে হবে। লোকের সামনে কথা বলতে হলে। নিজেকে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে হলে মন থেকে সম্পূর্ণ রূপে লজ্জা ত্যাগ করতে হবে। লোকে কি বলবে, যদি ভুল কিছু হয়ে যায় সামনে কত লোক কিভাবে বাথরুমের কথা বলি। কি করে খাবার খেতে চাই। কোন সুন্দরি নারীর সামনে গেলে স্তব্ধ হয়ে যাই। এরকম হাজারও সমস্যা এসবই লজ্জাবোধের কারণ।

এই লজ্জাবোধ একদিনে যাবেনা, এটা কাটাতে কিছু শিক্ষা আছে সেটা চর্চা করতে হবে তার জন্য ধৈর্য সহকারে অনুশীলন করতে হবে। না জানা, না পড়া, না শিক্ষার ভুয় থেকে মনে লজ্জার সৃষ্টি হয়। এজন্য জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো শিখে রাখাভালো। কে কি বললো তাদের সঙ্গে তর্ক না বাধিয়ে শিক্ষার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যান। ব্যর্থতার সকল লজ্জা পরিহার করে পুনরায় সফলতার জন্য কাজ করে যান।

লজ্জা ত্যাগে করার কিছু পরামর্শ

* কোন আবৃত্তি কেন্দ্রে ভর্তি হতে হবে।

* বিতর্ক অনুষ্ঠানে অংশহগ্রহণ করতে হবে।

* কোন গানের স্কুলে ভর্তি হতে হবে।

* পোশাক আশাক আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।

* সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে হবে।

* মেডিটেশন বা ধ্যান স্কুলে ভর্তি হতে হবে।

* লোকের সামনে কথা বলার ক্ষমতা যোগাতে হবে।

আপনি কতোটা স্মার্ট

আপনি কতোটা স্মার্ট তা আপনার পোশাক আচরণ, অঙ্গভঙ্গি, কথা বলার স্টাইল, মাথার চুল, ক্লীন সেভ, পায়ের জুতা, চোখ, ঠোঁট দাঁতসহ সব সাইড ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখুন। মনে রাখবেন অন্যের চোখে আকর্ষণীয় হতে হলে আগে নিজের চোখে আকর্ষণীয় হতে হয়। যেমনটা পরিবেশ পরিস্থিতি চায় তেমন ভাবেই নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে। আপনার পোশাক ও অন্যান্য পরিসদ দেখে লোকেরা যেন বুঝতে পারে আপনি কতোটা রুচিশীল এবং আধুনিকতা সম্পূর্ণ।

প্রথমে আপনি স্মার্ট কিনা লোকেরা তা বুঝতে পারেনা তাই আগে পোশাকয়াদির মাধ্যমেই নিজেকে স্মার্ট হিসাবে জাহির করুণ। এবং আপনার সৌন্দর্যপূর্ণ কথা বাচন ভঙ্গি দিয়ে ধীরে ধীরে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করুণ এবং নিজেই নিজের অবস্থান সুধেরু করুণ।

যুগ যা চায় তেমন স্টাইল না করে অনুষ্ঠানের ধরণ ও ঋতুর ওপর নির্ভর করে নিজেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করুণ। এটাই হচ্ছে স্মার্টনেসের গোপন কথা। 

নিজেকে স্মার্ট করতে নৈতিক অবক্ষয় রোধ করুণ

নৈতিক অবক্ষয় বলতে আমরা কী বুঝি? সৎ কর্ম সৎ চিন্তা শুভ ও কল্যাণবোধ যখন মানুষের মন থেকে মুছে যায় ভালো মন্দ, পাপপূর্ণের পার্থক্য নিরূপন করার ক্ষমতা যখন সে হারিয়ে ফেলে তখন মানবসত্ত্বার এই অধঃপতিত অবস্থাকে বলা হয় নৈতিক অবক্ষয় বা অধঃপতন। অবক্ষয় ব্যক্তির কাজ, আচার ব্যবহারের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কিন্তু সহজে অনেক সময় তা বুঝার উপায় থাকে না সে অবলিলায় মিথ্যা কথা বলে প্রতারণা করে অপরের সম্পদ অন্যায় ভাবে গ্রাস করে। অনাচার ব্যভিচার সুদ, ঘুষ মদ জুয়ায় লিপ্ত হয়তে দ্বিধা করে না। এ ধরণের মানুষের প্রকৃত চেহারা অনেক সময় বোঝা যায় না। কারণ বাইরে তারা অনেক সময় দান খয়রাত করে কেউ আবার ধর্মের আনুষ্ঠানিকতা পালন করে সামাজিক রাজনৈতিক ক্ষমতার  মঞ্চেও অবস্থান করে। বাইরে থেকে দেখতে এদের অনেক স্মার্ট মনে হয় কিন্তু তারা প্রকৃত পক্ষে বিপথগামী মুনাফিক। তাই বলি নিজেকে স্মার্ট করতে নিজের নৈতিকতা অবক্ষয় যেন না হয়। নিজের ঐতিয্য সামাজিকতা সংস্কৃতির মধ্যে থেকে নিজেকে উপস্থাপন করুণ।

অশ্লীলতা পরিহার করুণ

যা দেখতে খারাপ লাগে, যা শুনতে খারাপ শুনায়, যা করতে দ্বিধা লাগে, যা সামাজিক পরিবেশ নষ্ট হয়, যা ধর্মের বিধান পরিপন্থী এমন কাজ কর্ম ব্যবহারিক জিনিস প্রচার পরিধান, বলা অনুসরণ, অনুকরণ, অশ্লীলতা বোঝায়। এই অশ্লীলতা সামাজিক পরিবেশ নৈতিক অবক্ষয় তৈরি করে, এসব কাজ পরিহার করা উচিৎ।  

লেখকঃ চৌধুরি দীন ইসলাম

ধাপ ২ : নিজেকে আকর্ষণীয় করার কৌশল

For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.

1 thought on “স্মার্ট হওয়ার উপায়- স্মার্ট হবার A-Z গাইডলাইন”

  1. খুব সুন্দর হয়েছে। যে কারোর জীবন পরিবর্তন করার জন্য এ কথা গুলোই যথেষ্ট…………..ধন্যবাদ

    Reply

Leave a Comment