কিভাবে আকর্ষণীয় হওয়া যায়, আকর্ষণীয় হওয়ার উপায় ও কৌশল সম্পর্কে জানুন। আপনি কিভাবে লোকেদের সামনে নিজেকে আকর্ষণীয় রূপে উপস্থাপন করবেন তা শিখতে এই দীর্ঘ আর্টিকেল টি পড়ুন। নিজেকে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় করতে এটি দ্বিতীয় ধাপ। তাহলে আসুন পড়া ও অনুশীলন শুরু করা যাক….
নিজেকে আকর্ষণীয় করার কৌশল (Ways to be interesting)
নিজেকে আকর্ষণীয় করার কৌশল শিক্ষার আগে আকর্ষণ বিষয়টি কি? তা জানুন। কিভাবে নিজের আকর্ষণ বৃদ্ধি করা যায় তা ভাবুন এবং একটি তালিকা তৈরি করুণ। অনেকে মনে করে অন্যের মনে দোলা দিয়ে বা শুরশুরি যাগিয়ে চলাকে আকর্ষণীয়তা বুঝায়। তা কিন্তু মোটেই ঠিক নয়। আকর্ষণ অর্থ-সৃজনশীল, বৈচিত্রময়, ব্যক্তিত্ববান, স্মার্ট, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, মানানসই পোশাক সহ অঙ্গ প্রতঙ্গের প্রকৃত সুন্দর রুপে ফুটিয়ে তোলাকে বোঝায়।
নিখুত ভাবে ভাবুন। নিখুত ভাবে পর্যবেক্ষণ করুণ এবং আকর্ষণীয় হবার ভিতর থেকে ইচ্ছা তৈরি করুণ। দেখবেন আপনার আকর্ষণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন যদি কেউ নিজেকে সুন্দর করার চেষ্টা করে, তবে সে অবশ্যই সুন্দর হয়ে উঠবে। হীনমন্যতায় না ভোগে পাশের আকর্ষণীয় মানুষদের দেখে শিখতে পারেন, নিজেকে সবসময় সতন্ত্র করে তুলবেন। যারা অভিজ্ঞ তারা একি জিনিসটা বিভিন্ন রূপে দেখতে পারেন। সেকাতারে নিজেকে দাঁড় করান।
এক্ষেত্রে অনুষঙ্গ পোশাক, চুল, জুতা প্রসাধনী ব্যবহার আরো অন্যান্য বিষয়দি যেন ফিগারের সঙ্গে মানায় রং কার্ট, মডেল, ব্যাগ, কথা বলা, সহ সব কিছুই নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন হয়। ব্যক্তিত্বমানের রুচির পরিচয় দিন।
আপনি অনেক সুন্দরী হলেন কিন্তু যে সৌন্দর্যের মধ্যে কোন আকর্ষণ থাকলোনা। তবে কেউ আপনার দিকে ফিরেও তাকাবেনা। তাই বলি সুন্দর হবার চিন্তা পরিহার করে নিজেকে আকর্ষণীয় করার চেষ্টা চালিয়ে যান। দেখবেন অনেকের নয়ন মনি হয়ে গেছেন।
আকর্ষণীয় হবার জন্য প্রসাধনী ব্যবহার চিন্তা বাদ দিয়ে আগে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন, মাধুর্যপূণ্য ব্যবহার, হাসিমাখা কথার অভ্যাস করুণ। আর ভিতর থেকে রুচি সম্মত মানানসই পোশাক নির্বাচন করার ক্ষমতা তৈরি করুন।
সাধারণ জ্ঞান, আউট নলেজ বাড়াতে প্রতিদিন পত্রিকা টিভি সংবাদ, সাধারণ জ্ঞানের বই পড়ুন। নিজেকে আকর্ষণীয় করতে আপনার আউট নলেজের জ্ঞান ভান্ডার বৃদ্ধি করুন এটা খুব জরুরী।
আপনার ফিগারটাকে আকর্ষণীয় করতে জিম করা প্রয়োজন।
সুধাম দেহ পেশীবাহুল হাত পা বুকের চওড়া ছাতি ম্যানলি ফিগার এ যেন এক ঈষর্ণীয় ব্যাপার। এসব সম্ভব জিম এর কল্যাণে। চওড়া বুক পেশীবাহুল হাত পা, ম্যানালি ফিগার তৈরি করতে হলিউট ও বলিউডের নায়ক নায়িকার জিম করার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা মনে করে স্মার্টনেস ফুটে উঠে এর কল্যাণে। নিজেকে আকর্ষণীয় ও ফ্যাশনেবল শরীর গঠন, স্টাইল করতে জিম করা দরকার।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পোশাকে যেমন লেগেছে ফ্যাশনের ছোয়া, তেমনি পোশাকটাকে মানানসই করতে সুধাম দেহের প্রয়োজন। আর এই মানানসই সুধাম আকর্ষণীয় ফিগার তৈরির কারখানা হলো জিম সেন্টার।
সে সেন্টারগুলো এখন আপনার হাতের নাগালেই। নিজেকে আকর্ষণীয় করতে প্রতিদিন মাত্র আধা ঘন্টা জিম করুণ। এতে স্বাস্থ্য ও মন দুটোই ভালো থাকবে। মনে রাখবেন পেশীবাহুল আরম এবং প্যাডযুক্ত মেদহীন ফিগার বডি ফিটনেস ফ্যাশনের একটি অন্যতম অংশ। জিম করলে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। যা মনকে বেশ আনন্দে রাখে। জিম সেন্টার গুলোতে সুবিধা হলো এখানে প্রয়োজনীয় সব ইনষ্টরমেন্ট ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত লোক রয়েছে। তাছাড়া আপনি ইচ্ছা করলে এ ধরণের অনেক বই বাজারে পাওয়া যায় তা কিনে বাড়িতেই জিম করতে পারেন। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন অন্তত দু’কিলো মিটার দৌড়াতে পারেন। ছাদে উঠে ব্যায়াম করতে পারেন।
আকর্ষণীয় হতে হলে হতে হবে ব্যতিক্রম মানুষ
এক শ্রেণীর মানুষ আছে যারা নিজের অযোগ্যতা ঢাকতে শুধুই অন্যের দোষ ক্রটি খুঁজে বেড়ায়। এমন হীন মানুষের মন্তব্য শুনে ঘাবরাবার কিছু নেই। আপনি নিঃস্বার্থভাবে কোন কিছু করতে গেলেন বা কারো উপকার করতে গেলেন বা আপনার প্রতিভা প্রকাশিত করতে গেলেন কিছু অর্থ করি খরচ করলেন।
ঐ শ্রেণীর মানুষেরা আপনাকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করবে কিটিসাইজ করবে। অথবা আপনার নিঃস্বাস্থ উপকার করা দেখে এর দোষ ক্রটি না থাকলেও মনগরা বানিয়ে বলে বেড়াবে। কারুণ এদের এটা করার মত যোগ্যতা নেই।
কিন্তু স্মার্ট ছেলে মেয়েরা এই আলোচনা সমালোচনায় কান না দিয়ে তাদের কাজ তারা করে যায়। এবং ঐ সব লোকদের সমালচনা থেকে নিজের দোষ ক্রটি সুধরিয়ে নেয়। এবং নিজেকে আরো বৈচিত্রময় আরো সৃজনশীল করে তোলে। আর এভাবেই এরা হয়ে উঠে ব্যতিক্রম মানুষ।
এই শ্রেণীর মানুষেরা আপনার স্মার্টনেস, জ্ঞান কথা বলার কৌশল, পোশাক পরিচ্ছদ দেখে হিংসায় জলে মরে কিন্তু আকর্ষণীয় হবার চেষ্টা করে না। তারা বলে এ কাজ ব্যাপারই না এটা কোন স্টাইল হলো আরো নানাবিধ অপ্রসঙ্গিক কথা। কিন্তু এ পর্যন্ত আসতে আপনাকে যে শ্রম দিয়ে হয়েছে। যে সময় ব্যয় করতে হয়েছে। তার সম্পর্কে ঐ সব লোকের কোন ধারণাই নাই তাই বলি কে কি বললো সে কথায় কান না দিয়ে রুচিশীল যুগোপযোগীভাবে নিজেকে তৈরী করুন দেখবেন আপনার সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে।
নিজেকে আকর্ষণীয় করতে প্রতিটি অঙ্গের স্মার্টনেস ফুটিয়ে তুলতে হবে।
আপনি কতটা স্মার্ট তা আপনার চাল—চলন, কথা—বার্তা, জ্ঞান—বুদ্ধি, পোশাক—আশাক, চাহনি, হাসি, অঙ্গভঙ্গি, পা ফেলা, কুশল বিনিময়ে উপস্থাপন ভঙ্গিসহ সব কিছুতেই প্রকাশ পায়।
আপনি কোন বিষয়ের উপর অনেক দক্ষ হলেন কিন্তু আর অনেক বিষয়ের বেলায় সামান্য ধারণাও থাকলোনা তাহলে চলবে না। প্রতিটা ক্ষেত্রেই অন্তত শতকরা চল্লিশ পয়েন্ট ধারণা থাকতে হবে এজন্য শিখতে হবে অনুশীলন করতে হবে সময় ব্যয় করতে হবে এবং চেষ্টা থাকতে হবে মনোযোগ সহকারে।
চাল-চলনঃ চাল—চলন থাকতে হবে মাধুর্যপূর্ণ ও বৈচিত্রময় । যেন কিছুতেই উগ্রতা প্রকাশিত না হয়। নম্রতা ভদ্রতা সালিনতা বজায় রাখুন। খুব ধীরস্থির বা তাড়াহুড়া থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে যখন বের হতে চেয়েছেন তার পাঁচ মিনিট আগেই বেরিয়ে পড়ুন। পাঁচ মিনিট আগেই সব গুছিয়ে ফেলুন। ডন্ট কেয়ার করে চলা উচিৎ নয় ধাক্কাগুতা দিয়ে আগে যাবার চেষ্টা করবেন না। উদাসিনতা পরিহার করুণ। সচেতন ও সাবধান হয়ে চলাফেরা করুণ।
কথা বলাঃ কথা বলুন সে জিনিসটা জানেন, যুক্তি—যুক্ত, প্রয়োজনীয়, রসমিশানো। শোক বাহু পরিবেশ বাদে সবক্ষেত্রেই হালকা হাসি রাখুন ঠোঁটে। অপ্রয়োজনীয় কথা খুব বেশী বলবেন না। ভাষা হবে শুদ্ধ, উচ্চারণ হবে স্পষ্ট। আঞ্চলিকতা পরিহার করতে চেষ্টা করুণ। কথার ফাকে থাকবে কিছু ইংলিশ শব্দ সেটাও হতে হবে সঠিক।
জ্ঞান বৃদ্ধিঃ নিজেকে স্মার্ট করতে জ্ঞান ভান্ডার বাড়িয়ে তুলুন। শুধু পুস্তুকের জ্ঞান ভাণ্ডারই নয়। সাধারণ, সময়, পরিবেশ, পরিস্থিতির,জ্ঞান ভান্ডার বিভিন্নভাবে শিখতে হবে। প্রতিদিন খবরাখবর কাগজ জোকস তথ্যজ্ঞান বই পড়তে হবে এবং টিভি সংবাদ, দেখতে হবে। এর বাইরেও যেসব আউট নলেজ রয়েছে তা বৃদ্ধি করে যান।
উপস্থিত বুদ্ধিঃ আপনার উপস্থিত বুদ্ধি বাড়িয়ে তুলুন কারণ জীবনের প্রতিটা পুদক্ষেপে উপস্থিত বুদ্ধি প্রয়োজন। অপ্রত্যাশিত বিপদ থেকেও বেজে যেতে পারেন। যদি আপনার উপস্থিত বুদ্ধি মজবুত হয়। এজন্য চাই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমা পরিস্থিতি বুঝে কথা বলার ক্ষমতা। স্মার্টনেসের ক্ষেত্রে দ্রুত উপস্থিত বুদ্ধি সম্পূর্ণ হওয়া চাই যাতে কোন কারণে হেরে গেলেও পরিস্থিতি সামলে নিতে পারেন।
পোশাক—আশাকঃ ব্যক্তিমানের রুচি ও ব্যক্তিত্বকে উপস্থাপন করে পোশাক। তাই পোশাককে নিয়ে ঘষা মাজা চলে সব সময়। ফ্যাশনের স্মার্টনেস ফুটে উঠে মানানসই পোশাকের মাধ্যমেই। তাই পোশাকের ব্যাপারে এতটুকু ছাড়া দেওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রে সচেতনতার সহিত পোশাক নির্বাচন করুণ।
চাহনীঃ মনে রাখবেন চোখের চাহনিতে রয়েছে একটি মায়াজাল। সে জালে আকৃষ্ট করতে পারেন অন্যকে। এর একটি বিরাট আর্ট আছে। নিজস্ব একটা বিজ্ঞান রয়েছে তা আপনাকে শিখতে হবে চাহনির মাধ্যমে অনেক কিছু বুঝতে পারা যায়। সে আপনার উপর রেগে আছে। নাকী ভয়ে আছে। নাকি প্রতীক্ষায় রয়েছে। কেউ যদি আপনাকে আপনাকে পছন্দ করে তবে তার চোখ কিছুটা বড় বড় হয়ে যাবে। যদি না করে তবে ঘৃণার তীর নিক্ষেপ করবে। তাই বলি চাহনির আকর্ষণ মাধুর্যতা ফুটিয়ে তুলার জন্য এ জন্য চোখ ও ভ্রুর যত্ম নিতে হবে।
চাহনী সুন্দর ইকরতে হলে চাহনির আর্টটি শিখতে হবে। সিনেমা, নাটক এবং কোন রূপ বিশেজ্ঞতের কাছ থেকে। তবেই আপনার চাহনির তীরবৃদ্ধ হবে, প্রিয় মানুষের বুকে।
হাসিঃ যে হাসতে জানে তার জন্য দুনিয়া জয় করা কঠিন কিছু নয়।কিন্তু সে হাসিটা হতে হবে সৌন্দর্য পূর্ণ। খালি হাসলেই চলবে না। হাসতে হবে মিষ্টি করে। প্রাণখোলা হাসি ও মুচকি হাসি। রজন্য হাসির অবস্থান বুঝতে হবে। আপনার হাসিকে সুন্দর করতে ঠোঁট , দাত ও জিব্বার যত্ম নিতে হবে তবেই হাসির আকর্ষণীয় বৃদ্ধি পাবে।
অঙ্গ—ভঙ্গিঃনিজেকে স্মার্ট করতে অঙ্গ ভঙ্গির সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলুন। যদি অঙ্গ ভঙ্গি সুন্দর না হয় তবে নিজেকে স্মার্ট হিসাবে তৈরি করতে পারবেন না। হাত, চোখ, ঠোঁট, চাহনি সব কিছুইই বৈচিত্রময় ভাবে উপস্থাপন করতে হবে। কথা বলার সময় সব অঙ্গের সঠিক ব্যবহার ফুটিয়ে তুলতে হবে। কথা বলার সময় নড়াচড়া খুব বেশী হলে চলবে না। আবার কথা বলার প্রয়োজনমত ভঙ্গির ব্যবহার না করলেও চলবে না।
তা শিখতে আপনাকে কোন আবৃত্তি কেন্দ্রে ভর্তি হতে হবে এতে আপনার ভাষা অঙ্গভঙ্গি দুটোই সমান ভাবে উপস্থাপন হবে।
পা ফেলাঃ চলা ফেরার সময় পা ফেলার মধ্যে একটি ছন্দময় মাত্র আছে। সে মাত্রাটি শিখতে হয়। আপনার ফিগারের গঠন অনুযায়ী নির্দিষ্ট একটা তাল তৈরী করে নিন। সে তালের সঙ্গে হাটুন। হাটার তালে তালে মাঝে মধ্যে কমর ও শরীর দুলিয়ে নিন। খুব জোরে কিংবা খুব আস্তে না হেটে আর্ট অনুযায়ী হাটুন। আয়নার সামনের বিভিন্ন স্টাইলে হেটে পছন্দটা নির্বাচন করে সেভাবে অনুশীলন করুন। প্রয়োজনে ফ্যাশনের অনুষ্ঠান দেখেও পছন্দটা নির্বাচন করতে পারেন, চর্চা চালিয়ে যান দেখবেন পা ফেলার সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে।
কুশল বিনিময়ঃ কোন অনুষ্ঠানে কিংবা কেউ আপনার বাড়িতে বেড়াতে এলে তার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করুণ। তার ভালোমন্দের খোজ খবর নিন। চুপচাপ গম্ভিরভাব পরিহার করুণ বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা নোট পাঠান। চলা ফেরার পরিচিত লোকের সঙ্গে দেখা হলে সালাম (আসসালামু আলাইকুম) নিবেদন করুন এবং সংক্ষিপ্ত ভাবে কথা বলুন।
উপস্থাপন ভঙ্গিঃ যে তার পোশাক আশাক, কথা বলা, সুন্দর করে উপস্থাপন করতে পারে, তার স্মার্টনেস দ্রুত প্রকাশিত হয়। আপনি যাই করতে যান যদি আপনার সে বিষয়টি ঠিকমত উপস্থাপন করতে না পারেন, তবে সফলতা পাবেন না।
কার সঙ্গে কথা শুরু করতে হবে ঐ ব্যক্তির বিষয়াদি দিয়ে শুরু করুণ। নিজের উপস্থাপন সুন্দর করতে অন্তত দশটি বিষয়ের উপর প্রতিবেদন লিখে মোবাইলের ভিডিও রেকর্ডটি অন করে প্রতিটা প্রতিবেদন আবার দশ রকম ভাবে উপস্থাপন করুণ। পরে ভিডিও রেকর্ডটি দেখুন ভুল গুলো অবশ্যই ধরতে পারবেন। সে অনুযায়ী সঠিকটা নির্বাচন করে অনুশীলন করে যান। দেখবেন আপনার উপস্থাপন ভঙ্গি সুন্দর হয়ে গেছে।
নিজে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় রাখতে সতর্ক থাকুন শরীরের বাজে গন্ধের দিকে
অনেকে বুঝতে পারেনা তার মুখ ও শরীর দিয়ে গন্ধ বের হচ্ছে কিনা। আসলে তার সচেতনার অভাব। সকালের বাসি মুখের উৎকট গন্ধ অথবা ঘামে ভেজা কাপড়ের গন্ধ ও ময়লা যুক্ত কাপড় পরেই সকলের সামনে উপস্থিত হয়। কিন্তু তা মোটেই উচিত নয় আপনার এই অসাবধনতার কারণে সকলকে বিব্রত হতে হয়। আর আপনাকেই হতে হয় বাকা কথার সন্মুখিন। একটু সচেতন হলেই মুজার পচা গন্ধ থেকে রেহাই পেতে পারেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে যত গুরুত্বপূর্ণ কাজই থাকুক না কেন আগে বাথরুমের কাজ সারবেন দাঁত ব্রাশ করবেন হাত মুখ ধুবেন তারপর প্রয়োজনীয় কাজে হাত বাড়াবেন। যে কাপড়টা ময়লা হয়েছে সেটা গোসলের সময় ধুয়ে দিবেন। সেন্ট সুগন্ধি পাউডার বডিস্প্রে ব্যবহার করতে পারেন এতে কনফিডেন্স বেড়ে যায়।
কখনই ময়লা যুক্ত কাপড় পড়বেন না। খুব প্রয়োজনি হলে দেখে নিন তাতে গন্ধ আছে কিনা। গোসল করার সময় শরীরের সেসব স্থান দিয়ে ঘাম বেশী ঝরে সেসব স্থানে সাবান কিংবা শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ঘষে পানি দিয়ে ধৌত করবেন।
সপ্তাহে একবার স্যাভলন মিশানো পানি দিয়ে গোসল করুণ। নিয়মিত সাবান ও শ্যাম্পু ব্যবহার করুণ। বিশেষ করে মেয়েরা এসব ব্যাপারে বেশি সাবধানতা অবলম্বন করুণ। কারণ আরও নানাবিধ কারণে মেয়েদের শরীরে গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে।
অনেকে আছে টয়লেট ব্যবহারের পর ভালোভাবে হাত মুখ পা ধৌত করে না। সে কারণে টয়লেট থেকে আসার পর তার গা থেকে গন্ধ বের হয়। যা মোটেই স্বস্তিকর নয়। তাই বলি টয়লেট সারার পর ভালো ভাবে সাবান ব্যবহার করা উচিত। হাত মুখ ধুয়া উচিত। আবার অনেকের দেখা যায় বাথরুম থেকে বের হবার পর পিছনের খানিকটা কাপড় ভিজে যায়, যা দেখতে ভালো দেখায় না। তাই শুচু করার পর মলদ্বারের পানি ভালোভাবে মুছে ফেলা উচিত এবং বগল ও গুপ্ত স্থানে বিশেষ যত্ন নেওয়া, অবাঞ্চিত লোম কেটে ফেলা উচিৎ অন্তত মাসে দুবার মাথার চুল বগোল ও গুপ্ত স্থানের লোম কেটে ফেলা উচিৎ।
একটু সচেতন থাকলেই আপনার কোন বিরম্বনায় পড়তে হবে না। গোসল করার সময় প্রায় প্রতিদিনই হাত, পা, মুখ, ঘাড়, বোগল ও গুপ্তস্থান বাড়তি যত্ন নিতে হবে। কারণ এসব স্থান থেকেই গন্ধের সৃষ্টি হয়। নিজেকে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় রাখতে সচেতন থাকবেন শরীরের বাজে গন্ধের দিকে । এবং শরীরে কোথাও কোন সৌন্দর্য সমস্যা থাকলে তা সারিয়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে।
নিজেকে আকর্ষণীয় করতে
নিজেকে আকর্ষণীয় করতে আপনার শরীরের প্রতিটি অঙ্গের আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলুন। শুধু সুন্দর হবার চিন্তা করলেন। শুধু মুখের শ্রী বৃদ্ধি ও আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করলেন। তা হলে চলবেনা দেহের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যেঙ্গের আকর্ষণ বৃদ্ধির চেষ্টা চালাতে হবে। কিসে আকর্ষণ বাড়বে, এজন্য কি করতে হবে। হ্যাঁ। অসুখ হলে আমরা কি করি? ডাক্তারের কাছে যায়, ওষুধ খাই। তাহলে সোজা কথা আকর্ষণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে রূপ বিশেষজ্ঞদের কাছে যেতে হবে। এবং প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে। আপনার আর অন্য কোন অঙ্গের রূপের সমস্যা থাকলে তা সারিয়ে তুলতে হবে।
পায়ের নখ থেকে শুরু করে মাথার চুল পর্যন্ত, যে কটা অঙ্গ আছে প্রতিটার দিকে লক্ষ্য করুণ। কোন সমস্যা থাকলে অবশ্যই ধরতে পারবেন। খোলামেলা আলোচনা করলে রূপ বিশেষজ্ঞরা সঠিক পরামর্শ দিয়ে থাকবেন। এবং কোন অঙ্গে কি ব্যবহার করতে হবে তা তারা বলে দিবে। সবার আগে যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে সচেতনতা যত্নশীল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং তীক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা।
হাত, পা, নখ, চুল, চোখ, দাঁত, ফ্রিগার পোশাকের মডেল, বাচন, ভঙ্গিসহ সব কিছুতেই যত্নশীল হন। তবেই নিজেকে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় করতে পারবেন।
শিক্ষা গ্রহণ :স্মার্ট ছেলে মেয়েরা সব সময় যুগ অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণ করে। কারণ চাকরির বাজারে প্রচন্ড প্রতিযোগিতামূলক। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা দ্বারা নিয়ম নীতি পরিবর্তন হয় এবং নতুন নতুন শিক্ষা চালু হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী এই শিক্ষাটা গ্রহণ করলে ক্যারিয়ার গড়লে, লেখাপড়া শেষে বেকার হয়ে বসে থাকতে হয় না। আর যে কারণে স্মার্ট ছেলে মেয়েরা ব্যর্থ হয় না। এক্ষেত্রে চাই সচেতনতা, কারণ এ বিষয়ে আপনার ভালো ধারণা থাকবেনা। যে কারণে অভিজ্ঞ লোকদের কাছে পরামর্শ নিতে হবে স্মার্ট ছেলে মেয়েরা এটা করে। এবং সেভাবেই তারা আগায়।
ভ্রমণের গুরুত্ব : আপনি একস্থানে বড় হয়েছেন সেখানকার নিয়ম নীতি কালচার যাবেন, কিন্তু এই রীতি সঠিক আছে কিনা জানতে ভ্রমণ করতে হবে। নিজেকে পরিবর্তন করতে স্থান পরিবর্তন করাটা জরুরী নিজের স্মার্টনেস বৃদ্ধির করতে ভ্রমণ করা দরকার। যুগের পরিবর্তন কেন হচ্ছে, মানুষের ধ্যান ধারণা পরিবর্তন কেন হচ্ছে। কিভাবে ভিতরের সৃজনশীলতা বৃদ্ধি করবেন। ভ্রমণ করলে এসব কিছু বিবেচনা করার ক্ষমতা অর্জন হবে। সবকিছু পার্থক্য করার ক্ষমতা জম্ম নেবে। কি? কি? বদ অভ্যাস আপনার মধ্যে রয়েছে কিভাবে পরিবর্তন করতে হয়। সব কথা বিবেচনা করে ভ্রমণ করুণ। দেখবেন নিজেরও পরিবর্তন আসছে।
লক্ষ্য করুণ প্রতিদিন : আপনার পরনের পোশাকটি পরিস্কার পরিপূণ্য কিনা? মাথার চুল, মুখের দাঁড়ি, হাত পায়ের নখ ঠিক আছে কিনা। শরীরে কাজে গন্ধ আছে কিনা।
আপনার ব্যবহারিক প্রতিটা জিনিস পরিপূর্ণ আছে কিনা। অবহেলায় কোন কিছু নষ্ট হচ্ছে কিনা। সময়ের কাজ সময় মতো হচ্ছে কিনা। পরনের ব্যবহারিক পোশাকাদি, ফিগারের সঙ্গে মানিয়েছে। কথায় মাধুর্যপূর্ণ হচ্ছে কি না। যথা সময় যথাস্থানে পৌঁছাতে পারেন কিনা। বাথরুম ব্যবহারে দেরি হয় কিনা। নিজের দোষগুলো কাটিয়ে উঠতে পারছেন কি। নিজের স্মার্টনেস ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করছেন কিনা নিখুত ভাবে পর্যবেক্ষণ এবং যাচাই করুণ।
For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.
ভালো লেখা
good post