জানাবাত সম্পর্কে গোপনীয় মাসআলা

জানাবাত কি? জানাবাতের সম্পর্কিত অতি গোপনীয় মাসআলা গুলি জেনে নিন যা স্বামী স্ত্রীর সহবাসের পরে পালন করা কিংবা অনুসরণ করা লাগে। আর তাই স্বামী স্ত্রীর জানাবাত সম্পর্কিত অতি গোপনীয় মাসআলাগুলি আমার বাংলা পোস্ট.কমে তুলে ধরা হলো। তাহলে চলুন জানাবাতের গুরুত্বপূর্ণ মাসআলাগুলি পড়া শুরু করি…

জানাবাত সম্পর্কিত মাসআলা!

জানাবাতমাসআলাঃ-১০৩. স্বামী স্ত্রীর সাথে সহবাস করায় গোসল ফরয হয়ে যায় এবং তারা উভয়ের গোসল না করা পর্যন্ত শরীয়ত অনুযায়ী তাদের পবিত্র ধরা হয় না। অনুরূপভাবে স্বপ্নে মনি নির্গত হওয়া অথবা যে কোন উপায়ে উত্তেজনার সাথে মনি নির্গত হলে গোসল ওয়াজিব হয়ে যাবে। এ অবস্থাটিকে জানাবাতের অবস্থা বলে, যার সম্পর্কে বহু হুকুম রয়েছে। এখানে বিশেষ জরুরী কয়েকটি মাসআলা বর্ণনা করা হলোঃ-

মাসআলাঃ-১০৪. জানাবাত অবস্থায় শয়ন করা, পানাহার করা জায়েয আছে তবে উত্তম হলো লজ্জাস্থান ধৌত করে এবং অযু করে নিবে এতে নাপাকি হালকা হবে। তবে জানাবাত অবস্থায় এমন ভাবে (ঘুমে) পড়ে থাকা যে নামাযই কাযা হয়ে যায়, খুবই খারাপ। এমন ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না। অনুরূপভাবে একবার সহবাস করার পর দ্বিতীয় সহবাস করার জন্যে সমস্ত লজ্জাস্থান ধুয়ে নেওয়া ও অযু করে নেওয়া উত্তম।

জানাবাত অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াতঃ

মাসআলাঃ-১০৫. জানাবাত অবস্থায় কুরআন শরীফ পাঠ করা, স্পর্শ করা জায়েয নয়, হারাম। হায়েযনেফাসের নাপাকিতে কুরআন সম্পর্কে যে আহকাম বর্ণনা করা হয়েছে জানাবাত অবস্থায়ও ঐ একই আহকাম।

জানাবাত অবস্থায় অজিফা ও ধর্মীয় বই-কিতাব পাঠঃ

মাসআলাঃ-১০৬. জানাবাত অবস্থায় ধর্মীয় বই অজিফা পাঠ জায়েয আছে। কিন্তু যেহেতু জানাবাতের অপবিত্রতা থেকে মানুষ যখন খুশি গোসল করে পবিত্রতা অর্জন করতে পারে এজন্য জানাবাতের মধ্যে অজিফা পাঠ করা আদবের পরিপন্থী এবং ভাল নয়। তাই গোসল করার পর অজিফা পাঠ করবে। আর হায়েয ও নেফাসের নাপাকি যেহেতু কয়েক দিন পর্যন্ত চলতে থাকে এ কারণে এ অবস্থায় অজিফা পাঠ করায় কোন ক্ষতি নেই। অবশ্য যে সমস্ত দো’আ গুলো ঐ সকল সময়েরই। যেমন ঘুমাবার দো’আ—ও ঘুম থেকে জাগার দো’আ এ অবস্থার মধ্যে পাঠ করায় কোন অসুবিধা নেই।

জানাবাত অবস্থায় মসজিদে যাওয়াঃ

মাসআলাঃ-১০৭. জানাবাত অবস্থায় মসজিদে গমন জায়েয নেই এবং হায়েয ও নেফাস অবস্থায় এ সম্পর্কে যে বিধান জানাবাত অবস্থায় ঠিক ঐ একই হুকুম।

মাসআলাঃ-১০৮. শরীয়তের দৃষ্টিতে যা মসজিদরূপে গণ্য তার ছাদ ও তলাগুলোও মসজিদের হুকুম তাই সেখানেও জানাবাত অবস্থায় যাতায়াত করা, অবস্থান করা এবং সহবাস করা জায়েয নেই।

মাসআলাঃ-১০৯. যদি কখনও মসজিদে থাকাকালীন কারো গোসল ফরয হয় তবে তার তায়াম্মুম করে বাইরে চলে আসা জরুরী। এমতাবস্থায় এতেকাফকারীরও মসজিদের ভিতরে পড়ে থাকা উচিৎ নয়।

জানাবাতের গোসলের পদ্ধতি

মাসআলাঃ-১১০. হায়েয ও নেফাস থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য গোসলের যে পদ্ধতি জানাবাতের গোসলেরও ঠিক একই পদ্ধতি। খুব খেয়াল রেখে লজ্জাস্থানের অংশগুলো ভাল করে ধৌত করবে। কারণ মনি শুকিয়ে গেলে খুব জলদি ধৌত করায় তা দূর হয় না। তাই ঐ অংশ নাপাক থেকে যায়। তদ্রূপ লক্ষ্য রাখবে যেন শরীরের কোন অংশ শুকনা না থাকে। তাহলে গোসল হবে না। এজন্যই নাকের নরম অংশ পর্যন্ত ধৌত করা এবং কুলি করাও ফরয।

প্রিয় পাঠক পাঠিকা, আমরা আশা করি জানাবাতের গোপনীয় মাসআলাগুলি জেনে আপনার ভালো লেগেছে এবং এই মাসআলাগুলি আপনাদের বৈবাহিক জীবনে কাজে আসবে। মাসআলাগুলি আপনার বন্ধুদেরকে পড়াতে এটি শেয়ার করতে ভুলবেন না।  

For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.

1 thought on “জানাবাত সম্পর্কে গোপনীয় মাসআলা”

  1. জানাবাতের যে সকল নিয়ম কানুন ছিল আমি আগে যানতামই না । আপনার কাছ থেকে জানতে পারছি । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া । আমার অনেক উপকারে আসছে ।

    Reply

Leave a Comment