এটি আবু সালামা (রাঃ) এর জীবনের একটি ঘটনা যা মুসলিম সমাজে অনেক প্রসিদ্ধ যা আমাদের জন্য রয়েছে শিক্ষা ও আদর্শ।
স্বামীর দোয়ার অপূর্ব বরকত (উম্মে সালামার গল্প)
“হে আল্লাহ! আমার মৃত্যুর পর আমার স্ত্রীকে আমার চাইতেও উত্তম স্বামী দান করো।”
এ একটি দোয়া। স্ত্রীর জন্য স্বামীর দোয়া। কে, কার জন্য কোন অবস্থায় এই দোয়া করেছিলেন এবং কিরূপে তা কবুল হয়েছিল জানতে খুব ইচ্ছে করছে। তাই না? তাহলে আসুন হাদীসের আলোকেই শুনি এবং তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করি ৷
আরবী আবুন শব্দের অর্থ আব্বা এবং উম্মুন শব্দের অর্থ আম্মা ৷ সুতরাং আবু সালামা মানে সালামার আব্বা আর উম্মে সালামা মানে সালামার আম্মা ৷
হযরত আবু সালামা (রা.) ছিলেন প্রথম সারির মুসলমান। তিনি দুই হিজরতের অধিকারী। মক্কার কাফিরদের নির্মম অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে প্রথমে তিনি আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন। কিছুদিন পর গুজব ছড়িয়ে পড়লো যে, মক্কাবাসী কুরাইশরা সবাই মুসলমান হয়ে গেছে। একথা শুনে পুনরায় তিনি মক্কায় ফিরে এলেন । কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে তার নিকট পরিস্কার হয়ে গেল যে, সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি দেখলেন, মুসলমানদের উপর মক্কার কাফিরদের অত্যাচার ও নির্যাতনের মাত্রা পূর্বের তুলনায় অনেকগুণ বেড়ে গেছে। দেখতে দেখতে তিনি এবং তার পরিবারের সকলের উপরও চলতে শুরু করলো অত্যাচারের স্টীম রোলার। কাফেরদের এ অমানবিক ও নিষ্ঠুর নির্যাতনে নিষ্পেষিত হয়ে স্ত্রী-পুত্র নিয়ে আবারও তিনি আবিসিনিয়ায় হিজরত করার ইরাদা করলেন । কিন্তু ইত্যবসরে তিনি জানতে পারলেন যে, মদীনায় উদয় হচ্ছে ইসলামের সোনালী সূর্য। মক্কাবাসী নির্যাতিত মুসলমানগণকে মদীনা বাসীরা আশ্রয় দিচ্ছেন। তাই পূর্বের ইচ্ছা পরিত্যাগ করে মদীনায় যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি |
একদিন গভীর রাত। নীরব নিঝুম পরিবেশ। সকলেই ঘুমিয়ে আছে । ঠিক এমন সময় হযরত আবু সালামা (রা.) স্ত্রী উম্মে সালমা ও শিশু পুত্র সালমাকে নিয়ে মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা করলেন ।
বেশি দূর যাওয়া হলো না। মক্কার কাফেররা জেনে গেলো । প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হলো। উম্মে সালামার কবিলার লোকেরা বাধ সাধল । অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করলো । অবশেষে আবু সালমাকে উদ্দেশ্য করে বললো, তুমি যথা ইচ্ছা যাও। আমাদের কোন আপত্তি নেই কিন্তু আমাদের মেয়ে উন্মে সালমাকে আমরা কিছুতেই যেতে দিব না। এ বলে উম্মে সালমাকে জোরপূর্বক উট থেকে নামিয়ে নিলো ।
ইতোমধ্যে আবু সালামার গোত্রীয় লোকেরাও হাজির হয়ে গেছে । তারা এসেই উম্মে সালামার কোল থেকে সালামাকে ছিনিয়ে নিলো বললো, রে হতভাগী! তুই যাবি তোর বাপের বাড়ি, আমাদের সন্তান নিবি কেন? আমাদের বংশের গৌরব আমরাই ধরে রাখবো । এ বলে তারা শিশু সন্তান সালামাকে নিয়ে বাড়ি চলে গেলো। আর উম্মে সালামাকে তার গোষ্ঠীর লোকেরা নিয়ে গেল আপন গৃহে ৷
এবার উম্মে সালামা একা। স্বামী চলে এলেন মদীনায়। সন্তান নিয়ে গেলো নিষ্ঠুর পাষণ্ড কাফেরেরা। তাদের বিরহ বিচ্ছেদে তিনি এখন উম্মাদ প্রায় । প্রতিদিন উদ্ভ্রান্তের মতো ঘর থেকে বের হন এবং বসে বসে অশ্রু বিসর্জন দেন। চোখের পানিতে বুক ভাসান। পানাহার প্রায় বন্ধই করে দিয়েছেন। এতে হযরত উম্মে সালামা (রা.) এর শরীর অল্প দিনেই ভেঙ্গে পড়ে। শুকিয়ে কঙ্কাল সার হয়ে যান। অস্থিরতা, পেরেশানী ও দুঃখ বেদনায় জর্জরিত হয়ে এভাবেই একটি বছর অতিবাহিত হয়। সেকি হৃদয়বিদারক দৃশ্য!
হযরত উম্মে সালামার কবিলায় ছিলো কতিপয় সুহৃদ ব্যক্তি। একদিন উম্মে সালামা (রা.) কে কাঁদতে দেখে তাদের দয়া হলো। বললো, তুমি স্বামীর জন্য পানাহার ছেড়ে দিয়েছো, শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছো, চোখের পানিতে বুক ভাসাচ্ছো; বলো, আল্লাহর জমিনে কি আর কোনো পুরুষ নেই? শরীরের কি অবস্থা হয়েছে, কখনো কি আয়নাতে মুখ দেখ নি? এখন থেকে শরীরের যত্ন নাও। রীতিমতো আহার করো । আমরা তোমাকে আবার বিয়ে দিবো ।
তাদের কথায় হযরত উম্মে সালামা (রা.) একটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বললেন- তোমরা আমাকে অন্যত্র বিয়ে দিতে পারবে ঠিক, কিন্তু আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, আমার স্বামীর চাইতে অন্য কোন উত্তম স্বামী হতেই পারে না । তিনি প্রথম শ্রেণীর মুসলমানদের একজন। তদুপরী দুই হিজরতের অধিকারী ।
তারা বললো- তবে কি তোমার গুণধর স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাও?
হযরত আবু সালামা আর উম্মে সালামা (রা.)- এর মধ্যে ছিল মধুর সম্পর্ক। তারা পরস্পরকে গভীর ভাবে ভালো বাসতেন, বিশ্বাস করতেন। উম্মে সালামা ছিলেন স্বামীর একান্ত অনুগতা, সুখ-দুঃখের সমান অংশীদার এবং স্বামীর অধিকার সচেতন এক বুদ্ধিমতি নারী ।
স্বামীর কাছে ফিরে যাওয়ার প্রশ্নে হযরত উম্মে সালামা (রা.) যেন মরা দেহে প্রাণ ফিরে পেলেন । বললেন, হ্যাঁ অবশ্যই যাবো ।
তারা বলল, কিভাবে যাবে? কার সাথে যাবে?
তিনি বললেন, কারো দরকার নেই। তোমরা আমাকে একটি বাহন দাও। আল্লাহপাক আমার সাথে আছেন। তিনিই আমাকে স্বামীর কাছে পৌঁছে দেবেন ।
উম্মে সালামার এই কথাটি ভীরু কাফেরদের বিশ্বাস হলো না । তারা ভাবলো, একটি মেয়ে কী করে তো দীর্ঘ পথ একাকী সফর করবে? সে তো আবেগের বশবর্তী হয়েই এমনটি বলছে ।
দুষ্ট কাফেররা পরীক্ষামূলক একটি উট এনে হযরত উম্মে সালামা (রা.) এর নিকট হাজির করলো । বললো, এই নাও তোমার বাহন । তুমি এটিতে আরোহণ করে তোমার স্বামীর নিকট চলে যাও মহান আল্লাহর প্রতি হযরত উম্মে সালামা (রা.) এর ছিল অবিচল ভরসা। তার পূর্ণ আস্থা ছিলো করুণাময় আল্লাহ এ বিপদ মুহূর্তে তাকে যে কোনো উপায়ে সাহায্য করবেনই। তাই তিনি বাহন পেয়ে সময় নষ্ট করলেন না । হালকা সামানা নিয়ে উটের পিঠে সাওয়ার হয়ে গেলেন ।
এদিকে আবু সালামার গোষ্ঠীর মধ্যেও কিছু হৃদয়বান ব্যক্তি ছিল । তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার গোপনে মুসলমানও হয়ে ছিলেন । কিন্তু কাফেরদের ভয়ে তা প্রকাশ করতে পারছিলেন না। তাদের একজন এসে শিশু পুত্র সালামাকে উম্মে সালামার কোলে দিয়ে বললেন, তুমি এ নির্জন মরুভূমি পাড়ি দিয়ে কিভাবে এতদুর পৌঁছবে? তখন হযরত উম্মে সালামা (রা.) সরাসরি জবাব না দিয়ে পবিত্র কুরআনের একখানা আয়াত তিলাওয়াত করলেন, “যারা আমার রাস্তায় মেহনত মোজাহাদা করে আমি নিজেই তাদের জন্য (বিপদ থেকে উদ্ধারের) বিভিন্ন রাস্তা বের করে দেই (সূরা ………..) নও মুসলিমগণ তার ঈমানের এই দৃঢ়তা দেখে বিস্মিত হলেন। মা ও ছেলেকে ছেড়ে দিলেন আল্লাহর নামে ।
হযরত উম্মে সালামা (রা.) আপন সন্তানকে কোলে নিয়ে পথ চলতে লাগলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর আল্লাহর সাহায্য অবতীর্ণ হলো । উসমান বিন তালহা নামক এক রহমদিল ব্যক্তি তানঈম নামক স্থানে তার পথ রোধ করে দাঁড়ালো। তারপর অত্যন্ত শ্রদ্ধাভরে বললো- আম্মাজান! আপনি কোথায় রওয়ানা দিয়েছেন? উম্মে সালামা (রা.) বললেন, মদিনার উদ্দেশ্যে বের হয়েছি ।
উসমান বললেন, কেউ কি আপনার সাথে আছে? তিনি বললেন, আল্লাহ তা’আলা ও এই বাচ্চা ছাড়া আমার সাথে আর কেউ নেই। উসমান বললো, এটা তো হয়না । আপনি একা কি করে যাবেন? আপনাকে এভাবে মুরুদস্যুদের হাতে ছেড়ে দেওয়া যায় না। এ বলে তিনি উটের লাগাম ধরলেন এবং মদীনার দিকে রওয়ানা দিলেন। উল্লেখ্য যে, উসমান বিন তালহা তখনো মুসলমান হন নি ।
চলতে চলতে এক সময় তারা মদীনার কোবা পল্লীতে উপস্থিত হলেন। সেখানেই বসবাস করতেন হযরত আবু সালামা (রা.)। এক বৎসর পর স্বামী স্ত্রী ও পিতা-পুত্রের মিলন হলে, কুঁড়ে ঘরে যেনো নেমে এলো জান্নাতের শান্তি । গড়ে উঠলো তাদের ছোট্ট সুখের সংসার।
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মদীনায় হিজরতের পর প্রায় এক বছরের ব্যবধানে ঐতিহাসিক বদর ও ওহুদ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। হযরত আবু সালামা (রা.) উভয় যুদ্ধে শরিক হন এবং ওহুদ যুদ্ধে গুরুতর আহত হন । ক্ষতস্থান না শুকাতেই অন্য এক অভিযানে শরীক হয়ে ফিরার পথে ক্ষতস্থান আবার তাজা হয়ে যায় এবং এতেই তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন । (হেকায়েতে সাহাবা : ৭০৯)
হযরত উম্মে সালামা (রা.) বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যদি কোন মুসলমান বিপদে পতিত হয়ে এই দোয়া করে “আল্লাহুম্মা আজিরনী ফী মুসীবাতি ওয়াখলুফনী খাইরাম মিনহা” অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে এই বিপদের প্রতিদান দাও এবং পূর্বের চেয়ে উত্তম বদলা দান করো। তাহলে আল্লাহপাক তাকে অবশ্যই যা হারিয়েছে তার চেয়ে উত্তম বদলা দান করবেন। আবু সালামার মৃত্যুর পর উক্ত হাদীস স্মরণ করে আমি দোয়া করতাম। কিন্তু দোয়ার মধ্যে যখন বলতাম, হে আল্লাহ! আমাকে আবু সালামার চাইতে উত্তম স্থলাভিষিক্ত দান করো, তখন হৃদয় বলতো, আবু সালামার চাইতে ভালো কোন মুসলমান আছে কি? অতঃপর আল্লাহপাক আমাকে আবু সালামার স্থলে তাঁর রাসূল কে দান করলেন ।
একদিন হযরত উম্মে সালামা (রা.) তাঁর অতীত দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আমি একবার আমার স্বামী আবু সালামাকে বললাম, আমি শুনেছি যদি কোন মহিলার স্বামী মারা যায় অতঃপর সে আর বিয়ে না করে এবং তারা উভয়েই জান্নাতবাসী হয় তাহলে আল্লাহ তা’আলা বেহেশতে তাদের মিলন ঘটাবেন । অনুরূপভাবে স্ত্রী আগে মারা গেলে এবং স্বামী পুনরায় বিবাহ না করলে আর উভয়ে জান্নাতি হলে আল্লাহ তা’আলা বেহেশতে তাদের একত্রিত করবেন। সুতরাং আসুন আমরা পরস্পর অঙ্গীকার করি আমি আগে মারা গেলে আপনি অন্য কাউকে বিবাহ করবেন না । আর আপনি আগে মারা গেলে আমিও কাউকে বিয়ে করবো না ।
তখন আবু সালামা (রা.) বললেন, তুমি কি তোমার ব্যাপারে অঙ্গীকার করছো? আমি বললাম- হ্যাঁ, অঙ্গীকার করছি। তিনি বললেন, আমি অঙ্গীকার করবো না। বরং আমার হৃদয়ের একান্ত আকাঙ্খা হলো, তোমার পূর্বে আমার মৃত্যু হলে তুমি অন্য কাউকে বিয়ে করে নতুনভাবে সুখের সংসার রচনা করো । অতঃপর তিনি হৃদয়ের সকল আকুতি মিশিয়ে দোয়া করলেন-
“হে আল্লাহ! আমার পর তুমি উম্মে সালামাকে আমার চাইতে ভালো কোনো স্বামী দিও । এমন স্বামী যে তাকে কষ্ট দেবে না, আঘাত করবে না।’
তারপর যখন আবু সালামা মৃত্যুবরণ করলেন তখন আমি ভাবলাম, আবু সালামার চাইতে ভালো আর কে হতে পারে? কিন্তু এতদ্সত্ত্বেও এ কথা ভেবে আমি অপেক্ষায় থাকলাম যে, দেখি, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিখানো দোয়া এবং আমার জন্য প্রিয়তম স্বামীর দোয়া কিভাবে কবুল হয়। অনন্তর স্বয়ং হযরত রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার নিকট বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। তাঁর সাথেই আমার দ্বিতীয় বিবাহ সম্পন্ন হয় । [নিসাউন হাওয়ার রাসূল (সা.) : ৮৪]
প্রিয় পাঠক! এখানে গভীরভাবে চিন্তা করার বিষয় যে, হযরত আবু সালামা (রা.) স্ত্রীর জন্য যে দোয়া করে গেছেন সে দোয়াই কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও শিখিয়েছেন। কিন্তু উম্মে সালামা (রা.) তো ভাবতেই পারেন নি আবু সালামার মতো মহৎপ্রাণ স্বামীর চাইতে কোনো ভালো স্বামী তিনি পেতে পারেন । অথচ মহান আল্লাহ তাঁর ভাগ্য তৈরি করে রেখেছিলেন আরও কতো বড় করে তা কি তিনি জানতেন? তিনি কি জানতেন, কাল যিনি ছিলেন একজন সাহাবীর স্ত্রী আজ তিনি হবেন, সারা জাহানের রহমত, নবীকুলের শিরোমনি, দোজাহানের বাদশাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনসঙ্গিনী । এই তো কিসমত! এই তো ভাগ্য!! সবচেয়ে বড় কথা হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিখানো দোয়া এবং স্ত্রীর জন্য স্বামীর হৃদয় নিংড়ানো দোয়া তা কি কখনো ব্যর্থ হতে পারে? পারে না। আর পারে না বলেই তো উম্মাহাতুল মুমিনীনদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মহা সৌভাগ্য তিনি লাভ করেছেন। তাই আসুন, আমরাও বিপদ আপদ ও কষ্ট মসিবতে উপরোক্ত দোয়াটি বেশি বেশি করে পাঠ করি। সেই সাথে প্রিয়তম স্বামী যেনো আমার জন্য দোয়া করেন, হাত উঠালেই আমার মঙ্গল ও কামিয়াবীর জন্য দোয়া করতে মন চায় সেই অবস্থাও সৃষ্টি করি। অর্থাৎ স্বামীর খেদমত, তার আনুগত্য এবং গভীর প্রেম ভালোবাসায় জড়িয়ে তার হৃদয়ে এভাবে আসন পেতে বসি যেনো দোয়ার সময় সর্বাগ্রে আমারই কথা মনে পড়ে। কী মা-বোনেরা! পারবেন তো? হ্যাঁ, পারবেন । অবশ্যই পারবেন । আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন । আমীন ।
১. উসদুল গাবা, সীরাতে ইবনে হিব্বান, তাবাকাতে সাদ)
লেখক: মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম। বই: নারী জীবনের চমৎকার কাহিনী থেকে।
Please follow our Facebook, Twitter, Instagram, Linkedin, Pinterest, Tumblr, And Youtube channels for more updates.
এত সুন্দর এবং ইনফরমেটিভ আর্টিকেল আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।