এটি এক ব্যক্তির দরূদ শরীফের বরকত লাভের বাস্তবিক গল্প। সম্মানিত লেখক তাঁর গল্পের ভিতরে একজন বিপদগ্রস্থ ব্যক্তির দরুদ শরীফ পাঠের বরকতে মুক্তি পাবার ঘটনা সুত্রসহ উল্লেখ করেছেন। দরূদের বরকত জানতে গল্পটি আপনিও পড়তে পারেন।
দরূদের বরকত (বাস্তবিক ইসলামিক বাংলা গল্প ১৬)
আল্লাহ পাক পরম করুণাময়। অসীম দয়ালু। মানব দানবসহ সকল সৃষ্টির মাঝে যত দয়া মায়া ও স্নেহ মমতা ছিল, আছে বা থাকবে তার সবগুলোকে যদি একত্রিত করা হয় তবে উহা আল্লাহ তাআলার দয়া মায়ার একশভাগের এক ভাগও হবে না। আল্লাহ পাকের দয়ার কোন শেষ নেই, সীমা নেই। তিনি যেমন অসীম তেমনি তার দয়াও অসীম। এই বিশ্ব জগতের প্রতিটি প্রাণী তারই অপার অনুগ্রহে বেঁচে আছে। তার করুণা ও অনুগ্রহ ছাড়া কোন কিছুর অস্তিত্ব লাভ যেমন সম্ভব নয়, তেমনি টিকে থাকাও সম্ভব নয় ।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদেরকে অত্যন্ত ভালবাসেন । এজন্য · বিপদ-আপদ কিংবা কোন সমস্যায় পতিত হয়ে তারা যখন আল্লাহকে কায়মনোবাক্যে ডাকে তখন তিনি সাড়া দেন । উদ্ধার করেন বিপদ মুসিবত থেকে । যেমন পবিত্র কুরআনে আল্লাহপাক বলেছেন, আমি আহবান কারীর আহবানে সাড়া দেই, যখন সে আমাকে আহবান করে । (সূরা বাকারা : ১৮৭)
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক । আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। যারা অহংকার বশতঃ আমার ইবাদত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তারা অবশ্যই লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (সূরায়ে মুমিন : ৬০)
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেন, নিশ্চয় দুআ আকাশ ও পৃথিবীর মাঝামাঝি স্থানে ঝুলে থাকে, যে পর্যন্ত না নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরূদ পাঠ করা হয় । (মিশকাত)
উল্লেখিত আলোচনা দ্বারা বুঝা গেল, বান্দা যখন আল্লাহকে ডাকে বা তার কাছে কোন আবেদন পেশ করে তখন আল্লাহ পাক সেই ডাকে সাড়া দেন এবং আবেদন পূর্ণ করেন। তবে দুআ তথা আল্লাহর নিকট কোন কিছু চাওয়ার পূর্বে যদি দরূদ শরীফ পাঠ করে নেওয়া হয়, তবে আল্লাহর নিকট তা দ্রুত মঞ্জুর হয় এবং প্রয়োজন অনুপাতে বান্দা তা পেয়ে যায়। বিংশ শতাব্দির শুরু ভাগে ঘটে যাওয়া নিম্ন বর্ণিত হৃদয়স্পর্শী ঘটনা দ্বারা এ কথাটিই পাঠকবৃন্দের সম্মুখে স্পষ্টরূপে প্রতিভাত হয়ে উঠবে বলে আশা রাখি ।
হাসমত উল্লাহ নামের এক সুন্দর সুদর্শন ছেলে। নোয়াখালী জেলার সদর থানার অন্তর্গত চর কাউনিয়া গ্রামে তার জন্ম । তাদের বাড়ি ছিল নদীর তীরে । নদীটির নাম ডুলুয়া নদী। কাল প্রবাহে নদীটি এখন বার্ধক্যে উপনীত হলেও এক সময় এর ছিল দুরন্ত যৌবন। বর্ষাকালে নদীটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করত ৷ এর করাল গ্রাসে পতিত হয়ে কত ধনী ফকির হয়েছে, কত লোক বাড়ি ঘর হারিয়ে পথে নেমেছে তার হিসাব ক’জনে জানে?
অন্যান্য বহু পরিবারের মতো এই নদীর রাক্ষুসে থাবা থেকে হাসমত উল্লাহর পরিবারও বাঁচতে পারে নি। নদীর প্রচন্ড ঢেউয়ের আঘাতে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে তাদের বাড়ি ঘর জমিজমা সবকিছু নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। অবশেষে কোন উপায়ান্তর না দেখে জীবন বাঁচানোর তাগিদে তারা রামগতি থানার চর কাদিরা গ্রামে বসবাস করতে শুরু করে ।
সেই থেকে হাসমত উল্লাদের পরিবারের অভাব অনটন লেগেই থাকে ৷ কোন দিন তিন বেলা খাবার জুটে না। কখনো না খেয়ে উপোস থাকতে হয় । কখনো নির্ভর করতে হয় অন্যের দয়ার উপর ।
টানাটানির এই সংসারে লেখাপড়া করার সুযোগ পায় নি হাসমত উল্লাহ। অবশ্য কিছুদিন সে মক্তবে গিয়ে সূরা কিরাত সহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের নিয়মাবলি শিখে নিয়েছিল। সেই সাথে মুখস্থ করে নিয়েছিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দরূদ শরীফ পাঠ করার ফজীলতগুলোও ।
হাসমত উল্লাহ এখন সতের আঠার বছরের যুবক। পেটের দায়ে সে গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি আহমদ মোক্তারের ছেলে ছোট মিয়ার মহিষ পালক হিসেবে নিযুক্ত হয়। সে প্রতিদিন মহিষগুলো নিয়ে অন্যান্য রাখালদের সাথে নদীর ওপারে যায়। সারাদিন এগুলোকে ঘাস পানি খাওয়ায়। তারপর আবার বিকেলে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। আজ দীর্ঘদিন যাবত এভাবেই চলছে হাসমত উল্লাহর জীবন ।
একদিনের ঘটনা ।
তখন বৈশাখ মাস । প্রতিদিনের মতো আজো সে মহিষের পাল নিয়ে নদীর ওপারে গেছে। সাথে আছে অন্যান্য রাখাল ও তাদের মহিষগুলো । কোন কোন রাখাল মহিষ নিয়েই কেবল আসেনি গরু ছাগলও নিয়ে এসেছে। চরবসু নামক চারণ ভূমিতে জানোয়ারগুলো ছেড়ে দিয়ে নিজেরা বিভিন্ন খেলাধুলায় মত্ত। খেলাধুলার প্রতি হাসমত উল্লাহ তেমন ঝোঁক না থাকলেও আজকে সবার সাথে খেলায় যোগ দিয়েছে সে।
অনেকক্ষণ যাবত খেলাধুলা চলছে । সকলেই আনন্দে আত্মহারা । এমন সময় হঠাৎ আকাশে কালে মেঘ দেখা দেয় । গোটা এলাকা অন্ধকারে ছেয়ে যায়। কাল বৈশাখী ঝড়ের আশংকায় সবার বুক কেঁপে উঠে। সবাই নিজ নিজ জানোয়ারগুলোকে নিরাপদ স্থানে নেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
কিছুক্ষণ আগে খেলা বন্ধ হয়ে গেছে। রাখালরা সবাই একত্রে জড় হয়। এখন কি করা যায়, কিভাবে জানোয়ারগুলোকে বাঁচানো যায় এ নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরামর্শ হয়। সিদ্ধান্ত হয়, প্রত্যেকেই যার যার মহিষ, গরু ও ছাগলের পাল নিয়ে নদী পার হয়ে শান্তির হাটের পূর্ব উত্তর দিকের উঁচু স্থানে চলে যাবে ।
ভুলুয়া নদীতে এখন প্রচন্ড ঢেউ। বড় বড় ঢেউগুলো বিকট শব্দ করে নদীর কিনারে আছড়ে পড়ছে। এ মুহূর্তে যে কোন সাহসী লোকও নদীতে নামতে ভয় পাবে। কিন্তু কোন উপায় নেই। জীবন রক্ষা করতে চাইলে এবং জানোয়ারগুলোকে বাঁচাতে হলে এক্ষুণি নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তা পার হওয়া ছাড়া আর কোন গত্যন্তর নেই। কেননা এতক্ষণে ঝড়ের আলামত সুস্পষ্টরূপে প্রকাশ হয়ে গেছে। পরামর্শ মোতাবেক এক এক করে সকলেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সাথে নেয় নিজ নিজ জানোয়ার। জীবনের মায়ায় কেউ এক মুহূর্ত দেরী করে না ।
ভুলুয়া নদীটি বেশ প্রশস্থ। নদীতে জোয়ার ও বর্ষাকাল হওয়ার সুবাদে সেই প্রশস্ততার পরিমাণ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুদিনে যে নদী দশ মিনিটে অনায়েসে পার হওয়া যেত, তা এখন ত্রিশ মিনিটে পার হতেও কষ্ট হয় ।
নদীতে নামার সাথে সাথে প্রত্যেক রাখাল আপন আপন মহিষের পিঠে চড়ে বসে। রাখালদের মধ্যে হাসমত উল্লাহ ছিল সবার ছোট। অন্যদের মতো সেও একটি মোটা তাজা মহিষের পিঠে আরোহণ করে। তারপর চেষ্টা করে নিজ নিজ জানোয়ারগুলোক নিয়ন্ত্রণে রাখার ।
যত তাড়াতাড়ি নদী পার হওয়া যায় ততই তাদের মঙ্গল। তাই প্রত্যেক রাখাল অতি দ্রুত চলার জন্য জানোয়ারগুলোকে লাঠি উঁচিয়ে তাগাদা দিয়ে যাচ্ছিল।
হাসমত উল্লাহ যে মহিষটির পিঠে সওয়ার হয়েছিল, সেটি কেবল হৃষ্টপুষ্টই ছিল না, শান্ত স্বভাবেরও ছিল। এজন্য নদী পার হওয়ার সময় উহার উপরই সে সওয়ার হতো। তাই আজকের এই বিপদ মুহূর্তে উহাকেই সে বাহন হিসেবে গ্রহণ করেছে ।
এতক্ষণ হাসমত উল্লাহ সুন্দরভাবেই নদী পাড়ি দিচ্ছিল । তেমন কোন অসুবিধা হচ্ছিল না তার। প্রভুভক্ত জানেয়ারের ন্যায় মহিষটিও তাকে নিয়ে সম্মুখে অগ্রসর হচ্ছিল তীব্র গতিতে। কিন্তু নদীর মাঝামাঝি যাওয়ার পর মহিষটির মেজাজ যেন কেমন বিগড়ে গেল। সে তার পিঠে উপবিষ্ট লোকটিকে নিচে নামানোর জন্য এলোপাতাড়ি ভাবে শিং দিয়ে আঘাত করতে লাগলো । শুধু তাই নয়, একবার এদিকে আরেকবার ওদিকে যাওয়ার কারণে উহাকে নিয়ন্ত্রণ করাও হাসমত উল্লাহর পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াল ।
হাসমত উল্লাহ পিঠ থেকে নেমে মহিষের লেজ আঁকড়ে ধরল । কারণ এতক্ষণে সে মহিষের মনোভাব ভাল করেই বুঝতে পেরেছিল । কিন্তু এবার যেন মহিষটি আরো বেপরোয়া হয়ে উঠল। লেজ ছাড়ানোর জন্য সে গ্রহণ করলো নতুন এক কৌশল। হাসমতউল্লাহ ভেবে পায় না, কেন মহিষটি আজ এমন করছে। কেন তার চেহারায় আজ ফুটে উঠেছে ভয়ংকর রূপ ।
লেজ আঁকড়ে ধরার পর মহিষটি এবার ডুবের পর ডুব দিতে থাকে । হাসমত উল্লাহ লেজ ছাড়ে না। কারণ সে জানে, এ মুহূর্তে লেজ ছেড়ে দিলে মৃত্যু ছাড়া ভাগ্যে আর কিছুই জুটবে না। মহিষটি একেক ডুবে কয়েক মিনিট পর্যন্ত পানির নিচে থাকে। কোন কোন ডুবে সময়ের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পায় । ইহা মহিষের পক্ষে সহ্যের সীমায় থাকলেও হাসমত উল্লাহর পক্ষে সীমা ছাড়িয়ে গেল। শ্বাস বন্ধ হয়ে জীবন বায়ু বের হয়ে যাওয়ার উপক্রম হল। নাকে মুখে সমানভাবে পানি ঢুকতে লাগল। কাউকে যে সাহায্যের জন্য চিৎকার দিয়ে ডাকবে সে শক্তিটুকুও সে হারিয়ে ফেলল। এদিকে অন্যান্য রাখালরা নদীর ওপারে প্রায় পৌঁছে গেল ।
বিপদের উপর বিপদ। হাসমত উল্লাহ যখন নদীর মধ্যভাগে জীবন মরণের খেলায় মেতে উঠেছিল ঠিক তখনই সেখানে তীব্রবেগে ধেয়ে আসে কাল বৈশাখীর প্রচন্ড ঝড়। এবার হাসমত উল্লাহ মহান আল্লাহর দিকে পূর্ণরূপে মনোনিবেশ করল। মন থেকে ঝেড়ে ফেলল সকল ভয় ও আশংকা। মনে মনে বলল, আল্লাহ যদি আমাকে বাঁচাতে চান তবে কেউ আমাকে মারতে পারবে না। এ দুর্যোগময় পরিস্থিতিতেও আমি বেঁচে যাব ৷ সুতরাং এখন আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমার আর কোন উপায় নেই ।
হাসমতউল্লাহ জানত, দরুদ শরীফ পড়ে নবীর ওসিলা দিয়ে দুআ করলে আল্লাহ পাক সেই দুআ কবুল করেন। তাই সে বড়ই মহব্বতের সাথে কয়েকবার দরুদ শরীফ পাঠ করল। তারপর বলল-
ওগো রাহমানুর রাহীম করুণাময় খোদা! আমি তোমার পাপী বান্দা। তোমার প্রিয় রাসূলের এক অধম উম্মত। গোটা দেহ আমার গোনাহে জর্জরিত। আমি এখন কি অবস্থায় আছি তা তুমি ভাল করেই দেখছ। হে দয়ার আধার! আমি তোমার রাসূলের উপর কয়েকবার দরুদ শরীফ পাঠ করেছি। এবার তার উসিলায় আমি তোমার নিকট এ বিপদ থেকে মুক্তি চাই। কিভাবে তুমি আমাকে মুক্তি দিবে তা তুমিই জান খোদা ।
আল্লাহ পাকের কুদরত বুঝা বড় দায়। দরূদ সহ দুআ শেষ হওয়ার সাথে সাথে আল্লাহ পাকের রহমতের দরিয়া উথলে উঠল। মহিষ পূর্বের ন্যায় পানিতে ডুব দিয়ে দীর্ঘক্ষণ থাকলেও হাসমত উল্লাহর কোন কষ্ট অনুভব হয় না। প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পানির নিচেও সে পেয়ে যাচ্ছে।
কোত্থেকে কিভাবে তার নিকট অক্সিজেন পৌঁছেছে সেটা সে নিজেও জানে না। মহিষ যতক্ষণ পানিতে ডুবে থাকে ততক্ষণ তার কষ্ট তো হয়ই না, উপরন্তু অন্তরে বিরাজ করে এক অনাবিল শান্তির সাইমুম হাওয়া ।
এখনো ঝড়ের তীব্রতা হ্রাস পায় নি । প্রবল বাতাসের ঝাপটায় মহিষটি দিকভ্রান্ত হয়ে নদীর পশ্চিম তীরে না উঠে দক্ষিণে ভাগুয়ার দোনা হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পৌঁছে। হাসমত উল্লাহ ঝড়ের তান্ডব লীলায় ও শীতের প্রচন্ড প্রকোপে দুর্বল হয়ে পড়লেও মহিষের লেজ ছাড়ে নি ৷ আল্লাহর অপরিসীম দয়া ও কুদরত যে, একদিন দু’দিন নয় দীর্ঘ চারদিন তিন রাত পর কয়েক জন মাঝি মহিষের লেজ ধরা অবস্থায় তাকে বঙ্গোপসাগরের কিনারা থেকে উদ্ধার করে। অতঃপর খোঁজ খবর নিয়ে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেয় ৷
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তার দয়া ও কুদরতের প্রতি অটল বিশ্বাস এবং মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ শরীফ পাঠের ফজীলত অনুধাবন করে তার উপর আমল করার তাওফীক দান করুন । আমীন।
সূত্রঃ আলোচ্য ঘটনাটি লক্ষ্মীপুর জেলার টুমচর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্র মোঃ নূরুল আমীন শামীম তার পিতা থেকে শুনে আমার নিকট পাঠিয়েছেন । ঘটনার মূল চরিত্র হাসমত উল্লাহ তারই আপন দাদা। এ ঘটনা ১৯৩৪ অথবা ১৯৩৫ খৃষ্টাব্দের ।
স্মরনীয় কথা
বুযুর্গদের হাসি-কান্না পরকালের জন্য হয়, কখনো খুশি কখনো নাখোশ দুনিয়ার জন্য নয় । লেখক।
লেখকঃ মাওলানা মুফীজুল ইসলাম। বইঃ হৃদয়স্পর্শী শিক্ষণীয় কাহিনী। হৃদয় গলে সিরিজ ১২।