ডিপ্রেশন টু সুইসাইড : আত্মহত্যাই সমাধান নয়!

এদেশের কিছু মানুষ নানাবিধ হতাশা থেকে আত্মহত্যার দিকে অগ্রসর হয়। বাংলাদেশে আত্মহত্যা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর সাধারণ কারন এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক সমস্যা। বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার কারণে প্রতিবছর যত মানুষ মারা গেছে তার মধ্যে ২.০৬% বাংলাদেশি।[1] হতাশা থেকে আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে অধিকাংশই থাকে ছাত্র-ছাত্রী, প্রেমিক প্রেমিকা ও নারী। প্রিয় পাঠক পাঠিকা, আমি মেহেজাবিন তাবাচ্ছুম। আজ আমি ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা থেকে আত্মহত্যা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সেইসকল হতভাগা ভাই-বোনদেরকে নিয়ে লিখতে বসেছি যারা আত্মহত্যার মাধ্যমে জীবনের সমস্যার সমাধান খুঁজে বেড়ায়। যেসকল ভাই-বোনেরা ডিপ্রেশন নামক বিষাক্ত যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তারা আমার এই লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। আশা করি আমার কথাগুলো আপনার কাজে আসবে। তাহলে চলুন ডিপ্রেশন নামক বিষাক্ত যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে সামনে এগিয়ে যায়..

ডিপ্রেশন টু সুইসাইড (পর্ব-১)

কাব্যিক রসে আত্মহনন বড়ই সুখকর জগতকে ভাবায়।

পৃথিবী তার জন্য কাঁদবে আর ওপারের জগত থেকে সে সুখের হাসি হাসবে। জোৎস্না রাতের আলোয় তার আত্মা ডানা মেলবে চিরশান্তির যাত্রায়। হয়ত, পৃথিবীর মানুষের ভুল ভ্রান্তি সেদিন ভাঙ্গবে। তারা আফসোস করবে হায়, যদি আপনাকে  তারা আরেকটু বুঝত। তারা যদি আপনাকে বাঁচিয়ে নিত। তারা সারাজীবন অপরাধগ্রস্থে কাঁদবে। আর আপনি সেদিন নিজের আত্মাকে প্রশান্ত সাগরের শেষ বেলায় চিরবিদায় দিবেন। দুনিয়ার জীবনযাত্রার সমীকরনগুলো সহজসাধ্যভাবে গুছিয়ে চিরনিদ্রার ঘুমে অনন্তকালের মহাযাত্রায় শানিত হবেন। সব দুঃখ কষ্টের তো এখানেই পরিসামাপ্তি। নেই কোন ডিপ্রেশন, নেই আর নেই। 

উপরিউক্ত সবকিছুই একজন সুইসাইড করা মানুষের ডিপ্রেশন পর্যায়ে ভাবা এক রহস্যময় গল্প। এখন ভাবলেন আমি কেমনে এত বিশদভাবেই মিলিয়ে নিলাম। গল্পটা আসলে আমার, আপনার এমনকি আমাদের আশে পাশের ডিপ্রেশনে যাওয়া এক একটা মানুষের সাথেই সম্পর্কিত।তবে বলে রাখি, আমিও এই ডিপ্রেশন শব্দটি নিজের জীবনের ১কোটি পৃষ্টার মধ্যে ১০০০টি পৃষ্ঠায় আবিষ্কার করেছি। যদিও এখন  আমি ডিপ্রেশন শব্দটিতেই আর বিশ্বাস করিনা- তবে আজ এই শব্দের আলোকেই গল্পটির পরিসমাপ্তি করব। 

ডিপ্রেশন টু সুসাইড।

ডিপ্রেশন- কোন মেন্টাল হেলথ বা সায়েন্টিফিক ডেফিনেশন দিয়ে আমি এই শব্দটিকে বুঝিয়ে দিব না। আমার মনে হয়না বইয়ের ভাষায় আমি আপনার সাথে কথা বলব। চলুন নাহ্ আজ বন্ধুত্ব করি আপনার সাথে। আমি আপনার কথা শুনব আর আপনি আমার সাথে সবকিছু শেয়ার করবেন, দেখি আজ ১দিনের বন্ধুতটা যদি ডিপ্রেশনের ঔষুধ হয়ে যায়। যদি সবকিছুর সল্যুশন আল্লাহ্ এখন এই বন্ধুত্বটার দ্বারাই আপনাকে দেয়। 

হুম শুরু করি,চলুন! আমি বলছি, ডিপ্রেশন কতটুক আপনার? 

আপনি হয়ত বলবেন,ডিপ্রেশন এতই যে,  বেঁচে থাকার কোন উদ্দেশ্য আপনি আর খুঁজে পাচ্ছেন নাহ্। এইমুহুর্তে, ডিপ্রেশনের তীব্রতা থেকে মৃত্যুর স্বাদ ই তুলনামুলক শান্তির। এটাই তো? আমিও একমত! উদ্দেশ্যই নেই, তবে জীবন কি কারনেই বা রাখব। 

এবার বলব, আপনার ডিপ্রেশন কারন কি!! বেশিরভাগ মানুষের আজকাল ডিপ্রেশনের রহস্য জানতে চায়লে মুখ গুটিয়ে ভারি নিশ্বাস নিয়ে বলে- প্রিয়জন নেই,বন্ধু বলতে কেউ নেই! 

তা সে কি ধোঁকা দিয়েছে? হারিয়ে গেছে? মৃত্যুবরন করেছে? 

আপনার জীবনের ১০০ খন্ডের মধ্যে ১০খন্ড তে সেই প্রিয়জন ছিল! তবে এমনভাবেই জুড়িয়ে গেছে যে জীবনের বাকি খন্ড গুলোই আপনি সম্পুর্ন ভাবতে পারছেন নাহ। হয়ত সে আপনার  বন্ধু ছিল, হয়তবা প্রেমিক বা প্রেমিকা, হয়ত ডিভোর্স হয়ে যাওয়া স্বামী বা বউ! 

বন্ধুত্ব! হ্যাঁ আমাদের জীবনের সবথেকে অটুট বন্ধনই শুধুমাত্র বন্ধুত্ব! বন্ধুত্বটা রুপ পাল্টালেই মুশকিল। চারদিক ঘোর অন্ধকার লাগে। মনে হয় এই মনে হয় নিজেকে হারিয়ে ফেললাম। আর ভাল বন্ধু যখন দুরে পাড়ি দেয়, দুরত্ব বেড়ে যায়, অথবা মরীচিকা পড়ে আমাদের যেন আর বেঁচে থাকার স্বাদটা আগের মত থাকেনা। আবার কিছু বন্ধু এমনও হয় ঠাট্টা মহলে আপনি ই তাদের টার্গেট। বডি শেমিং, সাইজ অথবা আপনার কমতি নিয়ে তথাকথিত ভাবে জোকস তৈরীতে তারা বেশি আড্ডায় আপনাকে ইনক্লুড করে। বেশিরভাগ আমরা ইয়াং জেনেরেশানরা এই সমস্যা ফেইস করি। যেমন কেউ মোটা তাকে নাম দেয়া হয় হাঁতি,কদু, মোটকু আরও কত কি। আর চিকন হলেই হাড্ডি, বাঁশ এন্ড……………

বন্ধুত্ব দরকার তবে এত বেশিও না যেটা আপনাকে ছোট করে, আপনাকে ভয়ে রাখে, আপনাকে নিচে নামিয়ে আনে। বন্ধুত্ব হয় নিঃস্বার্থ, মায়া জড়ানো ও সম্মানের। কখনোও এমন বন্ধুত্বতে নিজেকে জড়াবেন নাহ্ যাতে পরবর্তীতে নিজের কাছেই নিজেকে ঘৃনা করতে হয়। 

বন্ধুত্ব করুন সর্বপ্রথম নিজের সাথে। আমি বলব আপনার ছায়াটিকে বন্ধু বানিয়ে নিন। নিজেকে যে ভালবাসে তার আর কারও দরকার পড়েনা৷ আয়নায় নিজেকে একবার দেখুন। আর ভাবুন, কি নেই আপনার! এইযে সৃষ্টিকর্তা আপনাকে বানিয়েছেন, পুরো শরীরে কোন অংশ তো বাকি রাখেনি। কেন আপনি এত হতাশ, কেন এত কষ্ট, কেন এত ডিপ্রেশন ঘিরে ধরেছে। আপনি সৃষ্টির সেরা জীব। আপনি কেন নিজের মধ্যে কমতি খুঁজছেন? কেন মানুষের কথায় নিজেকে কষ্ট দিচ্ছেন? এমনত হবার কথা নাহ্।

নিজেকে সরিয়ে নিন এমন বন্ধুত্ব থেকে। বন্ধুত্ব করুন নিজেকে ভাল রাখার মত, ভরসার হাত বাড়ানোর জন্য, বিশ্বস্ততায় আগলে রাখার মতো। বন্ধু কেবল ব্যাচমেট, সহপাঠী বা পাড়ার বন্ধু/বান্ধবী  হওয়ায় ই একান্ত না! বন্ধুত্ব করুন সৃষ্টিকর্তার সাথে, মা-বাবা, ভাই অথবা বোন এর সাথে। এই সম্পর্কে বিচ্ছেদ এর ভয় নেই। না আছে হারানোর ভয়, না আছে ঠকে যাওয়ার ভয়!

প্রেমিক প্রেমিকার জন্য আত্মহত্যা? (ডিপ্রেশনের পরে সুইসাইড পর্ব ২)

জীবনের খুব বেশি প্রিয় মানুষটি কে ছিল? এই প্রশ্নের জবাবে হয়ত আপনার ভালবাসার মানুষটির কথাই প্রথমাংশে মনে পড়বে। টিনেজারদের ভাষায় যদি বলি, তবে সেই ভালবাসার মানুষটি হলো আপনার গালফ্রেন্ড/ বয়ফ্রেন্ড। 

ছবিঃ পরিবার প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার একই রশিতে প্রেমিক প্রেমিকার আত্মহত্যা!

এখন, ভালবাসা নামক জিনিসটাতে  তো মানুষ ভালো থাকার জন্য, একসাথে পাশাপাশি সারাজীবনের পথ হাটার জন্য, একে অন্যের সুখের কারন হওয়ার জন্যই মায়ায় জড়ায়। তবে এটা ডিপ্রেশনের কারন হলো কিভাবে?

প্রথমত,  ভালবাসার সংজ্ঞা দিয়ে আপনার ফিলিংসকে মোটেও ছোট করবনা। ভালবাসা নামক সংজ্ঞাটির মধ্যে বিচ্ছেদ নামক অপ্রিয় সত্যের মুখোমুখি প্রায় আমরা সবাই হয়। ভালবাসা কখনো ডিপ্রেশন আনে না, যা ডিপ্রেশনের যোগান দেয় তা হলো ভালবাসার মানুষটিকে হারিয়ে ফেলা, এককথায় যার ফলশ্রুতি বিচ্ছেদ! 

আমি যদি আপনাকে এখন একটু বাস্তবতায় ফিরিয়ে আনি, আপনি কি পারবেন সত্যের মুখোমুখি হতে?

পৃথিবীতে আপনাকে সবথেকে ভালবাসে আপনার বাবা-মা! এটাতো মানতে আপনি বাধ্য, তাইনা? আপনি কি খেয়াল করেছেন এই সম্পর্কে বিচ্ছেদ নামক শব্দটি কিন্তু ভুলেও মাথায় আসেনা! কেন বলবেন? কারনটা খুব সহজ! আপনি জানেন, আপনি যেমনই হোন, যতই ভুল করেন, যতই ভালবাসা না দেখান এই সম্পর্কে, দিনশেষে এই সম্পর্কগুলো বদলাবেনা। আপনি না চায়লেও এই মানুষগুলো আপনাকে ভালবাসবে, কেয়ার করবে। ভালবাসার প্রকৃত সংজ্ঞা এখানেই নিহিত। 

কখনো কি বাবা মাকে খুব বলে বুঝাতে হয়েছে যে আপনি তাদের ভালবাসেন? অথবা, I Love you ammu/ abbu এভাবে সারাদিন তাদেরকে মাতিয়ে রাখছেন যে তারা বিনা শর্তে আপনাকে ভালবাসে একইভাবে? কখনো দোষ করে কি বলছেন প্লিজ সরি, আর হবেনা, আমাকে ছেড়ে যায়েন না আপনারা। এমনতো হয়নি, তাইনা?

কেন তবে কয়েক বছরের ভালোবাসার কাছে এই নিঃস্বার্থ  ভালোবাসা হেরে যায় আমাকে বলবেন? আপনি যে ডিপ্রেশনে ভোগছেন, আত্মহত্যার পথ বেঁছে নিয়ে মৃত্যুর সাথে দুনিয়া ছাড়তে চাচ্ছেন, সত্যিই কি এটা সঠিক সিদ্ধান্ত? 

একবার চোখ বন্ধ করে ভেবে দেখুন, ১০ মাস ১০ দিন আপনার মা আপনাকে কতটা যত্নে নিজের গর্ভে রেখেছে। কতটা শারীরিক ও মানসিক কষ্ট নিয়েছে। জানেন আপনি যাতে স্বাভাবিক পজিশনে থাকেন তাই আপনার মা কতরাত এককাত হয়ে ঘুমোয় নি। আপনার জন্মের সময় ঠিক কতটুকু পেইন ফেইস করেছিল আপনার ধারনা আছে? মানুষ বলে মৃত্যুর পথ থেকে ফিরে আসে একজন জন্মদাত্রী মা! তবে আপনার ডিপ্রেশনের কষ্ট এই কষ্টের কাছে ঠিক কতটুকু যৌক্তিক।

আপনি ভেবেই দেখুন, যার জন্য আপনি কাঁদছেন, কষ্ট পাচ্ছেন, সে কি ঠিক আপনার জন্য একইভাবে কষ্ট ফিল করছে? খোঁজ নিয়ে দেখবেন সে ঠিকই তার নিয়মিত জীবনে ভালো আছে। আপনাকে নিয়ে ভাবার কোন সময় ই তার নেই। 

এখন হয়ত বলবেন আরেহ! সে তো আপনাকে ভালবাসে নি, কিন্তু আপনি তো  তাকে সত্যিকারের ভালোবাসেন৷ আর এই ভালবাসা এর প্রমান দিতেই মুলত সুইসাইড এটেম্ট করতে চান। তাহলে হয়ত সে বুঝবে আপনার ভালবাসা, এইতো?

তাহলে আমি আপনাকে বলি আসলে সুইসাইড এটেম্ট এর পর কি হবে! আপনি যখন সিলিং ফ্যান এর সাথে ঝুলে পড়বেন, অথবা ঔষুধ খেয়ে বেহুশ হবেন অথবা উঁচু থেকে লাফ মেরে রক্তাক্ত শরীরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করবেন, তখন একমাত্র আপনার পরিবার সত্যিকার অর্থে কষ্ট পাবে। এছাড়া আর কেউনা। 

আপনার মার কোল শেষ হবে, আপনার বাবার তিলে তিলে গড়া ঘামে ভেজা শরীরের রক্তক্ষরণ সেদিন চাপাগলায় দীর্ঘনিশ্বাস ফেলবে। আপনার আদরের ভাইবোন চোখের পানি ফেলবে। আর বাকি সবাই? আপনার ভালবাসার মানুষ যার জন্য জীবনটা দিলেন সে কি করবে জানেন?

প্রথমত সে খবর পেলে বলবে, আহা সে মারা গেল, খারাপ লাগছে। ১০-২০ মিনিট সর্বোচ্চ সে হয়ত মন খারাপ করবে অন্য ১০ জনের মত। তারপর? তারপর সে নিজের জীবনে ঠিকই ব্যস্ত হয়ে যাবে, আপনার ভালবাসার ত্যাগে সে ১০-২০ মিনিটের সময় থেকে বেশি অপচয় করবেনা৷ সে না খেয়ে থাকবেনা, না আফসোস করবে। আর হ্যা, এটাই সত্য! 

বিশ্বাস করেন, আপনার সুইসাইডে আপনার মা বাবা ছাড়া বাকি কারও কিছু যেয়ে আসবেনা, না সমাজের, না দেশের, না দশের। একদমই না৷ আপনার ফেসবুকে লাস্ট ডিপ্রেশনের স্ট্যাটাসটা হয়ত ভাইরাল হবে, সবাই মাতামাতি করবে। তবে দিনশেষে কেউ আর মনে করবেনা যে একট ছেলে সুইসাইড করেছিল।

আপনার মা সারাজীবন কাঁদবে, চোখের জল ফেলবে। বাবাও রাতের প্রহরে আপনাকে করা শাসনের কথা ভেবে নির্ঘুম রাত কাঁটাবে। আর হ্যাঁ প্রকৃত ভালোবাসা এখানেই নিহিত।

আমার প্রিয় ভাই ও বোন, সত্যি বলছি জীবন খুবই অল্প সময়ের জন্য। এইজীবন টা শুধুমাত্র একটা পরীক্ষাক্ষেত্র। মা বাবা ছাড়া প্রতিটা মানুষ নিজের স্বার্থ রক্ষার্থে আপনার চারপাশে থাকে। স্বার্থ ফুরালে তারাও হারিয়ে যায়। এমন মানুষদের জন্য ডিপ্রেশনে গিয়ে সুইসাইডের সিদ্ধান্তঃ নেয়াটা বড়ই অযৌক্তিক। অন্ত্যত, নিজের মা বাবার জন্য হলেও বাঁচুন। তাদের ভালবাসার রক্ষা করুন৷ তাদের জন্য ভাল থাকুন। 

ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষায় ফেল! (ডিপ্রেশনের পর সুইসাইড পর্ব -৩)

চারিপাশে যখন ডিপ্রেশনে পড়া ছেলের সুইসাইডে আহাজারি, তখনই জানা যায় মাধ্যমিক/উচ্চমাধ্যমিকে ছেলেটির এ+ মিস গেল। অথবা এমনও শোনা যায় যে ভর্তি পরীক্ষায় পছন্দের ভার্সিটিতে সিরিয়াল না আসায় কিশোর/কিশোরীর মৃত্যু।

ছবিঃ বরগুনার মেডিকেল ছাত্রী শায়লা শারমিন বৃষ্টি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। উৎসঃ যুগান্তর।

সত্যিই আমিও এই ক্যাটেগরীর একজন ছিলাম। তবে সুইসাইডের সিদ্ধান্তে আমি কখনো যায়নি। ডিপ্রেশন লেভেল মারাত্নক ছিল। তবু আজ আমি ডিপ্রেশন থেকে ওভারকাম করে আজকে আপনাদের জন্য লিখতে এসেছি।

নিজের এক্সপেরিয়ান্স থেকেই বলছি, মেধাবীরা কখনো একটু খারাপ রেজাল্টটিও মেনে নিতে পারেনা। গোল্ডেন এ+ পাওয়া শিক্ষার্থী যখন কোন সাবজেক্টে এ+ মিস করে সে নিজেকে হতাশায় ঘিরে ফেলে। আমার ক্ষেত্রে ও ব্যাতিক্রম না।

মাধ্যমিকে যখন এ+ এর স্থলে ৪.৮৯ আসলো, আমি নিজেকে খুব কষ্টে সামলিয়ে নিয়েছিলাম। বান্ধবীরা যেন পাশ কাটাচ্ছে, সবাই ভাল ভাল কলেজে ভর্তি হচ্ছিল। আমাকে প্রায় সবাই কটুক্তি করত, ফ্রেন্ড সার্কেল,  ক্লাসমেট, আত্নীয় স্বজন। 

কারন, আমি একটা মধ্যম লেভেলের কলেজে ভর্তি হলাম, যেটা স্বনামধন্য কলেজেরবধারে কাছেও নেয়। শুধু এটায় নয়। আমার কলেজে ২বছরে আমি মাত্র ৩দিন ক্লাস করেছিলাম। কারন কলেজটি আমার ব্যর্থতাকে মনে করিয়ে দিত।একসময়  ফার্স্ট ব্যান্ঞ্চ এ ক্লাস/ কোচিং এ সব থেকে প্রশ্ন করা মেয়েটি একদম ব্যাক বেন্ঞ্চার হয়ে গেল। কোন বান্ধবীতো দুরে একদম কথাও হয়ত বলতে ইচ্ছে হতোনা কারো সাথে। 

এভাবে রাস্তায় একা হাটা, নিজের জীবনকে তুচ্ছ ভাবা সবটাই যেন ডিপ্রেশনের কাছে নিয়ে গেল। রাত বেরাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে পড়ত আয়নার সাথে কথা বলায় আমি সবথেকে ব্যস্ত সময় পার করতাম। না ছিল কোন বন্ধু না ছিল কোন সাপোর্ট, না ছিল কোন মোটিভেশন দেয়ার মত কেউ। দিন দিন ম্যন্টালি আমি সিক হয়ে যেতে লাগলাম।

একসময় খুব বেশি একা হয়ে পড়াতে আর যেন পারছিলাম নাহ্। তারপর আবার পড়ায় মনেযোগ দিতে লাগলাম। ভাবলাম হেরে যাওয়াতো চলবেনা। নিজেকে আরেকবার প্রমান করি। এত এত পরিশ্রম করলাম যে আমার শারীরিক কন্ডিশন খুব খারাপ হয়ে গেল। শুধু পড়ালেখাটাকেই দুনিয়া ভাবতাম। খাওয়া দাওয়া রেস্ট সব বাদ দিলাম। অনলি এইচএসসি ই ফোকাসে ছিল। পরীক্ষাগুলো ভালোই দিছিলাম। তবে রেজাল্ট আসল ৪.০৮. যা আগেরবারের ডিপ্রেশন থেকে আরও বেশি ঘিরে ধরার মতই। তবে না এবার আমি আর ডিপ্রেশনে যায়নি। এডমিশন টেস্টে আমি এই পয়েন্ট দিয়েই নিজের যোগ্যতা প্রমান করব শপথ নিলাম। এরপর কাঙ্খিত ভার্সিটিগুলোয় অনলি পয়েন্টের জন্য সিরিয়াল দুরে আসত। হতাশা আবারও ধরছিল। বাট আবার চেষ্টা করলাম। আলহামদুলিল্লাহ এবার আমার সিরিয়াল আসল কুমিল্লা ভার্সিটি(ম্যাথ) এবং নোবিপ্রবি (জুলোজি). তারপর আসল  বুটেক্স এফিলিয়েটেড ৬ কলেজ (টেক্সটাইল ইন্জিনিয়ারিং). 

শুধু এটাই নয়, আলহামদুলিল্লাহ্ এখন আমি আমার ডিপার্টমেন্টের 1st গার্ল। 

আমি আমার জীবন থেকে বিশ্বাস করি,পরিশ্রম কখনো বিফলে যায়না। আল্লাহ্ আপনার সকল পরিশ্রমের ফল দেন, শুধু দরকার একটু সবর। একবার চেষ্টা করে হেরে গেলে আবার উঠে দাড়ান দ্বিগুন শক্তি নিয়ে। আবার লড়াই করুন। একটা রেজাল্ট আপনার জীবন ছিনিয়ে নেয়ার মত কারন হতে পারেনা৷ একটা রেজাল্ট আপনার মেধার প্রতিফলন নয়।

আমি বলব যদি এসএসসিতে ব্যর্থতা আসে, তবে এইচএসসিতে দ্বিগুন পরিমান ফোকাস করুন। যদি এইচএসসিতে ও ব্যর্থ হন তবে এডমিশন টেস্টে ফোকাস করুন, আর যদি এতেও ব্যর্থ হোন তবে অন্য ধাপে নিজের বেস্ট দিন। কখনো হেরে যাওয়ার মন মানসিকতা নিবেন না। আপনার জীবন এ পড়ালেখায় সবকিছুনা। আপনার হয়ত এমন যোগ্যতা আছে যা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিবে। এমনদিন হয়ত সামনে আছে যা সবার চোখে তাক লাগিয়ে দিবে। যারা আপনাকে হেয় করে তারাই আপনাকে শ্রদ্ধা করবে। হয়ত ব্যর্থতা আছে বলেই সাফল্যের এত স্বাদ। হেরে যাওয়া চলবেনা। জীবনকে স্রোতের টানে ভাসিয়ে দিন, দেখবেন ঠিক তীরেই আপনার নৌকাটি গন্তব্যে পৌঁছাবে।

ডিপ্রেশন টু সুইসাইড (শেষ পর্ব)

ডিপ্রেশন নিয়ে ঘটে যাওয়া সুইসাইড এর সাথে তো আমরা প্রায়ই পরিচিত। তবে, কতজন আমরা ভাবি মানুষটা কেন ডিপ্রেশন থেকে বের হতে পারল না? কেনই বা সুইসাইডে জড়ালো?

বাংলাদেশে শারীরিক রোগের চিকিৎসাকে যতটা গুরুত্ব দেয়, মানসিক রোগকে ঠিক ততটাই অবহেলা করে। কিন্তু, বিজ্ঞানের ভাষায় সুস্বাস্থ্য বলতে শরীর ও মন উভয়ের সুস্থতাকে বুঝায়। তবে কেন এই অবহেলা?

এক গবেষনায় দেখা যায়, ২০১৮ সালে দেশে মামসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৮.৫ শতাংশ এবং শিশু কিশোরদের ক্ষেত্র এই সংখ্যা ১৩শতাংশ।আরও জানা গেছে, ৯২ শতাংশ মানুষ কোন ধরনের মানসিক সেবা বা চিকিৎসা নেন না।

বস্তুত এই পরিসংখ্যান সামনে আনার একমাত্র কারন, ডিপ্রেশনে ভোগা প্রতিটি মানুষ যেন নিজের জীবনকে তুচ্ছ মনে না করে। নিজেকে বাঁচাতে যেন একটাবার চেষ্টা করে।

এমনও শোনা যায়, কোন এক মানুষ ১দিন আগেও স্বাভাবিক ছিল, হাসিখুশি দিন যাপন করেছে, তবে পরদিন তার আত্নহত্যার খবর পেয়ে বন্ধুরা ও হতভম্ব!! কারন, ডিপ্রেশনে ভোগা প্রতিটি ব্যাক্তি ই নিজেকে কর্নার করে নেয়। এমনকি তার নিজের বেস্টফ্রেন্ড ও বুঝেনা যে ডিপ্রেশন টা কতটা তীব্র ছিল।

ডিপ্রেশন থেকে বাঁচার উপায়

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে আপনার জন্য আমার কিছু পরামর্শ রয়েছে। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করলে হয়তো আপনি ডিপ্রেশন বা হতাশাগ্রস্থ জীবন থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আমার পরামর্শগুলো নিচে দেওয়া হলো:

১.একজন ভাল সাইকাট্রিস্টের শরন্নাপন্ন হোন।

  • কখনো এই স্টেপটি নিতে দেরী করবেন নাহ্৷ আপনার ডিপ্রেশন লেভেল যদি বাড়তে থাকে খুব দ্রুত মানসিক সেবা নিন।. 

২. পরিবারের সাথে সময় কাটান।

  • সবার মাঝেই থাকার চেষ্টা করুন৷ পরিবারের বাকি সবার সাথে কথা বলুন। বাবা মার হাসি মুখ দেখুন৷ দেখবেন এক নিমিষেই সকল হতাশা হেরে যাবে। মাকে ঘরের কাজে হেল্প করুন, সেবা করুন৷ বাবার প্লেটে ভাতটা বেড়ে দিন৷ এমন ছোটখাটো কাজগুলো যখন বাবা মায়ের মুখে হাসি ফুটাবে, আপনি নিজেকে তখন সবথেকে সুখী ব্যক্তি হিসেবে ফিরে পাবেন৷ চেষ্টা করেই দেখুন।

৩. নিজ ধর্ম যথাযথভাবে পালন করুন।

  • আমার জীবনে এই একটা ধাপ ডিপ্রেশন কমাতে খুব হেল্প করেছে। আপনি যদি একজন মুসলিম হোন, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করুন। একটানা ৭-১০ দিন কষ্ট করে ওয়াক্ত অনুযায়ী নামাজ পরুন। এভানে মাস, দুয়েক পড়ুন। ইন শা আল্লাহ্ বড় ধরনের পরিবর্তন দেখতে পাবেন। সাথে কুরআন তেলওয়াত করুন৷ আরও শুদ্ধভাবে ও অর্থবুঝে কুরআন পড়ার চেষ্টা করুন। কুরআনকে আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী বানিয়ে নিন। ইসলামিক বই পড়ুন। ইন শ আল্লাহ্, ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাবেন।
    আপনি যদি অন্য ধর্মাবলম্বী হয়ে থাকেন তবে একইভাবে ধর্ম পালন করুন।

৪. নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।

  • প্রথমত বলব, একটি খসড়া কাগজে রুটিন বানিয়ে নিন। আপনার দৈনিক ঘুম, কাজ, খাওয়ার সময় এসবকিছু নোট করে নিন। এভাবে রুটিন মেইনটেইন করে ব্যস্ত সময় পার করুন৷ দেখবেন, দিনটা খুব সুন্দরভাবেই অতিক্রম হচ্ছে। হতাশা আসার সময় আর কই?

৫. খুব ভোরে উঠুন এবং রাতে জলদি ঘুমানোর অভ্যেস করুন

  • সবথেকে কার্যকরী উপায়ের মধ্যে এটি অন্যতম৷ মুলত যারা ডিপ্রেশনে ভোগে তাদের বেশিরভাগ ই রাত নির্ঘুম কাটিয়ে এবং দিনভোর অলসতা দিয়ে শেষ করে। এতে মানসিকভাবে হতাশা আরও বাড়ে।
    এক গবেষনায় দেখা যায়, রাতে ৯-১২ টা পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য বেশ উপকারী। এইসময়ে ১ঘন্টা ঘুম = ৩ঘন্টা ঘুম। তাই, অবশ্যই রাতে জলদি ঘুমানোর চেষ্টা করুন। এতে আপনার ফজরের সালাত এর ওয়াক্ত মিস হবেনা। সাথে ফজরের রিফ্রেশ বাতাসটি আপনার শরীরও মন উভয়ে প্রশান্তি দিবে।
    রাতে নির্ঘুম রাত কাটানোটা ডিপ্রেশন আরও বাড়ায়। কারন, রাতে নিজেকে একা পাওয়া এবং বাড়তি টেনশন করতে সময় পাওয়া যায়৷ অতএব, এটি পরিহার করুন।

৬. বাগান করুন অথবা পাখি পালন করুন।

  • ডিপ্রেশন কাটানোর আরেকটি উপায় কোন একটা শখ পুরনে ব্যস্ত থাকা। এইক্ষেত্রে বাগান করাটা খুব বেশি কার্যকরী। এক্ষেত্রে সবুজের মাঝে একপ্রকার প্রশান্তি খুঁজে পাওয়া যায়৷ সাথে ফুলের গাছ হলেতো কথায় নেই। প্রতিদিন ফুল ফুটবে আর আপনি মুগ্ধভাবে দেখবেন৷ এতে মানসিক তৃপ্তির যে কি স্বাদ একমাত্র বাগানপ্রেমিরাই জানে।
    পাখি পালন- অন্য আরেকটি বেস্ট উপায়। আপনি শখের কবুতর কিংবা লাভ বার্ডস অথবা এমন পাখি পালন করতে পারেন৷ এতে দিনের বেশিরভাগ সময়ই তাদেরকে নিয়ে ভাল থাকবেন৷ আমি এভাবে নিজেকে ডিপ্রেশন থেকে বের করে আনতে অনেকাংশেই সফল হয়েছি।

৭. সফল ব্যক্তিদের জীবনী পড়ুন

  • আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, প্রতিটি সফল ব্যাক্তিই বার বার ব্যর্থ হয়েই সফলতা অর্জন করেছেন৷ তারা হেরে যায়নি৷ বরং জীবনকে আরও বেশি কাছ থেকে হেরে যেতে দেখে বেঁচে থকার আকুতি জানিয়েছে। এমন সম্ভাব্য জীবনী সমুহ পড়ুন। দেখবেন, আরেকটিবার নিজেকে ভাল রাখার প্রানপন চেষ্টাটি ফিরে আসবে

৮. একদিন হাসপাতালের জরুরি বিভাগসমুহে ঘুরে আসুন।

  • কখনো নিজেকে সবথেকে সফল বা পছন্দের ক্যাটাগরিতে যদি না রাখতে পারেন তবে এই উপায়টি কাজে লাগবে।
    হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে দেখে আসুন জীবন কাকে বলে! মানুষ এত গা পোরা নিয়েও একটি নিশ্বাস নেবার জন্য লড়াই করছে। দেখে আসুন ক্যান্সার রোগীদের। জিজ্ঞাসা করুন তাদের জীবনের শেষ ইচ্ছা কি?! তারা নিশ্চয়ই বলবে পৃথিবীতে আরেকটি দিন বাঁচার ইচ্ছে ই তাদের শেষ ইচ্ছে।

এবার বলুন, আমি, আপনি, আমরা কেন জীবনকে উপভোগ করছিনা। কেন এত হতাশা? কেন এত অকৃতজ্ঞতা রবের প্রতি। আলহামদুলিল্লাহ বলুন এবং নিজেকে আরেকটিবার গড়ে তুলুন৷

সর্বোপরি, নিজেকে ভালবাসুন৷ এটাই ডিপ্রেশনের বড় ঔষুধ৷ এই জীবন আপনার, পৃথিবীতে বেঁচে থাকার অধিকারও আপনার। নিজেকে মৃত্যু দেয়া আপনার অধিকার নয়। আপনার এই দেহটি স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত৷ আপনার এই শরীর ১০ মাস ১০ দিন গর্ভে রেখে, এতবছর আপনাকে যত্ন করে বেড়ে তুলেছে আপনার মা৷ আপনার বাবার হাজারো ঘামের বিনিময়ে আপনার এই খাওয়া দাওয়া, পোশাক, পড়ালেখা। কিসব তুচ্ছ কারনে নিজেকে হারিয়ে দেওয়ার মত অধিকার আপনার কি আছে? কি জবাব দিবেন মৃত্যুর পর স্বয়ং রবকে! পারবেন তো ৭০গুন আগুনে নিজেকে জ্বলাতে?

অতীত নিয়ে হতাশা ছাড়ুন। অতীত আপনি বদলাতে পারবেন না৷ তবে বর্তমান ও ভবিষ্যত আপনার কাছে এখনও আছে। ঘুরে দাড়ান৷ নিজেকে ভাল রাখুন রবের জন্য, নিজের জন্য, পরিবারের জন্য। নিশ্চয়ই সফলতা বেশি দুরে নয়।

প্রিয় ভাই ও বোন, আমার এই লেখাটি প্রতিটি ভাঙ্গা হৃদয়ের জন্য, যারা ডিপ্রেশন থেকে কোনভাবেই মুক্তি পাচ্ছেন নাহ্। ইন শা আল্লাহ্ লেখাটি আপনাদেরকে সাহায্য করবে আশা করি। যদি এই লেখাটি ভাল লেগে থাকে অবশ্যই আমাকে জানাবেন।

[1] সুত্রঃ উইকিপিডিয়া!

ডিপ্রেশন থেকে বাচতে নিচের ভিডিওগুলো দেখতে পারেন!

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পেতে একজন ডাক্তার আপুর পরামর্শ..

ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি শায়খ আহমাদুল্লাহ’র ইসলামিক পরামর্শগুলো শুনতে পারেন!

আত্মহত্যা থেকে বাঁচার উপদেশমূলক বই!

ডিপ্রেশন থেকে বাঁচতে সম্মানিত লেখক আলী হাসান তৈয়ব এর আত্মহত্যা কোন সমাধন নয়, সমস্যা বইটি পড়তে পারেন। লেখক বইটিতে আত্মহত্যা বিষয়ে কুরআন ও হাদীসের বিভিন্ন উদ্ধৃতি এবং আত্মহত্যা সংক্রান্ত শরীয়তের পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য তুলে ধরেছেন। এবং পাশাপাশি আত্মহত্যার কারণ ও এ অভিশাপ থেকে মুক্তির পথও তিনি সংক্ষেপে বলে দিয়েছেন এবং তারই সাথে আত্মহত্যা নিয়ে সমাজের প্রচলিত কিছু ভুল ধারণার অপনোদন করেছেন। বইটি পড়ার জন্য ডাউনলোড করে নিন।

ডাউনলোড করুন ⇒ আত্মহত্যা কোনো সমাধান নয়, সমস্যা (PDF)

প্রিয় পাঠক পাঠিকা, লেখাটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

2 thoughts on “ডিপ্রেশন টু সুইসাইড : আত্মহত্যাই সমাধান নয়!”

  1. Apu ami nijer sathe r juddho korte partesina.Protidin ak e routine ghum r phone.chaileu r nijeke control korte partesina.jar phole porashuna hosche na.akhon ki korbo bujhtesina

    Reply
    • প্রিয় পাঠক, চেষ্টা করবেন নিজের একটি রুটিন তৈরী করতে। মোবাইল ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একটা সল্প বিরতি নেন। সকালে জলদি উঠার অভ্যেস করুন। যদি পারেন তাহাজ্জুদের নামাজে উঠে পড়ুন।ইবাদত দিয়ে সকালটা শুরু করুন। দেখবেন আপনার কাজে মনোযোগ আসবে, অলসতা কমবে এবং বারাকাহ্ আসবে। ইন শা আল্লাহ্ সফল হবেন বোন। দোয়া রইল।
      দেরীতে রিপ্লেই এর জন্য দুঃখিত!

      Reply

Leave a Comment