শাসনের মেজাজ পোষণ করবেন না!!

মানুষের কাছে প্রিয় হতে শাসনের মেজাজ পোষণ করবেন না। আপনি স্ত্রী সন্তানসহ বাহিরের লোকদের কাছে কিভাবে প্রিয় হবেন তা বুঝতে ও শিখতে সম্মানিত লেখকের পরামর্শগুলি পড়ে নিন। 

তিনজন পিতা নিজ নিজ সন্তানকে পরীক্ষার দিন টেলিভিশনের সামনে বসা দেখলো। এবার তাদের আচরণ তুলনা করুন।

প্রথমজন তার সন্তানকে বললো, “মোহাম্মদ! তোমার পরীক্ষার পড়া রিভিশন দাও।”

দ্বিতীয়জন বললো, “মাজেদ! এখন যদি পরীক্ষার পড়া না পড়, তাহলে তোমাকে মারব। তোমাকে আর কোনো টাকা পয়সা দেয়া হবে না।”

তৃতীয়জন তার সন্তানকে বললো, “সালেহ! এখন তোমার জন্য টিভি দেখার চেয়ে পরীক্ষার পড়া মুখস্থ করা বেশি দরকার। তাই না বাবা?”

একটু ভাবুন, বাবাদের মধ্যে কার বাচনভঙ্গি সবচেয়ে সুন্দর?

আপনি অবশ্যই বলবেন, তৃতীয়জনের। কেননা, সে বিষয়টাকে পরামর্শের ভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছে।

স্ত্রীর সঙ্গেও এমন আচরন করা উচিত। স্ত্রীকে বলতে পারেন, “সারা! যদি তুমি চা তৈরি করতে!” খালেদা! আশা করি, আজ আমরা ভোরে নাস্তা করব ইত্যাদি।

তদ্রূপ কাউকে কোনো ভুল করতে দেখলে এমন পদ্ধতিতে সংশোধন করুন, যেন সে নিজেই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে উদ্বুদ্ধ হয়। মনে করুন, আপনার ছেলে নামাযের সময় মসজিদে অনুপস্থিত থাকে।

আপনি বলতে পারেন, “সাদ! তুমি কি জান্নাতে যেতে চাও?”

‘অবশ্যই, আব্বু!’

‘তাহলে তোমাকে নামাযের প্রতি যত্নবান হতে হবে।’

নববী যুগের একটি ঘটনা। মরুভূমিতে জৈনিক বেদুইনের তাবুতে তার স্ত্রী প্রসব বেদনায় ছটফট করছিল। স্বামী তার শিয়রে বসে সন্তান ভূমি ‘হওয়ার অপেক্ষা’ করছে।

স্ত্রীর প্রসববেদনা তীব্র থেকে তীব্রতর হলো। একপর্যায়ে চরমে পৌঁছাল। সন্তান ভূমিষ্ঠ হলো। কিন্তু দেখা গেল ভুমিষ্ঠ সন্তানের গায়ের রঙ কালো! লোকটি একবার নিজের দিকে তাকাল। এরপর স্ত্রীর দিকে তাকাল। না, তাদের কেউ তো কালো নয়। তারা উভয়ে ফর্সা। সে আশ্চর্য হয়ে ভাবতে লাগল, ‘তাহলে সন্তানের গায়ের রঙ কালো হলো কেন?’

অভিশপ্ত শয়তান আর দেরি করলো না। তার অন্তরে সন্দেহের জাল বুনতে শুরু করলো। ‘এ সন্তান তোমার নয়! কৃষ্ণ বর্ণের কোনো দুশ্চরিত্র তোমার স্ত্রীর সঙ্গে অপকর্ম করেছে এবং এতে সে গর্ভবতী হয়েছে। আর তাই সে…।

লোকটি মদিনায় আল্লাহর রাসূলের দরবারে উপস্থিত হলো। তার চেহারায় দুশ্চিন্তার ছাপ। সাহাবায়ে কিরাম অনেকেই তখন রাসূলের দরবারে উপস্থিত ছিলেন। লোকটি বলতে শুরু করলো, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমার স্ত্রী একটি কালো ছেলে প্রসব করেছে। অথচ আমার বংশে কোনো কালো লোক নেই।’

হুজুর (সাঃ) লোকটির দিকে তাকালেন। তিনি চাইলে লোকটিকে অন্যের প্রতি সুধারণা পোষণ করার এবং স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ না করার বিষয়ে নসীহত করতে পারতেন। কিন্তু তিনি এক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানের জন্য ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করলেন। তিনি চাচ্ছিলেন সে নিজের সমস্যা নিজেই সমাধান করুক।

তিনি তার সামনে এমন একটি উদাহরণ পেশ করলেন যাতে তার প্রশ্নের উত্তর নিহিত ছিল। প্রশ্নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সেই দৃষ্টান্তটি কী ছিল?

তিনি কি সাধারণ কোনো গাছের দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন? না খেজুর গাছের? না রোম-পারস্যের?

না, এসব কোনো কিছুর উদাহরণ তিনি দেন নি। তিনি তার দিকে তাকালেন। একজন সহজ-সরল বেদুঈনের অবয়ব তার সামনে ফুটে উঠল। তার কপালে চিন্তার ভাঁজ, স্ত্রীর সতীত্ব নিয়ে তার মনে নানা প্রশ্ন। তিনি তাকে বললেন, ‘তোমার কোনো উট আছে?’

‘জ্বী হ্যাঁ, আছে’।

‘কী রঙের’?

‘লাল রঙের’।

‘তোমার উটের পালে কালো রঙের কোনো উট আছে।’

‘না’।

‘ছাই রঙের আছে?’

‘হ্যাঁ, আছে।’

‘তাহলে ছাই রঙের উট কোত্থেকে এলো?!’

রাসূল তাকে বোঝাতে চাইলেন, ‘পালের নর-মাদী সব উট যখন লাল রঙের, অন্য কোনো রঙের উট নেই, তখন লাল উটনি ছাই রঙের বাচ্চা কিভাবে প্রসব করলো?’ উষ্ট্রশাবকের রং তার মাতা-পিতার রং থেকে ভিন্ন কিভাবে হলো?

লোকটি কিছুক্ষন চিন্তা করলো। এরপর বললো, ‘সম্ভবত তার শিরা তা আকর্ষণ করেছে!’ অর্থাৎ উটনীটির পূর্ববর্তী বংশে কারও রং এমন ছিল। আর সেই বংশগত জিন বা হরমোনের প্রভাবে এমন হয়েছে।

এবার রাসূল (সাঃ) বললেন, ‘সম্ভবত তোমার এ সন্তানের রংও পূর্ববর্তী কারও প্রভাবে কালো হয়েছে।

লোকটি এ উত্তর শুনে কিছুক্ষণ চিন্তা করলো। ‘এ উত্তর তো তারই উত্তর, এ চিন্তা যেন তারই চিন্তা।’ সন্দেহমুক্ত ও সন্তুষ্ট মনে সে স্ত্রীর কাছে ফিরে গেল।

আরেকদিন ঘটনা। রাসূল (সাঃ) সাহাবীদের সামনে উপবিষ্ট ছিলেন। তিনি বিভিন্ন কাজ সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বললেন, “তোমাদের স্ত্রী সম্ভোগও সওয়াবের কাজ।’

সাহাবায়ে কিরাম আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কেউ তার স্ত্রীর যৌনবাসনা পূর্ণ করলেও সওয়াব পাবে?

রাসূল (সাঃ) সরাসরি উত্তর না দিয়ে এমন কথা বললেন, যেন তারা নিজেরাই জবাব বের করতে পারে। নতুন করে আর কিছু জিজ্ঞেস করতে না হয়।

রাসূল (সাঃ) বললেন, ‘আচ্ছা বলো তো, কেউ যদি অবৈধভাবে যৌনকামনা পুরণ করে, তাহলে কি তার গোনাহ হবে না?’

 তারা বললো, অবশ্যই।’

এবার রাসূল (সাঃ) বললেন, ‘তাহলে হালাল ও বৈধ পদ্ধতিতে তা করলে কেন সাওয়াব হবে না?’

অন্যের সাথে সাধারণ কথাবার্তার সময়ও প্রথমে এমন বিষয় উপস্থাপন করুন, যে ব্যাপারে আপনারা উভয়ে একমত।

রাসূল (সাঃ) ওমরা করার উদ্দেশ্য মক্কা অভিমুখে রওয়ানা হলেন। সঙ্গে চৌদ্দশত সাহাবীর বিশাল এক কাফেলা। কুরাইশরা তাদেরকে মক্কায় প্রবেশে বাধা দিল। রাসূল (সাঃ) এবং কুরাইশদের মাঝে কয়েক দফা আলোচনা হলো। অবশেষে উভয় পক্ষ একটা সমঝোতা চুক্তিতে আবদ্ধ হলো।

চুক্তির শর্তাবলী নির্ধারণের জন্য কুরাইশদের পক্ষ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলো সুহাইল বিন আমর। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তার সঙ্গে চুক্তির বিভিন্ন ধারা নিয়ে একমত হলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ধারা হলোঃ

১. মুসলমানরা এবার ওমরা না করেই মদিনায় ফিরে যাবে।

২. মক্কাবাসীদের কেউ ইসলাম গ্রহণ করে মদিনায় হিজরত করতে চাইলে মদিনার মুসলমানগণ তাকে মদিনায় আশ্রয় দিতে পারবে না।

৩. মদিনার কেউ ইসলাম ত্যাগ করে মক্কায় মুশরিকদের কাছে আশ্রয় চাইলে তারা তাকে আশ্রয় দেবে। তাকে ফেরত দেয়া হবে না।

চুক্তিতে এ জাতীয় আরও কিছু শর্ত ছিল, যা বাহ্যত মুসলমানদের জন্য অবমাননাকর ও পরাজয়ের নামান্তর।

প্রকৃতপক্ষে কুরাইশরা মুসলমানদের সংখ্যাধিক্যের কারণে ভীত-স্বন্ত্রস্ত ছিল। তাদের বিশ্বাস ছিল যে, মুসলমানরা চাইলে এখনি মক্কা জয় করতে পারে।

তাই বাধ্য হয়ে কুরাইশরা সমঝোতার চুক্তি করলো।

অধিকাংশ সাহাবায়ে কিরাম এ ধরনের শর্তকে অবমাননাকর মনে করলেন। কিন্তু তারা আপত্তি করবেন, এটা তো কল্পনাই করা যায় না। কেননা, তারা জানতেন, এ চুক্তি যিনি সম্পাদন করেছেন তিনি নিজের ইচ্ছায় কিছুই করেন না। তার সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হয় ওপর থেকে।

ওমর (রাঃ) অস্থিরতায় ছটফট করছিলেন আর ডানে বামে তাকাচ্ছিলেন। আর ভাবছিলেন তিনি যদি কিছু করতে পারতেন। তিনি কিছুতেই নিজেকে সংযত রাখতে পারছিলেন না। তাই আবূ বকর (রাঃ)-এর কাছে ছুটে গেলেন এবং এ বিষয়ে তার সাথে মতবিনিময় করতে চাইলেন।

ওমর (রাঃ) ছিলেন প্রজ্ঞাবান ও দূরদর্শী। তিনি আবূ বকরের কাছে গিয়ে প্রথমেই অভিযোগ পেশ করলেন না; বরং প্রথমে এমন বিষয়ে নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন, যাতে উভয়ে একমত। তিনি আবূ বকর (রাঃ)-কে এমন কিছু প্রশ্ন করলেন, যার উত্তরে কেবল ‘হ্যাঁ’, ‘অবশ্যই’, ‘ঠিক’ এসব শব্দই বলতে হবে!

ওমর (রাঃ) প্রশ্ন করলেন, ‘আবূ বকর! তিনি কী আল্লাহর রসূল নন’?

আবূ বকরঃ ‘অবশ্যই’।

ওমরঃ ‘আমরা কি মুসলমান নই?’

আবূ বকরঃ ‘অবশ্যই।’

ওমরঃ ‘তারা কি মুশরিক নয়?’

ওমরঃ ‘আমরা কি সত্যের অনুসারী নই?’

আবূ বকরঃ ‘অবশ্যই।’

ওমরঃ ‘তারা কি অসত্যের অনুসারী নয়?’

আবূ বকরঃ ‘অবশ্যই।’

ওমরঃ ‘তাহলে আমরা কেন দ্বীনকে অবমূল্যায়িত করব?’

আবূ বকরঃ ‘ওমর! তিনি কি আল্লাহর রাসূল নন?’

ওমরঃ ‘হ্যাঁ, অবশ্যই।’

আবূ বকরঃ “তাহলে তার অনুশাসন দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধর। ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি-তিনি আল্লাহর রাসূল’।” অর্থাৎ সেলাইয়ের ফোঁড় যেভাবে ধারাবাহিকভাবে একটি আরেকটির অনুসরণ করে, কখনোও বিপরীতমুখী হয় না; তুমিও তেমনই তার নিঃশর্ত অনুসরণ কর, কখনও তার বিরোধিতা কর না।

ওমর (রাঃ) বললেন, ‘আমিও সাক্ষ্য দিচ্ছি-তিনি আল্লাহর রাসূল’।

ওমর (রাঃ) আবূ বকর (রাঃ)-এর কাছ থেকে চলে এলেন। তিনি আত্মসংবরণ করতে চাইলেন কিন্তু পারলেন না। অস্থিরচিত্তে রাসুল (সাঃ)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন-

‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি আল্লাহর প্রেরিত রাসূল নন?’

রাসূল (সাঃ) ‘হ্যাঁ, অবশ্যই!’

ওমরঃ ‘আমরা কি মুসলমান নই?’

রাসূল (সাঃ) ‘হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে!’

ওমরঃ ‘তারা কি মুশরিক নয়?’

রাসূল (সাঃ) ‘হ্যাঁ, অবশ্যই!’

ওমরঃ ‘তাহলে কেন আমরা দ্বীনের আবমাননা মেনে নেব?’

রাসূল (সাঃ) বললেন, ‘আমি আল্লাহর বান্দা ও তার রাসূল। অতএব আমি কখনো তার নির্দেশ অমান্য করব না। আর তিনি আমাকে কখনো ধ্বংস করবেন না।’

ওমর (রাঃ) নিশ্চুপ হয়ে গেলেন। চুক্তি কার্যকরি হলো। মুসলমানরা মদিনায় ফিরে গেলেন।

একসময় কুরাইশরা নিজেরাই চুক্তি ভঙ্গ করলো। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) মক্কা বিজয় ও বাইতুল্লাহকে মূর্তিমুক্ত করার উদ্দেশ্যে মক্কা অভিমুখে যাত্রা করলেন। ওমর (রাঃ) বুঝতে পারনেল, তার সেদিনের আপত্তি সঠিক ছিল না।

পরবর্তীতে ওমর (রাঃ) বলতেন, ‘সেদিনের সে কথাগুলোর কারণে আমি বহু রোযা রেখেছি, সদকা করেছি, নফল নামায পড়েছি এবং গোলাম আযাদ করেছি। আল্লাহ যেন আমার সে ভুল ক্ষমা করে দেন।’

কত চমৎকার ওমর (রাঃ) এর বোধ ও আচরণ! এবং তারচেয়েও বেশি সুন্দর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বোধ ও আচরণ!

বলার এ দক্ষতাকে আমরা কীভাবে আরও বেশি কাজে লাগাতে পারি?

আপনার সন্তান হয়তো কুরআন হেফজ করতে আগ্রহী নয়। আপনি তার আগ্রহ বৃদ্ধি করতে চাচ্ছেন। প্রথমে এমন বিষয়ে আলোচনা শুরু করুন, যাতে আপনারা উভয়ে একমত। যেমন আপনি বলতে পারেন—

‘তুমি কি চাও না আল্লাহ তোমাকে ভালবাসুন?’

‘তুমি কি চাও না জান্নাতে তুমি সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী হও?’

উত্তরে সে অবশ্যই বলবে, ‘হ্যাঁ নিশ্চয়ই!’

এখন আপনি পরামর্শের ভঙ্গিতে তাকে উপদেশ দিন, তা হলে তো তোমাকে কুরআঞ্জ হেফজের ব্যাপারে সচেষ্ট হতে হবে।’

তদ্রূপ স্ত্রীকে পর্দার ব্যাপারে শিথিলতা করতে দেখলে প্রথমে এমন বিষয়ে কথা বলতে শুরু করুন,  যে ব্যাপারে সে আপনার সঙ্গে একমত।

আপনি বলুন, ‘আমি জানি তুমি একজন মুসলিম নারী। ভাল ও কল্যাণের প্রতি আগ্রহী।’

তখন সে বলবে, ‘অবশ্যই! আলহামদুলিল্লাহ!’

‘আমি জানি তুমি একজন পুতঃপবিত্র ও সংযমী নারী। তুমি আল্লাহকে ভালবাস।’

সে তখন বলবে, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই!’

এবার আপনি পরামর্শের আঙ্গিকে তাকে বলুন, ‘তাহলে তুমি পর্দার প্রতি যদি আরেকটু গুরুত্ব দিতে। যদি পর্দায় থাকার প্রতি আরো যত্নবান হতে। তাহলে তো তোমারই ভাল হতো।’

হ্যাঁ, এভাবেই কারো মনে সামান্য আঘাতও না দিয়ে আমরা মানুষ থেকে কাংক্ষিত বিষয়টিকে অর্জন করতে পারি।

একঝলক…

মৌচাক না ভেংগে আপনি মধু খেতে পারেন।

প্রিয় পাঠক পাঠিকা, লেখকের মূল্যবান আলোচনা থেকে আজ আমরা বুঝতে ও শিখতে পারলাম যে সুখময় জীবন লাভ করতে মানুষের সাথে “শাসনের মেজাজ পোষণ করা যাবে না”। আশা করি সম্মানিত লেখকের পরামর্শগুলি আপনার ভালো লেগেছে ও মন ছুঁয়েছে। আপনার বন্ধুদেরকে পড়াতে এটি শেয়ার করতে ভুলবেন না। 

For more update please follow our Facebook, Twitter, Instagram , Linkedin , Pinterest , Tumblr And Youtube channel.

Leave a Comment